রাষ্ট্র সংস্কার আগে হবে, নাকি ভোট, সেই বিরোধ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার মধ্যে নির্বাচন কমিশন ভোটের যে রোডম্যাপ দিল, তা জনমনে কতটা স্বস্তি ফেরাবে, সেই প্রশ্ন সামনে এসেছে। এর জবাবে মিশ্র প্রতিক্রিয়া এসেছে রাজনৈতিক দলের তরফে। ভালো-মন্দ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন সাধারণ মানুষ আর বিশ্লেষকরাও। রোডম্যাপ ঘোষণাকে ‘সুসংবাদ’ হিসেবে দেখছেন বিএনপির নেতারা। জামায়াতে ইসলামীর চোখে রোডম্যাপ হয়েছে গতানুগতিক, কিছুটা বিভ্রান্তিমূলকও। জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি মনে করে, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত না করে রোডম্যাপ ঘোষণা করাটা ‘সরকারের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের শামিল। নির্বাচন বিশ্লেষকদের কেউ কেউ রোডম্যাপকে দেখছেন ভোটের দিকে এগিয়ে যাওয়ার পদক্ষেপ হিসেবে। কেউ বলছেন, এ রোডম্যাপকে স্বস্তির কারণ হিসেবে দেখার সুযোগ খুব একটা নেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রোডম্যাপ ঘোষণা হলেও পেশীশক্তি বনাম নিরপেক্ষতার চ্যালেঞ্জ রয়েই গেছে। এছাড়া জুলাই আকাংখাকে উপেক্ষা করে নির্বাচন আয়োজনের বিষয়টিও বড় করে দেখছেন বিশ্লেষকরা।

সূত্রমতে, গত বৃহস্পতিবার ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ বা কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। জানানো হয়েছে, রোজার আগে ভোট এবং তার ৬০ দিন আগে তফসিল ঘোষণা করা হবে। আগামী ৩০শে নভেম্বর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখও নির্ধারণ করা হয়েছে। ভোটের জন্য ২৪টি কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের কথা জানানো হয়েছে। বিদ্যমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ আছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেছেন, কেনো থাকবে না, এটা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিষয়। আমাদের কাজ হলো নির্বাচন সংক্রান্ত কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা বা আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর বডি ক্যামেরা ব্যবহারের বিষয়টি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের ব্যাপার জানিয়ে তিনি বলেন, এটা নির্বাচন কমিশনের চাহিদার বিষয় নয়।

সূত্র মতে, অন্তর্বর্তী সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আসন্ন। অনেকেই বলছেন, একতরফা ও প্রহসনমূলক নির্বাচনের কারণে গত প্রায় ১৭ বছর দেশের অনেক মানুষ ভোট দিতে পারেননি। কিন্তু আসন্ন এ নির্বাচন ব্যবস্থায় কতটা পরিবর্তন আসছে সে বিষয়ে রাজনৈতিক দল, নির্বাচন কমিশন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এখনো অন্ধকারে। ভোটাররাও জানেন না এবারের নির্বাচনে ব্যবস্থায় ও পদ্ধতিগত কী কী পরিবর্তন আসছে। সংসদীয় আসন এলাকাগুলোর সীমানা নির্ধারণ কিভাবে কত দিনে সম্ভব হবে, তাও অনিশ্চিৎ। এছাড়া জুলাই সনদ অনুযায়ী নির্বাচনের দাবি অধিকাংশ দলের। সেটিকে উপেক্ষা করে আদৌ নির্বাচন করা যাবে কিনা সেই বিষয়টিও বড় করে দেখা হচ্ছে।

বিএনপির নীতিনির্ধারকরা মনে করেন, আগামী নির্বাচন অনেক চ্যালেঞ্জের হবে। রাজনীতির মাঠে এখন বিএনপিকে যেমন সব দলের বিপক্ষে লড়াই করতে হচ্ছে, তেমনি নির্বাচনেও সেই পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হতে পারে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, যেকোনো সময় নির্বাচন করার মতো বিএনপির সামর্থ্য ও প্রস্তুতি আছে। কাল নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হলেও তাদের আপত্তি থাকবে না। রাজনীতির মাঠে প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে ৯১, ৯৬ ও ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসেছিল। সুতরাং বিএনপি বাধা-বিপত্তি ও অপপ্রচার মোকাবেলা করে কিভাবে নির্বাচন করতে হয় তা জানে।

