বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য, ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও ঢাকা-১২ আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী সাইফুল আলম খান মিলন বলেছেন, বিশ্বমানতার মুক্তির মহাসনদ হিসাবে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের মহাগ্রন্থ আল কুরআন নামক নিয়ামত দান করেছেন। এটি আল্লাহ তা’য়ালার পক্ষ থেকে এক মহিমান্বিত মু’জিজা। তাই দুনিয়ায় শান্তি ও আখেরাতে মুক্তির জন্য জীবনের সকল ক্ষেত্রে কুরআনের আদর্শ অনুসরণ করতে হবে। তিনি কুরআন-সুন্নাহর ভিত্তিতে আদর্শ রাষ্ট্র গঠনে সকলকে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস চালানোর আহ্বান জানান।
গতকাল রোববার রাজধানীর তেজগাঁওয়ের সড়ক ভবন চত্বরে শিল্পাঞ্চল থানার কুনিপাড়া সাংগঠনিক ওয়ার্ড জামায়াত আয়োজিত এক ঈদ পুনর্মিলনী ও দাওয়াতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ওয়ার্ড সভাপতি মন্তাজুল হকের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক মু. আতাউর রহমান সরকার। আরো বক্তব্য রাখেন শিল্পাঞ্চল থানা আমীর মোহাম্মদ কলিম উল্লাহ, নায়েবে আমীর ও ২৪ নং ওয়ার্ডের সম্ভাব্য কাউন্সিলর পদপ্রার্থী মোহাম্মদ উল্লাহ ভূঁইয়া হারুন, মাওলানা মুফতি ইয়াসিন ও মাওলানা জাকারিয়া। উপস্থিত ছিলেন থানা সেক্রেটারী ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ নূরুদ্দিন জাহিদ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। স্থানীয় কুনি পাড়ার জনসাধারণের পক্ষ থেকে প্রধান অতিথি সাইফুল আলম খান মিলনকে ফুল দিয়ে বরণ করা হয়।
তিনি বলেন, জায়নবাদী ইহুদীরা পুরো গাজা উপত্যকা রীতিমত নরকে পরিণত করেছে। তারা শান্তিচুক্তি ও প্রচলিত যুদ্ধবিধি লঙ্ঘন করে গাজায় বর্বর হামলা অব্যাহত রেখেছে। ফলে প্রতিনিয়তই রক্তে রঞ্জিত হচ্ছে গাজার মজলুম জনপদ। তাদের জিঘাংসা ও উন্মত্ততা থেকে রেহাই পাচ্ছে না বেসামরিক ও সেবামূলক স্থাপনাও। নারী, শিশু ও বৃদ্ধরাও মুক্ত নয় দখলদার বাহিনীর পৈশাচিকতা থেকে। মূলত, পুরো গাজা নগরীই এখন ধ্বংসস্তূপ ও লাশের শহর। তাই বর্বর হামলা থেকে গাজাবাসীকে বাঁচাতে মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তিনি মজলুম গাজাবাসীর পাশে দাঁড়াতে বিশে^র আত্মসসেচতন ও শান্তিপ্রিয় মানুষের প্রতি আহ্বান জানান। অন্যথায় দখলদাররা বিশ^ সভ্যতার জন্যই হুমকী হয়ে দাঁড়াবে। প্রেসবিজ্ঞপ্তি।