উমর ফারুক বেসরকারি বিশ^বিদ্যালয় আইইউবিএটির শিক্ষার্থী। তিনি জুলাই আন্দোলনে রামপুরা উত্তরা এবং বরগুনায় সমন্বয়কের ভূমিকা রেখেছেন। দৈনিক সংগ্রামকে জানিয়েছেন সেই দিনগুলোর কথা। তার সাক্ষাৎকার লিখেছেন ইবরাহীম খলিল।

দৈনিক সংগ্রাম : উমর ফারুক সাহেব প্রাইভেট ভার্সিটিগুলোর আন্দোলন দরকার ছিল না। আপনিতো প্রাইভেট ভার্সিটির শিক্ষার্থী। আপনি কিভাবে জুলাই আন্দোলনে জড়ালেন ?

উমর ফারুক : আমার ভার্সিটি ছুটি ছিল কয়েকদিনের। তখন আমি আমার বড় ভাইয়ের কাছে যাই ছুটি কাটাতে। তখন থেকেই আমি ফেসবুকে লেখালেখি করা শুরু করি আন্দোলনের পক্ষে। আমাদের একটা গ্রুপ ছিল, আমরা ফেসবুকে লেখালেখি করতাম। আসলে আমি আগে থেকেই যেকোন ন্যায্য দাবির আন্দোলনে অংশ নিতাম। মূলত ৫ জুলাই আমাদের একটা গ্রুপ খোলা হয়। সেখানে পরিকল্পনা করা হয় যে আমরা আন্দোলনে নামবো। তবে কিভাবে নামা যায় কোথায় নামা যায় তা নিয়ে কথা হচ্ছিল। সেখানে বাম সংগঠন, খেলাফত মজলিসসহ আরও কয়েকটা সংগঠন মিলে সিদ্ধান্ত নেই যে কিভাবে কি করা যায়। প্রথমে আমাদের লোকবল সংকট ছিল। সাহস করতে পারিনি যে আসলে কোথায় কিভাবে নামবো। প্রথম প্লানটা ছিল যে আমরা আলাদা আলাদা নামবো। এরকম করতে করতে দুইদিন চলে যায়। পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত হয় যে আমরা সবাই একসাথে নামবো। প্রথমে নামবো রামপুরায়। আসাদ উদ্দিন রনিভাই ছিল আমাদের সাথে। আমি বললাম আমি একটু অসুস্থ ৯ তারিখ না করে ১০ জুলাই করেন। বাকিটা আমি সাপোর্ট দিবো। এরপর ১০ তারিখ তারিখ ঠিক হয়। ১০ জুলাই আমরা ২০ থেকে ২৫ জন ছিলাম। ইস্টওয়েস্ট, আইইউবিএটি, গণ বিশ^বিদ্যালয়, ঢাক ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, এইইআইইউ মিলে ২০ থেকে ২৫ জন ছিল। সেদিন দেখি আমাদের চেয়ে পুলিশের সংখ্যা অনেক বেশি। আমরা এক সাইড ব্লক করে রাখি। এক ঘন্টা পর পুলিশ আমাদের সাথে সমঝোতা করার চেষ্টা করে। আমরা বলি যে আমরা ছাড়বো না। ৪টা পর্যন্ত রাখবো ব্লকেড। এরপর দেখি স্কুলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা আমাদের সাথে যোগ দিলো। একটা মেয়ে ছিল। সে ক্লাস সিক্স বা সেভেনে পড়ে। মেয়েটা এত গরমের মধ্যেও বসে ছিল। অধিকারের জন্য ওরা যে আন্দোলন করা শুরু করলো। ওরাও রাস্তায় নেমে গেছে। তারাও বুঝতে পারছে আমাদের সঙ্গে বৈষম্য হচ্ছে। আমরা বুঝতাম যে আজ মাইর খাওয়া লাগবে এরপরও নিজের পকেটের টাকা খরচ করে আন্দোলনে যেতাম।

দৈনিক সংগ্রাম : আপনি বলছিলেন যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটিভ ছিলেন। কিভাবে ছিলেন ?

