বাংলাদেশের ওপর সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের যে খবর ছড়িয়েছে, সেটি ‘দুরভিসন্ধিমূলক প্রচারণা’ হতে পারে মন্তব্য করেছেন আবুধাবিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ। তিনি বলেছেন, আবুধাবিতে বাংলাদেশ দূতাবাস ও দুবাই কনস্যুলেটের কাছে এ ধরনের কোনো নির্দেশনা নেই। সম্প্রতি বাংলাদেশসহ ৯টি দেশকে আরব আমিরাত ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় এনেছে বলে ‘ইউএই ভিসা অনলাইন’ নামে একটি ওয়েবসাইট লিখেছে। এরপর থেকে বিষয়টি নিয়ে চলছে আলোচনা। এদিকে গত শনিবার দিবাগত রাতে প্রেস উইং এক ফেসবুক পোস্টে জানায়, বাংলাদেশসহ এশিয়া ও আফ্রিকার ৯ দেশের ওপর সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) ভিসা নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়িয়েছে বলে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা ভুয়া বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ প্রবাসী সাংবাদিকদের বলেন, মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য এটি দুরভিসন্ধিমূলক প্রচারণা হতে পারে। শনি ও রোববার আমিরাতে সাপ্তাহিক ছুটির কারণে এখনো কিছু বলতে পারছি না। সোমবার কার্যদিবসের শুরুতে আমরা আমিরাত কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে এ বিষয়ে জানতে পারব।
‘ইউএই ভিসা অনলাইন’ ওয়েবসাইটে লেখা হয়েছে, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, লিবিয়া, ইয়েমেন, সোমালিয়া, লেবানন, ক্যামেরুন, সুদান ও উগান্ডাকে ২০২৬ সালের ভিসা নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রেখেছে আরব আমিরাত। কর্তৃপক্ষের সার্কুলার অনুযায়ী দেশগুলোর নাগরিকরা বর্তমানে ইউএই টুরিস্ট ভিসা এবং ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করতে পারছেন না। বর্তমানে আমিরাতের শ্রম বাজারে ১০ থেকে ১২ লাখ বাংলাদেশি রয়েছেন।
গত শনিবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভিসা নিষেধাজ্ঞার খবরটি ছড়িয়ে পড়ে। একাধিক অনলাইন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশসহ এশিয়া ও আফ্রিকার ৯ দেশের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের মেয়াদ বাড়িয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। প্রেস উইং এক ফেসবুক পোস্টে জানায়, বিভিন্ন প্রতিবেদনে গত ১৭ সেপ্টেম্বর একটি বেসরকারি ভিসা প্রক্রিয়াকরণ ওয়েবসাইট ‘ইউএই ভিসা অনলাইন’-এ প্রকাশিত একটি নিবন্ধের উদ্ধৃতি দেওয়া হয়েছে। যেখানে দাবি করা হয়েছে, অভিবাসন সংক্রান্ত একটি সার্কুলারে বাংলাদেশসহ এশিয়া ও আফ্রিকার নয়টি দেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। তবে এই দাবিটি মিথ্যা। প্রেস উইং বলছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ স্পষ্ট করে বলেছেন, আমিরাত কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এ ধরনের কোনো বিজ্ঞপ্তি পাওয়া যায়নি। তারেক আহমেদ বলেছেন, পোস্টটি ভিসা সেন্টারের নিজেদের একটি বিদ্বেষপূর্ণ অপচেষ্টা হতে পারে।
তারেক আহমেদ জানান, ২০ ও ২১ সেপ্টেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতে সরকারি ছুটির দিন। তাই দূতাবাস ২২ সেপ্টেম্বর আমিরাত সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করবে এবং অফিসিয়াল চ্যানেলের মাধ্যমে এ বিষয়ে আরো নিশ্চিত হবে। প্রেস উইং জানিয়েছে, বাংলাদেশের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞার দাবিটি একটি বেসরকারি ভিসা ওয়েবসাইট থেকে উদ্ভূত। এ বিষয়ে যাচাই-বাছাই ছাড়াই প্রতিবেদন প্রকাশ করায় বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে।