সুষ্ঠু, অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিশ্চিতে কঠোর ব্যয় মনিটরিং, প্রার্থীর জামানত কমানো এবং প্রশাসনের ওপর নির্বাচন কমিশনের পূর্ণনিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। গতকাল বৃহস্পতিবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইসির আয়োজিত সংলাপে অংশ নিয়ে দলগুলোর প্রতিনিধিরা এসব প্রস্তাব তুলে ধরেন। এদিকে সরকারের আনুষ্ঠানিক নির্দেশনার পর গণভোট নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন।
গতকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচন ভবনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে একইদিন জুলাই সনদ বাস্তবায়নের গণভোট নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। ইসির মতামত কী, চ্যালেঞ্জ হবে কিনা, সংসদ নির্বাচনের ওপর কোনো প্রভাব পড়বে কিনাÑ এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, এখানে আমি সংলাপে ছিলাম। বক্তব্য শুনিনি। কী বলেছেন, না বলেছেন আমি জানি না। যেহেতু আমি শুনিনি, বিস্তারিত না জেনে মন্তব্য করা ঠিক হবে না। আমরা ফরমালি বিষয়গুলো জানলে, সবাই বসে কমিশনে আলাপ-আলোচনা করে আমাদের মতামত দিতে পারব। এখন মতামত দেওয়া যথার্থতা হবে না। তবে ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, একসঙ্গে দুটি নির্বাচনে কিছু সুফল রয়েছে। এতে নতুন করে কোনো আয়োজন করতে হবে না। ফলে, আলাদা করার চেয়ে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ ব্যয় কম হবে। কেননা, একই ভোটকেন্দ্রে কেবল কক্ষ বাড়িয়ে, একটি ব্যালট বাড়িয়ে ভোট নেওয়া যাবে। এতে ভোট কর্মকর্তার সংখ্যা কিছুটা বাড়বে। আর ব্যালট বক্স কিছুটা বাড়াতে হবে। তবে একসঙ্গে ভোট করলে গণনায় অনেক সময় লেগে যাবে। এতে কোনো-কোনো ক্ষেত্রে রাত ফুরিয়ে যেতে পারে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দুই হাজার ৮শ কোটি টাকার মতো ব্যয় ধরা হয়েছে। এর সঙ্গে গণভোটের জন্য আরো তিনশ থেকে চারশো কোটি টাকা লাগতে পারে। আর আলাদা করে গণভোট করতে গেলে প্রায় একই রকম অর্থ ব্যয় হতে পারে।
এদিকে নির্বাচন কমিশনের সাথে সংলাপে রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অংশগ্রহণকারী দলগুলো সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে নিরাপত্তা সংকট, কালো টাকার প্রভাব এবং জামানতের টাকা কমানোর দাবি জানিয়েছে। সংলাপে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নির্বাচন আচরণ বিধি মেনে চলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা কামনা করেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) তার সূচনা বক্তব্যে বলেন, নির্বাচনে খেলবেন আপনারা। আমরা রেফারির ভূমিকায় নিরপেক্ষ থাকতে চাই। সহযোগিতা ছাড়া খেলাটা পরিচালনা করা মুশকিল।
তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা নিয়ে একটি ‘সুষ্ঠু, সুন্দর, ক্রেডিবল নির্বাচন’ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন এবং সহযোগিতা না পেলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেন। সিইসি দলগুলোকে আচরণ বিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে বলেন, কেউ যদি ‘গো ধরে বসে থাকে যে মানবোই না, তাহলে তো একটা সাংঘর্ষিক পরিবেশ সৃষ্টি হবে। বিধি ভাঙলে আমরা অন্ধভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ব।
ঢাকা শহর পোস্টারে ছেয়ে যাওয়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সিইসি বলেন, যারা লাগিয়েছেন তারা যেন নিজে থেকে সরিয়ে ফেলেন। এটাই হবে ভদ্র আচরণ। তিনি হুঁশিয়ারি দেন, যে দল এটি করবে না, তাদের নিয়ত সাফ না বলে মনে করা হবে এবং ইসি তা সহ্য করবে না। নিবন্ধিত ৫৪টি দলই আমাদের কাছে সমান। গণভোট প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, ইসি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানে না, তবে এটি নিয়ে আলোচনা আছে। এটি যদি ইসির ওপর এসে পড়ে, সেক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা চাওয়া হবে।
প্রবাসীদের ভোট ও ভোটার তালিকা হালনাগাদ
নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রবাসীদের জন্য পৃথক ভোটার তালিকা করার ঘোষণা দেন। প্রবাসীরা ১৮ নভেম্বর থেকে অ্যাপে (পোস্টাল ভোট বিডি) নিবন্ধন করতে পারবেন। দেশে অবস্থানরতদের বিষয়ে তিনি জানান, দেশের ভেতর থেকে যারা এখন আবেদন করছেন তারা ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটার তালিকায় যুক্ত হতে পারবেন না, কারণ এর সময় অক্টোবরে শেষ হয়েছে। তিনি জানান, ভবিষ্যতে হয়তো বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করবো না। এতে পাবলিকের টাকা নষ্ট হচ্ছে। প্রবাসীদের ভোট ব্যবস্থার চ্যালেঞ্জের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা ট্রায়াল ছাড়াই প্রধান উপদেষ্টার অঙ্গীকার রক্ষার্থে এক্সারসাইজটা হাতে নিয়েছি। এটিতে ছোটখাট ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকতে পারে বলেও তিনি স্বীকার করেন এবং হোঁচট এড়াতে সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
নারীর অংশগ্রহণ ও আস্থাহীনতার চ্যালেঞ্জ
নির্বাচন কমিশনার বেগম তাহমিদ আহমেদ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন মানে নারী-পুরুষের ফিফটি ফিফটি অংশগ্রহণ বলে মনে করেন। নারীর অংশগ্রহণের বিষয়ে তিনি বলেন, যেহেতু আমাদের সমাজ পুরুষ প্রধান সমাজ, তাই পুরুষরা সহযোগিতা না করলে মহিলারা অংশগ্রহণ করতে পারবে না। তিনি পুরুষদের প্রতি অনুরোধ জানান যেন মহিলারা যাতে ভোটে অংশগ্রহণ করতে পারে তারা (পুরুষ) সে দায়িত্ব নেন। নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার আস্থাহীনতাকে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে অভিহিত করেন। আস্থা পুনরুদ্ধারে তিনি বলেন, এটা অস্বীকার করার জো নেই। এই আস্থাটাকে পুনরুদ্ধার করার জন্য আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি এবং যাবো।
গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনের বিষয়ে তিনি রাজনৈতিক দলের সহযোগিতা ছাড়া ভালো নির্বাচন দেওয়া সম্ভব নয় উল্লেখ করে বলেন, এবার কিন্তু আমাদের জন্য একটা সুযোগ, এবারের নির্বাচন যদি আমরা ভালো না করতে পারি, আমরা কিন্তু নদীর মাঝখানে নৌকাটা এমন নড়াচড়া করলে ডুবে যাবে।
রাজনৈতিক দলগুলোর দাবি ও উদ্বেগ
সংলাপে বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, এলডিপি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, বাংলাদেশ কংগ্রেস ও এনপিপির প্রতিনিধিরা অংশ নেন। নিরাপত্তা উদ্বেগ (এলডিপি) জানিয়ে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রসিডিয়াম সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) ডক্টর চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী বলেন, এখনও পর্যন্ত যথেষ্ট নিরাপত্তা সংকট বিরাজ করছে এবং কিছু দল চিহ্নিত সন্ত্রাসী ব্যবহার করছে। তিনি তফসিল ঘোষণার পূর্বেই একটি নিরাপত্তা সিকিউরিটি অপারেশন করার দাবি জানান।
কালো টাকার প্রভাব
অতীতের নির্বাচনে কালো টাকার প্রভাব বিস্তার এবং হুমকি-ধামকির মাধ্যমে ভোটারদের প্রভাবিত করার বিষয়টি তুলে ধরেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মওলানা ইউসুফ সাদেক হক্কানী। তিনি ইসিকে আগে থেকেই এগুলো প্রতিহত করার জন্য প্রোগ্রাম করার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মহিউদ্দিন বলেন, রাজনৈতিক দলের ৩৩ শতাংশ মহিলা সদস্য রাখার শর্তটি বিশেষ করে ইসলামী দলগুলোর জন্য কঠিন হয়ে যায় এবং এটি বিবেচনার দাবি জানান।
ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান শেখ সালাউদ্দিন সালু জামানতের টাকা ৫০ হাজার করা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, এটা বুর্জোয়া দলের পক্ষে সম্ভব হলেও তাদের মতো দলের পক্ষে কঠিন। তিনি জামানত ২০ হাজার টাকা রাখার দাবি করেন।
নির্বাচনী পরিবেশের বিষয়ে বাংলাদেশ মুসলিম লীগের উপদেষ্টা জহিরুদ্দিন মোহাম্মদ বাবু সঠিক সময়ে নির্বাচন চান এবং পরিবেশ উন্নয়নের জন্য ইসির চেষ্টা কামনা করেন।
বাংলাদেশ কংগ্রেসের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট কাজী রেজাউল হোসেন বলেন, বড় দলগুলো নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে এবং মহড়া চলছে। ইসি এগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী বলেন, এই কমিশনের কাছে মানুষের প্রত্যাশা অনেক। তিনি ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি না করে নতুন ইতিহাস তৈরির প্রত্যাশা জানান এবং জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের মতো আরেকটি নির্বাচন চাপিয়ে দিলে তা কমিশনের জন্য কঠিন হবে বলে মন্তব্য করেন।