উমর ফারুক : প্রথম যখন ব্লকেড হয়। বাংলা ব্লকেড তখন আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমাদের ভার্সিটির গ্রপগুলোতে জানান দিয়েছি। জনমত গঠন করেছি। ১০ তারিখের পর আমরা সিদ্ধান্ত নেই যে প্রত্যেকটা ক্যাম্পাসে আন্দোলন সচল করতে হবে। সোস্যাল গ্রুপগুলোতে আমি আহ্বান জানাই যে কারা কারা আন্দোলনে আসবে। প্রথমে প্রাইভেট থেকে ১৭ জন ঐক্যবদ্ধ হয় যে, তারা আমাদের সাথে আন্দোলন করবে। এরমধ্যে একজন এসে বলে আমি তোমাদের সাথে প্রকাশ্যে থাকবো না। কিন্তু টাকা পয়সা যা লাগে তোমাদের সাপোর্ট দোবো। ওর কথা শুনে বাকী সবাই ভয় পেয়ে যায়। তখন আন্দোলন আরও একদিন পিছিয়ে যায়। এর মধ্যে ১৪ তারিখ ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে হামলা হয়। দেখলাম আমরা আন্দোলন করতে পারছি না তখন হতাশ হয়ে যাই। আমরা আলাপ করলাম যে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিকেতো সবাই ফার্মের মুরগী বলে। এখন কি করা যায়। তখন আমরা আবার উত্তরা, ওয়াল্ড ইউনিভার্সিটিসহ কয়েকটা ভার্সিটিতে যোগাযোগ করলাম। আমরা আইইউবিএটি’র সাথে যোগাযোগ করে বললাম যে আমরাতো এভাবে আন্দোলনে নামবো তোমরা কি করবা? এরপর ১৪ জুলাই আমরা আইইউবিএটি’র মানববন্ধন করি। আমি তখন সিদ্ধান্ত নেই যে ঢাবিতে যাবো। সেদিন আসাদ উদ্দিন রনি আমাকের ফোন করে বলে আমি আহত হয়ে গেছি। তুমি ঢাকা ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে এসো না।

দৈনিক সংগ্রাম : এরপর কিভাবে আন্দোলন এগিয়ে নিয়ে গেলেন ?

উমর ফারুক : এরপর আরেকটা গ্রুপ খুলি। ম্যাসেঞ্জার গ্রুপ খুলে মিটিংয়ের আয়োজন করি কিভাবে আন্দোলন চাঙ্গা করা যায়। তখনো আমাদের সংখ্যা ৪০ থেকে ৫০ ছিল মাত্র। দুইদিন ধরে মিটিং হয়। কোথায় আন্দোলনটা করা যায়। আমরা ধারণা করছিলাম যে প্রাইভেট স্টুডেন্ট রাস্তায় নামবে না। তারপর একটা সিদ্ধান্ত হয় যে বেড়িবাঁধে নামবো।

দৈনিক সংগ্রাম : কয় তারিখে আপনারা মিটিং করলেন ?

উমর ফারুক : ১৫ এবং ১৬ জুলাই। আমাদের কথা হলো ৪/৫ ছাত্র হলেই আমরা বেড়িবাঁধ দখল করতে পারবো বলে আন্দাজ করি। সিদ্ধান্ত হয় যে আমরা বেড়িবাঁধ ব্লকেড করবো। ১৬ জুলাই আমার ম্যাথ পরিক্ষা ছিল। সেদিন পরীক্ষা বাদ দিয়ে সকাল ১০টায় পোস্ট দেওয়ার পর দেখি আমাদের আইইউবিএডি থেকে এক হাজার শিক্ষার্থী চলে আসে। আমি অবাক যে এক শিক্ষার্থী দেখা যায় না সেখানে এই অবস্থা। এরপর তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিয়ে আমরা বলি বেড়িবাঁধ যাবো না। আমরা বিএনএস সেন্টারে যাবো। এরপর সাড়ে ১০টার দিকে জমজন টাওয়ারের সামনে যাই। তখন ওয়াল্ড ইউনিভার্সিটিসহ আরও কয়েকটা ভার্সিটি এসে আমাদের সাথে যোগ দেয়। তখন পুলিশ আমাদের একটা ধাওয়া দেয়। কিন্তু যখন দেখলো আমরা ছাত্র অনেক তখন রাস্তা ছেড়ে দেয়। আমরা হাউস বিল্ডিং ঢুকবো এসময় আমাদের ওপর ককটেল মারা হয়। তখন আমাদের ছাত্ররা হাতে থাকা পাথর মারা শুরু করলো তখন দেখা গেল ছাত্রলীগের অনেকের মাথা ফেটে গেছে। তখন ছাত্রলীগ পালানো শুরু করলো। এরপর থেকে আর কেউ আসেনি। সেদিন আমরা বিএনএস ভবন দখল করে রাখি। সেদিন আমাদের সাথে অনেকগুলো ভার্সিটির শিক্ষার্থ জয়েন্ট করে। সেদিন খেলাফত মজলিস আমাদের খাবার দিয়ে সাহায্য করে। শুকনো খাবার তারা সরবরাহ করে। সেদিন আমরা ফান্ড কালেকশন করে বিএনএস সেন্টারে আগাগোড়ায় বাংলাদেশের মানচিত্র টানিয়ে দেই। বেলা চারটা বাজার পর আমাদের মধ্যে একটা চিন্তা হয় যে আমরা এতোগুলো শিক্ষার্থীর যে লিড দিচ্ছি, শাপলা চত্বরের কথা আমার মনে পড়ে যায়। আমাদের আর এখানে থাকা ঠিক হবে না। তখন সিদ্ধান্ত নিলাম যে আজ এখানেই শেষ। আমরা এখন মিছিল করতে করতে যার যার ক্যাম্পাসে চলে যাবো। ১৬ তারিখ জাহাঙ্গীরনগর বিশ^বিদ্যালয়ে হামলা হয় আবার আবু সাঈদও শহীদ হন। সেদিন সারারাত ঘুম হয়নি। ১৭ তারিখ আমরা গায়েবানা জানাযার আয়োজন হয় যার যার ভার্সিটির। সেদিন সন্ধ্যার পর মশাল মিছিল করি। সেখানে মেয়েদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। দেখলাম সব মেয়েরা চলে এলো। এখানে আমি যাদের কৃতিত্ব দেই তিনি হলেন সোহাগ ভাই, মুনতাসির ভাই। ওনারা ২৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী। সেদিনের মশাল মিছিল ব্যাপক আকার ধারণ করে। এরপর ১৮ তারিখ গুগোলে মিটিং করি। সিদ্ধান্ত হয় যার যা কিছু আছে সব নিয়ে আসতে হবে। কারণ হামলা হতে পারে। ওদিন আমার বলে রাখি যে মাস্ক পেস্ট,সানগ্লাস এগুলো লাগবে। সকাল ৮টায় ভার্সিটির সামনে একে বাঁশ রড সব রেডি করি। এদিন আমাদের মিডটার্ম পরীক্ষা ছিল। সবাই পরীক্ষা বর্জন করি।

দৈনিক সংগ্রাম : এরপর ?

উমর ফারুক : আমরা মাইলস্টোন আসার পর, মাইলস্টোনের শিক্ষার্থীরা আমাদের সাথে যোগ দেয়। জমজমের কাছে যাওয়ার সাথে সাথে পুলিশ বাধা দেয়। বেড়িকেড দেয়। তখন দেখা গেল সবদিক থেকে শিক্ষার্থীরা আসতেছে। সেদিন বিএনএসে ঢুকার সাথে সাথে ফায়ারিং শুরু হয়। আমি সামনে ছিলাম। সেখানে সাথে সাথে টেয়ারসেল মারা শুরু হয়। দেখলাম বিএনএসের পাশের মসজিদের সামনে একটা ছেলেকে গুলী করা হলো। তার অবস্থা খুব খারাপ ছিল। ওর উপর সাজোয়াজান তুলে দেয় পুলিশ। ওই লাশটা সারাদিন ওখানে পরে ছিল। আমরা কিছুক্ষণ অলিগলিতে লুকিয়ে থাকি। কিছুক্ষণ পর আবার আমরা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়াতে লিপ্ত হই। এক পর্যায়ে র‌্যাব আমাদের কাছে আত্মসমর্পন করে। কারণ র‌্যাবের এক ড্রাইভার গাড়ি ব্যাক গেয়ার দিয়ে আমাদের শিক্ষার্থীদের ওপর তুলে দেয়। তখন আমাদের শিক্ষর্থীরা ড্রাইভারকে ধরে পিটুনি দেয়। তাতে তার অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। তখন র‌্যাব আমাদের কাছে নতি স্বীকার করে বলে অমরা আর তোমাদের ওপর গুলী করবো না। পুলিশও কিন্তু একইভাবে বলেছিল যে আমরা গুলী করবো না। এসময় যে তাদের কাছে গোলাবারুদ ছিল না তা কিন্তু বুঝতে পারিনি। কিছুক্ষণের মধ্যে দেখলাম এম্বুলেন্স এলো। এরমধ্যে গোলাবারুদ ছিল। তখন পুলিশ র‌্যাব আবার গুলী করা শুরু করে। তখন বিএনএস সেন্টারে টিন দিয়ে প্রটেকশনের ব্যবস্থা করা হয় যাতে গুলী থেকে আমরা নিজেদের বাঁচাতে পারি। সেদিন রাস্তাঘাট, মেডিকেল সব রক্তে ভরে যায়। যেখানেই যাই দেখি রক্ত আর রক্ত। সময় যাচ্ছে আর হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে গুলীতে। আসরের নামাজের সময় আমি মসজিদে যাই যে মাইকে ঘোষণা দেবো যে আমাদের অনেক ভাইকে হত্যা করা হয়েছে আপনারা নেমে পড়–ন। ওখানকার মসজিদ কমিটি আমাকে মাইক দেয়নি ঘোষনা দেওয়ার জন্য। আমি তাদের বলি যে আপনারা একদিন হাশরের ময়দানে অপরাধীর কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। শেখ হাসিনাতো সারাজীবন থাকবে না। আপনাদের সাথে আবার দেখা হবে ইনশাআল্লাহ। আসার সময় দেখলাম রাস্তায় অনেক রক্ত। ওই সময়টা ¯œাইপার স্যুট করা হচ্ছিল। অবস্্থা এমন হয়েছিল যে, আপনি যেখানেই থাকুন না কেন, গুলী লাগতে পারে। সেদিন সন্ধ্যার দিকে আর ছাত্ররা ছিল না আন্দোলনে। সাধারণ পাবলিক আন্দোলনে নেমে যায়। এরপর রাতে একটা পোস্ট দেই। কিছুক্ষণ পর দেখি ওয়াই-ফাই বন্ধ হয়ে গেছে। আর কারো সাথে যোগাযোগ নাই।

