স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান চাইলে যেকোনো সময় দেশে ফিরতে পারেন। তিনি একজন বাংলাদেশি নাগরিক, তাই তার দেশে ফেরার পথে কোনো আইনি বা প্রশাসনিক বাধা নেই বলেও মন্তব্য করেন উপদেষ্টা।

গতকাল বৃহস্পতিবার গাজীপুরের সালনা হাইওয়ে থানা পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “উনি বাংলাদেশের নাগরিক। উনি যেই সময় মনে করবেন, সেই সময় দেশে ফিরবেন।

থানা পরিদর্শনের শুরুতেই উপদেষ্টা সাংবাদিকদের মাস্ক উপহার দিয়ে স্বাস্থ্য সচেতনতার বার্তা দেন। পরে তিনি থানা ঘুরে দেখেন এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এসময় তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে গুরুত্ব সহকারে বলেন, “আপনারা রিপোর্ট খণ্ডিত করবেন না। আমরা যা বলি, সেটি পুরোটা তুলে ধরবেন। কারণ প্রতিবেশী দেশ এসব খণ্ডিত বক্তব্যকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করে বিভ্রান্তি ছড়ায়।

সাংবাদিকদের কাছে সরাসরি জানতে চান, ভবিষ্যতে তারা খণ্ডিত রিপোর্ট করবেন কি না। সবাই সম্মতিসূচক প্রতিশ্রুতি দিলে উপদেষ্টা প্রশংসা করে বলেন, “এই দায়শীলতাই আমাদের গণমাধ্যমের শক্তি।

এরপর আবারও সাংবাদিকদের মাস্ক ব্যবহারে উৎসাহিত করে বলেন, “মাস্ক পকেটে নয়, নাকে রাখুন। একইসঙ্গে পলিথিন বর্জনে জনমত গঠনের আহ্বান জানান তিনি।

ভারত থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ নিয়ে প্রশ্নে তিনি বলেন, “আমরা এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছি। আমাদের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা গণমাধ্যমে ইতোমধ্যে অবস্থান পরিষ্কার করেছেন। যাদেরকে পুশ ইন করা হচ্ছে, তারা স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে। তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, “ভারতের কিছু কর্মকাণ্ড অমানবিক এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল। এ বিষয়ে ভারতীয় হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে।

সাংবাদিকদের মধ্যে কেউ কেউ মাস্ক ব্যবহার না করায় উপদেষ্টা আবারও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, “আপনারা নিজেরাও মরবেন, অন্যকেও মারবেন। মাস্ক পরুন, ভালো থাকুন।

থানা পরিদর্শনের পর উপদেষ্টা রাজেন্দ্রপুরে বিজিবি ৬৩ ব্যাটালিয়নের প্রধান কার্যালয় পরিদর্শন করেন। সেখানে তিনি বিভিন্ন কার্যক্রম পর্যালোচনা করে একটি গাছের চারা রোপণ করেন।

এসময় তার সঙ্গে ছিলেন হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি শফিকুল ইসলাম, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ড. নাজমুল করিম খান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার তাহেরুল হক চৌহান, জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফিন এবং জেলা পুলিশ সুপার ড. চৌধুরী মো. যাবের সাদেকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

পরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা শ্রীপুর উপজেলার কৃষি বিভাগের একটি প্রকল্প পরিদর্শনে যান।