অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র করে জামায়াতে ইসলামীর অগ্রযাত্রা থামানো যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন,

জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর এবং ঢাকা সংসদীয় ৮ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী এডভোকেট ড. মো: হেলাল উদ্দিন।

শনিবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী শাহবাগ পূর্ব থানার সেগুনবাগিচা অফিসে ওয়ার্ড দায়িত্বশীল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এর মজলিসে শূরা সদস্য ও শাহবাগ পূর্ব থানা আমীর আহসান হাবীবের সভাপতিত্বে বৈঠকটি পরিচালনা করেন শাহবাগ পূর্ব থানা সেক্রেটারি মো: নুরুন্নবী রায়হান।

এসময় হেলাল উদ্দিন বলেন, রাষ্ট্রের কাছে সকলেই রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে সমান মর্যাদা ও অধিকার লাভ করবে। অথচ জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন ট্যাগ লাগিয়ে নানা রকম অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। যতই অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র করা হোক, দুনিয়াবি কোনো শক্তি প্রয়োগ করে জামায়াতে ইসলামীর অগ্রযাত্রা থামানো যাবে না। কারণ জামায়াতে ইসলামীর প্রধান শক্তি সংগঠনের আদর্শ ও নৈতিকবান রুকন এবং কর্মীরা। যারা অন্যায় করে না, অন্যায়কে প্রশয় দেয় না। অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য জীবন বিলিয়ে দেয়। ইসলামী সমাজ বিনির্মাণে তিনি উপস্থিত রুকন সদস্যদের অতীতের যেকোন সময়ের চেয়ে আরো বেশি তৎপর ও ত্যাগ স্বীকারের আহ্বান জানান।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বর্ষপুর্তি উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে হেলাল উদ্দিন বলেছেন, এদিকে জুলাই ঘোষণাপত্রে মানুষের প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেনি। এই ঘোষণাপত্রে একটি দল খুশি হওয়ায় জনমনে সংশয় তৈরি হয়েছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ঐ দলের এজেন্ডা বাস্তবায়নে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে।

১৭ বছর পালিয়ে থাকার পর ছাত্র-জনতা আপনাদেরকে স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার পরিবেশ সৃষ্টি করে দিয়েছে। অথচ সেই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের তালিকা এখন পর্যন্ত করা হয়নি কেন?- এই বিষয়ে জাতি হতাশ।

অন্য একটি মহিলা সমাবেশে ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, আমরা চাই নারী পুরুষের বৈষম্য মুক্ত সমাজ ব্যবস্থা গড়তে। রাষ্ট্রের কাছে নারী-পুরুষের কোন বৈষম্য থাকবে না।

তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন কায়েমের মাধ্যমে একটি বৈষম্যহীন, ইনসাফ ও ন্যায় বিচারের এক কল্যাণ ও মানবিক বাংলাদেশ গড়তে চায়। যেখানে দলমত, ধর্মবর্ণ, জাতি-গোষ্ঠীর কোন বৈষম্য থাকবে না। রাষ্ট্রের কাছে সকলেই রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে সমান মর্যাদা ও অধিকার লাভ করবে। অথচ জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন ট্যাগ লাগিয়ে নানা রকম অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। যতই অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র করা হোক, দুনিয়াবি কোনো শক্তি প্রয়োগ করে জামায়াতে ইসলামীর অগ্রযাত্রা থামানো যাবে না।

আগামী নির্বাচনে নারী ভোটারদের কাছে সঠিক ম্যাসেজ পৌঁছে দিলে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামি বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে বলে মনে করি।