দৈনিক সংগ্রাম : তারপর ?

উমর ফারুক : এরপর ১৯ তারিখ আবার সিদ্ধান্ত নেই ভার্সিটির ক্যাম্পাসে একত্রিত হয়ে আমরা গায়েবানা জানাযার নামায পড়লাম। সেদিন ঈমাম পাওয়া যাচ্ছিল না জানাযা পড়ার জন্য। এরপর চাপ দিলাম। কেন পড়াবেন না? এরপর রাজি হলেন। কিন্তু দোয়া করবেন না শহীদদের জন্য। ওই দিন আমার মেসের সবাই চলে যায় যার যার আত্মীয় স্বজনদের বাসায়। আমি আর দুইজন ছিলাম। সেদিন আমার বাসায় পুলিশ আসে। কে যেন বলে দেয় এই বাসায় আন্দোলনকারী আছে। গুলী খেয়েছে। তবে আমাদের বাসার দারোয়ান গেইট খুলেনি। সেদিন কিন্তু আমার গ্রেফতার হওয়ার ভয় ছিল। পুলিশ প্রতিদিন আসে। আমি তিনদিন এক বাসায় থাকি। এরপর আবার মেসে যেতে হয় আমাকে। সেখানে কেউ নাই। একধরণের জেলখানার মতো অবস্থা। সারাদিন স্থানীয় বাচ্চাদের সাথে খেলাধুলা করতাম আর সন্ধ্যায় মেসে ঢুকে লাইট অফ করে দিয়ে বসে থাকতাম। এভাবে ২৭ তারিখ চলে আসে। আমার কাছে মনে হতে লাগলো আন্দোলন থেমে গেছে। বরগুনা থেকে ভাই ফোন করলো তুই আমার কাছে চলে আসো। কয়েকদিনের জন্য। ২৮ তারিখ আমি বরগুনার দিকে রওয়ানা দেই। রাস্তায় রাস্তায় চেক করে। আমি মোবাইল থেকে সবকিছু ডিলেট করে দেই। যাতে মোবাইলে কিছু না পায়। এরপর দেখি আন্দোলন আবার চাঙ্গা হচ্ছে। আমি বরগুনা থেকে আফসোস করি কেন ঢাকা ছেড়ে বরগুনা এলাম।

দৈনিক সংগ্রাম : এরপর কি করলেন?

উমর ফারুক : আমি বরগুনায় যোগাযোগ করি। সেখানে কিভাবে আন্দোলন করা যায়। ৩০ তারিখ চলে এলো। সবাই ফেসবুক লাল করে দিলো। আমি আবার ঢাকার ভাইদের সাথে যোগাযোগ করি। সেখানে অবাক হয়ে দেখি কি, সেখানে একদিন ছাত্রলীগ রাস্তায় নামে আরেকদিন আন্দোলনকারীরা নামে। চমৎকার লিয়াজো। যারা আগের দিন ছাত্রলীগ হিসেবে রাস্তায় নামছে পরদিন তারাই আবার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নামছে। ওখানে দেখলাম বিএনপির জামায়াত ছাত্রলীগ সবই এক। সরকার শুধু পরিবর্তন হয়। চার তারিখে বরগুনাতে দায়িত্ব দেওয়া হয় যে সেখান থেকে একলক্ষ লোক ঢাকায় যাবে। এর আগে তিন তারিখ সমন্বয়ক হওয়ার প্রস্তাব করা হয়। অবাক করা বিষয় হলো যে, তখন লোক পাওয়া যায়নি সমন্বয়ক হওয়ার জন্য। এরপরও সিনিয়র দেখে ১৭ জনের একটা লিস্ট পাঠাই।

দৈনিক সংগ্রাম : কখন জানতে পারলেন শেখ হাসিনার পলায়ন করেছে ?

উমর ফারুক : আমরা আগে থেকেই জানতাম পদত্যাগ করবে। কিন্তু পালাবো সেটা জানতাম না। তিন তারিখে এমন একটা আলোচনা চলছিল। আমাদের ধারণা ছিল দুই এক দিনের মধ্যে হবে।