সিপিবি সভাপতি সাজ্জাদ জহির চন্দন বলেন, প্রার্থীদের ব্যয়সীমা নির্ধারণ করা হলেও তা বাস্তবে কতটা নিয়ন্ত্রণযোগ্য, তা প্রশ্নসাপেক্ষ। তফসিল ঘোষণার আগেই কিছু দল কোটি কোটি টাকা খরচ করে প্রচারণা চালাচ্ছে, যা নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করছে।
তিনি বলেন, তফসিলের আগেই বিপুল অর্থ ব্যয় গণতান্ত্রিক প্রতিযোগিতাকে বিকৃত করছে। কমিশন চাইলে এখনই তা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা নিতে পারে। এসময় তিনি জামানত ৫ হাজার টাকা কমানোর দাবি জানান।
সিপিবির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ কাফি রতন বলেন, এক উপজেলার ভোটে অন্য উপজেলা থেকে ভোট কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া, নির্বাচনে কালো টাকার খেলা, পেশিশক্তির খেলা, ধর্মের অপব্যবহার এবং প্রশাসনিক কারসাজি বন্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে।
বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ বলেন, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সরকার, ইসি ও রাজনৈতিক দলের সদিচ্ছা জরুরি। টাকাশক্তি, পেশিশক্তি ও প্রশাসনিক প্রভাবমুক্ত পরিবেশে সকলের ভোট ও প্রার্থী হওয়ার সমান অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন, জামানত বাড়ালে সংসদ কোটিপতিদের ক্লাবে পরিণত হবে এবং সব আসনে ‘না ভোট’ বিধান থাকা উচিত। এআই-নির্ভর ফেক নিউজ ও চরিত্রহননমূলক প্রচারণা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর কৌশল নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) দলের সিনিয়র সহসভাপতি তানিয়া রব বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে আমরা যখন নির্বাচন করতে যাই, তখন প্রশাসনিক কিছু অসামঞ্জস্যতা ও জটিলতা লক্ষ্য করি। বলা হয়, নির্বাচনকালে প্রশাসন সম্পূর্ণভাবে নির্বাচন কমিশনের আওতাধীন থাকবে। কিন্তু বাস্তবে তা দেখা যায় না। ফলস্বরূপ নির্বাচনের দিন প্রার্থী এবং প্রার্থীর কর্মীরা প্রায়ই হয়রানির শিকার হন। আমার নিজস্ব নির্বাচনি অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, মাঠ পর্যায়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যেও অনেক সময় সমন্বয়হীনতা দেখা যায়। কোনো সমস্যা বা দুর্ঘটনা ঘটলে বলা হয়, ‘ম্যাজিস্ট্রেটকে বলুন’ বা ‘অমুক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করুন’। কিন্তু তখন মাঠপর্যায়ে ম্যাজিস্ট্রেট বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে খুঁজে পাওয়া যায় না। ফলে প্রার্থী ও ভোটার উভয়েই ভোগেন মারাত্মক হয়রানিতে।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক বলেন, কোনো অযৌক্তিক চাপের কাছে আপনারা নতি স্বীকার করবেন না। দৃঢ়চিত্ত, বলিষ্ঠ ভূমিকা নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে আমরা দেখতে চাই। জামানত পাঁচ হাজার টাকার মধ্যে রাখা উচিত। তিনি বলেন, প্রার্থীর সর্বোচ্চ ব্যয়সীমা প্রায় দ্বিগুণ (৫০ লাখ টাকার বেশি) করার প্রস্তাব এসেছে। আমরা মনে করি, এটি সংসদকে ধনী, বিত্তবান, লুটেরা ও মাফিয়াগোষ্ঠীর ক্লাবে পরিণত করবে।
সাইফুল হক বলেন, তফসিল ঘোষণার পর থেকেই নির্বাচন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ারে আনতে হবে। কারণ এই প্রতিষ্ঠানগুলো প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারে। এটা আপনাদের জুরিসডিকশনের মধ্যেই পড়ে। প্রয়োজনে আলোচনার মাধ্যমে আরও বিষয় বিবেচনায় নেওয়া দরকার। অন্যথায় আস্থা তৈরি হবে না। পোস্টার নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত। নির্বাচনে পোস্টার দেওয়ার বিষয়টি আকস্মিকভাবে বাতিল করা হয়েছে, এটি ভুল সিদ্ধান্ত। তিনি আরও বলেন, আমরা বারবার বলেছি, ৩০০ আসনেই ‘না ভোট’ রাখার বিধান থাকা দরকার। কারণ ভোটাররা পাঁচজন প্রার্থীর কাউকেই পছন্দ নাও করতে পারেন। ‘না ভোট’ সবচেয়ে গণতান্ত্রিক বিকল্প। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে সংলাপে অন্য নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিব উপস্থিত ছিলেন।