জুলাই-আগস্ট আন্দোলন চলাকালে ঢাকার আশুলিয়ায় ৬ জনের লাশ পোড়ানোসহ সাতজনকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক এমপি সাইফুল ইসলামসহ ১৬ আসামীর বিরুদ্ধে ১২তম সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন কনস্টেবল রাশেদুল ইসলাম।
গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ জবানবন্দিতে কনস্টেবল রাশেদুল ইসলাম জানান, গত বছরের ৫ আগস্ট তিনি ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানায় কনস্টেবল (ড্রাইভার) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ঐদিন ডিউটি না থাকায় তিনি থানার চতুর্থ তলায় অবস্থান করছিলেন। বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটের দিকে লোকজনের হইচই ও গুলীর শব্দ শুনে নিচে নেমে আসেন। সেখানে এসে দেখতে পান থানার মেইন গেইটের বাঁ-দিকে রাস্তার ওপর লাশ স্তূপ করে রাখা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এরপর ওসি সায়েদের নির্দেশে তিনি পাশে থাকা নীল রঙের ব্যানার দিয়ে লাশ ঢেকে দেন। এসময় ওসি সায়েদের সঙ্গে ছিলেন, ওসি (তদন্ত) মাসুদুর রহমান, ওসি (অপারেশন) নির্মল কুমার দাস, এএসআই বিশ্বজিৎ, কনস্টেবল মুকুল চোকদার, ডিভি ইনচার্জ।
এরপর তিনি পাঞ্জাবি ও টুপি পরে সেখান থেকে গিয়ে রূপায়ণে বন্ধুর বাসায় আশ্রয় নেন। পরে জানতে পারেন আশুলিয়া থানায় থাকা লাশগুলো পুলিশ ভ্যানে তুলে পুড়িয়ে দিয়েছে। সাক্ষী বলেন, যারা এই কাজ করেছে তারা অমানাবিক কাজ করেছে।
এ মামলায় গ্রেপ্তার আসামীরা হলেন ঢাকা জেলার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. আব্দুল্লাহিল কাফী, ঢাকা জেলা পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহিদুল ইসলাম, পরিদর্শক আরাফাত হোসেন, এসআই মালেক, এসআই আরাফাত উদ্দিন, এএসআই কামরুল হাসান, আবজাল ও কনস্টেবল মুকুল। তবে সাবেক এমপি সাইফুলসহ আটজন এখনও পলাতক রয়েছেন।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের গতকাল সকালে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য বুধবার দিন ধার্য্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল।