রাজধানীর উপকণ্ঠ সাভারের দক্ষিন রাজাশনে ঈদুল আযহার ছুটির ফাঁকে দুধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় চোরের দল ঘর ফাঁকা পেয়ে ভেতরে ঢুকে নগদ টাকা, সোনার অলংকারসহ ১৫ লাখ টাকা মূল্যের মালামাল নিয়ে চম্পট দেয়। এ ঘটনায় হেমায়েতপুর সেনা ক্যাম্পে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী। এতে একজন নারীসহ পাঁচজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
অভিযোগে প্রকাশ, ভুক্তভোগী মো: ওমর ফারুক (৪৮) পিতা : মৃত মকবুল হোসেন, স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা : মাকামে ওমর, ১২০/৬ দক্ষিন রাজাশন, সাভার ঈদুল আযহা পালনের জন্য পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে যান। এ সুযোগে গত ১২ জুন তাঁর ঘর ফাঁকা পেয়ে রাতের আধাঁরে অজ্ঞাতনামা চোরের দল বাড়ির প্রধান ফটকের তালা ভাঙ্গতে ব্যর্থ হয়ে পেছনের জানালার গ্রীল কেটে ভেতরে ঢোকে। এ সময় তার রুমের ৩ টি তালা ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে ২ টি আলমারীর তালা ভেঙ্গে ফেলা হয়। এরপর তার স্ত্রীর রেখে যাওয়া সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণালংকার, ১ টি আধুনীক ফোন, নগদ ৫৫ হাজার টাকা, এক লাখ টাকা সমমূল্যের ডলার সহ আরও মূল্যবান অনেক জিনিসপত্র নিয়ে যায়। যার মোট মূল্য পনের লাখ ৫০ হাজার টাকা বলে অভিযোগে প্রকাশ। লিখিত অভিযোগে আরও বলা হয়, নগদ টাকা ও উল্লেখিত জিনিসপত্র চুরি করে নিয়ে চলে যাওয়ার সময় চোরের দলটি বাড়ির ২৬টি সিসি ক্যামেরার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ক্যমেরার হার্ডডিক্স নিয়ে চলে যায়। এ চুরির ঘটনায় ভুক্তভোগি আর্থিক ও মানসিক ভাবে মারাত্মক ক্ষতির শিকার। তিনি অভিযোগে ঘটনার সাথে জড়িত হিসেবে পাঁচ জনের সম্পৃক্ততা আছে বলে মনে করেন। তাঁরা হলেন, যথাক্রমে, মো. সুজন চৌধুরী, পিতা. মৃত আবুল কালাম আজাদ, মো. জয়নাল আবেদীন, পিতা মৃত: আব্দুল লতিফ, মো. ফাতিম, পিতা. মো. আনোয়ার হোসেন, মো. শাহিন, পিতা. অজ্ঞাত ও মোসা. ফরিদা বেগম, স্বাামী মৃত আবুল কালাম আজাদ। তাঁদের বাড়ি একই এলাকায়। ভুক্তভোগী ওমর ফারুক বাড়ি থেকে এসে এ চুরির ঘটনা টের পেয়ে স্থানীয় সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি এ ঘটনায় আইনগত সহায়তা কামনা করেছেন।