৪৪ তম বিসিএসে চূড়ান্ত ফলাফলের প্রতিবাদে ও সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) সংস্কারের দাবিতে শাহবাগ ব্লকেড করেছেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের হাতাহাতি হয়। বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন আন্দোলনকারীরা। গতকাল শুক্রবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, বিকেল ৫টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে সন্ধ্যা ৬টার দিকে শাহবাগে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় তারা রাস্তা ব্লকেড করলে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। ব্লকেডে আন্দোলনকারীরা ‘জুলাই আবার এসেছে , ছাত্র সমাজ আবার জেগেছে’, ‘এই মুহূর্তে দরকার, পিএসসির সংস্কার’, ‘জেগেছে রে, জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’, ‘নিশিরাতের ফলাফল, মানি না মানব না’ সহ নানা স্লোগান দেন।

আন্দোলনকারীরা বলেন, আমরা সর্বোপরি পিএসসির সংস্কার চাই। দুইদিন পরপর আন্দোলনে নামতে পারব না। ৪৪ তম বিসিএস এর রেজাল্টের ক্ষেত্রে একই পদের ক্যাডারকে আবার রিপিট করে তাকে সেই ক্যাডারেই রাখা হয়েছে। আমার তা মানি না। মো. লুৎফুর রহমান নামে এক আন্দোলনকারী ৪৪ তম বিসিএসের ফলাফলকে নিশিরাতের ফলাফল আখ্যা দিয়ে বলেন, এবারের ফলাফলে ১৬৯০ জনকে ক্যাডার করা হয়েছে। অথচ ৮০০ ক্যাডার রিপিট করা হয়েছে, যা আমাদের বঞ্চিত করার শামিল। আবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে ৪৩০ টা পদ বাড়ানো হলেও উপদেষ্টার অফিস থেকে তা কোনো এক অদৃশ্য কারণে বাদ দেওয়া হয়েছে। আন্দোলনকারীরা অন্য এক পরীক্ষার্থী বলেন, আমাদের এই বিসিএসের ফাঁদে প্রায় সাড়ে ৪ বছর সময় নষ্ট করা হয়েছে। দুইবার ভাইভা নেওয়া হয়েছে। তবুও সবশেষে দেখলাম, এখানে এখনো কোনো না কোনো দুর্নীতি হয়েছে। আমরা অবিলম্বে এই ফলাফলের পুনর্মূল্যায়ন চাই। রিপিট ক্যাডার বাতিল চাই।

শাহবাগ থেকে পুলিশ ধাওয়া দিলে আন্দোলনকারীরা টিএসসিতে এসে অবস্থান নিয়ে সমাবেশ করেন। সমাবেশে আন্দোলনকারীরা বলেন, ৪৪তম বিসিএসে পদসংখ্যা বৃদ্ধি, চূড়ান্ত ফলাফলের সঙ্গে লিখিত ও ভাইভার নম্বর প্রকাশ, চূড়ান্ত ফলাফল দেওয়ার পূর্বে ক্যাডার চয়েজ সংশোধনের সুযোগ দান, একই ক্যাডারে একই ব্যক্তিকে দ্বিতীয়বার সুপারিশ না করা, নন-ক্যাডার বিধিমালা-২০২৩ বাতিল/সংশোধনপূর্বক ভাইভায় উত্তীর্ণ সব প্রার্থীকে চাকরি প্রদান, যেসব প্রার্থীর স্নাতকে পঠিত বিষয়ের বিষয় কোড নেই তাদেরকেও সঙ্গতিপূর্ণ নন-ক্যাডার পদে আবেদনের সুযোগ দেওয়াসহ বিভিন্ন দাবি না মানলে রাজু ভাস্কর্যে রাত-দিন অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।