সূত্র মতে, গত বছরের জুলাই গণ-অভ্যুত্থান বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছিল। ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিল স্বৈরাচারী সরকার। মানুষের প্রত্যাশা ছিল, এই অভ্যুত্থান কেবল একটি সরকারের পতন ঘটাবে না, বরং রাষ্ট্রের প্রতিটি স্তরে বিশেষ করে প্রশাসনের দীর্ঘদিনের জমে থাকা অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার মূলোৎপাটন করবে। কিন্তু এক বছর পেরিয়ে গেলেও সেই প্রত্যাশা পূরণের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। বরং এমন এক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, যেখানে মনে হচ্ছে, পুরোনো নষ্ট প্রশাসনই নতুন মোড়কে বহাল আছে। অন্তর্বর্তী সরকার কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ নিলেও প্রশাসনের সামগ্রিক চিত্র হতাশাজনক। দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা এবং ক্ষমতার অপব্যবহার যেন আগের মতোই বহাল রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবস্থাও নাজুক। ছোট খাট ঘটনারও নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না তারা। এই অবস্থায় আইনশৃঙাখলা বাহিনী নির্ভাচনের জন্য কতটা প্রস্তুত, সেটি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পরিস্থিতি বহাল থাকলে আগামী নির্বাচন বাধাগ্রস্ত হতে পারে। প্রশাসনকে জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য স্বাভাবিকভাবেই একটি মৌলিক সংস্কার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু সেই সুযোগ কাজে লাগানো হয়নি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আমুল পরিবর্তন ও সংষ্কার জরুরী ছিল। কিন্তু সেটিও হয়নি। আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছে নির্ভাচন কমিশন। যা কোনভাবেই কাম্য হতে পারে না।

নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ঘোষিত নির্বাচনী রোডম্যাপকে গতানুগতিক এবং কিছুটা বিভ্রান্তিমূলক বলে মন্তব্য করেছে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল, সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। তিনি বলেন, জুলাই জাতীয় সনদের আইনি ভিত্তি প্রদান এবং এর বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া এখনো চূড়ান্ত হয়নি। এমন অবস্থায় এই রোডম্যাপ ঘোষণা অপরিপক্ব ও আংশিক। এতে জনপ্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেনি। তিনি বলেন, জাতির প্রত্যাশা আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠাতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে। কিন্তু কোন পদ্ধতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে তা এখনো ঠিক হয়নি। জুলাই বিপ্লবের স্পিরিট ধারণ করে দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার প্রয়োজনে জুলাই জাতীয় সনদের আইনিভিত্তি প্রদান এবং এর বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করে রোডম্যাপ ঘোষণা করা উচিত ছিল বলে আমরা মনে করি।

নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত রোডম্যাপ নিয়ে কি ভাবছেন সাধারণ মানুষ। মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট এলাকার দোকাদার কাওছার ফেব্রুয়ারিতে ভোট হওয়ার কোনো সম্ভাবনা দেখছেন না। তিনি বলেন, যেহেতু রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যমত্যের জায়গায় পৌঁছাতে পারেনি, সেহেতু নির্বাচন আরও কিছুটা দেরি হতে পারে। আরেক ব্যবসায়ী হাসানের মতে, প্রধান উপদেষ্টা ঘোষিত সময়ের কাছাকাছি ভোট হতেও পারে। তবে তার শঙ্কা কিছুটা ভিন্ন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচন নিয়ে নানা অপকৌশল দেশের রাজনৈতিক মহলকে শিখিয়ে গেছে। সেগুলোর ইমপ্লিমেন্টেশন হয় কিনা, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

প্রকৌশলী সেলিম রেজা দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্বাচনের সম্ভাবনা কম দেখছেন। তার ভাষ্য, নির্বাচন আয়োজন নির্ভর করছে দেশের স্থিতিশীলতার উপর। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি একেবারেই স্থিতিশীল নয়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির পাশাপাশি পেশিশক্তি নিয়ন্ত্রণের বাইরে। ক্ষমতায় যেতে যেভাবে প্রকাশ্যে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার কথা বলা হচ্ছে, সেটি সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। ফলে পরিস্থিতি কোনভাবেই নির্বাচনের অনূকুলে রয়েছে বলে আমি মনে করি না।

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা হওয়ায় বিএনপি ‘খুশি’ বলে মন্তব্য করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, রোডম্যাপ ঘোষণা হয়েছে। আমরা এতে আশাবাদী হয়েছি। এ রোডম্যাপ থেকে বোঝা যায় যে, নির্বাচন কমিশন ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন করার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। মূল কথা হচ্ছে যে, আমরা খুশি, উই আর হ্যাপি।

এদিকে এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুর ইসলাম আদীব বলেন, আশা করেছিলাম, নির্বাচনি রোডম্যাপ প্রকাশের আগেই সরকারের সংস্কার বিষয়ক পর্যাপ্ত অগ্রগতি অর্জনের রোডম্যাপ প্রকাশ করা হবে। কিন্তু আমরা হতাশার সঙ্গে লক্ষ্য করছি, অজানা কারণে ঐকমত্য কমিশনের পরবর্তী দফার বৈঠক পেছানো হয়েছে এবং এখনো জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দেওয়ার উপায় নির্ধারিত হয়নি। তিনি বলেন, জুলাই সনদ চূড়ান্ত না করে এবং জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তে উপনীত না হয়ে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা ঐকমত্য কমিশন এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের শামিল। জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত না করে নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণ ভবিষ্যতে সংকট তৈরি করতে পারে, যার দায় সরকারকেই নিতে হবে।

সাবেক সচিব আবু আলম শহীদ খানের মতে ‘যদি, কিন্তু, তবে’ নিয়ে নির্বাচনের রোডম্যাপ রাজনৈতিক অঙ্গন বা জনমনে স্বস্তি ফেরাতে পারবে না। তিনি বলেন, যদি অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের পরিস্থিতি থাকতো, তাহলে একটা কথা ছিল, কিন্তু জাময়াতে ইসলামীসহ অনেকেই পিআর পদ্ধতির কথা বলছে। ইসলামী দলগুলোরও একই দাবি করছে। এদিকে এনসিপি গণপরিষদ নির্বাচনের কথা বলছে। তারা নির্বাচন বর্জনের হুমকিও দিচ্ছে। তাহলে কী বিএনপি শুধু নির্বাচন করবে? এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচনের রোডম্যাপ কতটুকু স্বস্তি ফেরাবে, তা নিয়ে বিশদ ভাবনার জায়গা রয়েছে।

রোডম্যাপে রাজনীতি কিংবা জনমনে স্বস্তি ফিরবে না বলে মনে করছেন সাবেক সচিব আব্দুল আওয়াল মজুমদারও। তিনি বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দ্বিধাদ্বন্দ্ব এখনো রয়েছে। তাই এখনই এ রোডম্যাপ রাজনৈতিক অঙ্গন ও জনমনে স্বস্তি ফেরাবে বলে মনে হচ্ছে না। আমি জাতীয় পর্যায়ের বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছি, তারাও এরকমটা মনে করছেন। তাই এখনই এ বিষয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না।

নির্বাচন কমিশনের সাবেক অতিরিক্ত সচিব জেসমিন টুলী বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দায়িত্ব তো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের। তবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে নিয়ে আসার বিষয়টি ইলেকশন কমিশনকেই দেখতে হবে।

ইসির নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব ও দলীয় মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, পুরোনো বন্দোবস্তের নির্বাচনী রোডম্যাপ জুলাই অভ্যুত্থানকে অস্বীকার করার নামান্তর। নির্বাচন বিদ্যমান নিয়মে হবে নাকি পিআর (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতিতে হবে, তা নিয়ে কোনো সমাধান হয়নি। এর একটা সুরাহা হওয়ার আগেই এমন কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করার নৈতিক অধিকার নির্বাচন কমিশনের নেই। রোডম্যাপের আগে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের রোডম্যাপ দিতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষক, সমাজ ও অপরাধ বিশ্লেষক ড. তৌহিদুল হক বলেন, আমাদের দেশে জাতীয় নির্বাচন মানেই ক্ষমতা দখল, আধিপত্য বিস্তার, অস্ত্রের ঝনঝনানি এবং দলীয় কোন্দল। এবারো অনেকস্থানে সেরকম ঘটনার পুনরাবৃত্তির আশংকা করা হচ্ছে। তাই কালো টাকা, পেশিশক্তি বা অস্ত্রের মাধ্যমে কেউ যেন নির্বাচনের মাঠ দখল করতে না পারে, তা নিশ্চিত করতেই হবে।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে নিত্যনতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে মন্তব্য করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, নিত্যনতুন চ্যালেঞ্জ আমাদের মোকাবিলা করতে হচ্ছে। এই চ্যালেঞ্জগুলো আগে ছিল না। নানাবিধ চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছে রাজনীতি, আইনশৃঙ্খলা বা অন্যান্য বিষয় সংক্রান্ত। আগেও আইনশৃঙ্খলার চ্যালেঞ্জ কমবেশি ছিল। তবে এখন হয়তো এর মাত্রাটা একটু বেশি।