ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে গতকাল শুক্রবার রাজধানীসহ সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

ইসকনসহ যেকোনো সংস্থার ভূমিকা বা অর্থনৈতিক অংশগ্রহণ যদি অপরাধে সহায়তার প্রমাণ মেলে, তবে তা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং জড়িত থাকলে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবি জানিয়েছে ইন্তিফাদা বাংলাদেশ।

গতকাল শুক্রবার জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে সংগঠনটি ছয় দফা দাবি তুলে ধরে।

সমাবেশে জানানো হয়, সাম্প্রতিক সময়ে নারী নির্যাতন, অপহরণ, হত্যা ও ইসলামবিদ্বেষমূলক কর্মকাণ্ডের ঘটনায় সমাজে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। এসব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত, দোষীদের দ্রুত বিচার এবং মুসলিম নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিও জানায় সংগঠনটি।

ইন্তিফাদা বাংলাদেশের নেতাদের মতে, গাজীপুরে ধর্ষণ ও টঙ্গীতে অপহরণ-হত্যার ঘটনাগুলো প্রশাসনিক উদাসীনতা ও বিচারহীনতার সংস্কৃতির ফল। তারা মনে করেন, ভুক্তভোগীদের দোষারোপের প্রবণতা বন্ধ করে পুলিশ ও প্রশাসনের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা জরুরি।

সমাবেশে বক্তারা রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ইসলামবিদ্বেষ ও কাঠামোগত বৈষম্য রোধে জাতীয় নীতি ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তারা বলেন, মুসলিম নারীর সম্মান ও নিরাপত্তা রক্ষায় নির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন এবং আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে ইসলামবিদ্বেষ বিরোধী কর্মকাণ্ডে যুক্ত ইমাম, নাগরিক ও সংগঠনগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

ইন্তিফাদা বাংলাদেশ মনে করে, দেশে বারবার ইসলাম বিদ্বেষী ঘটনা ঘটলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা উদ্বেগজনক। সংগঠনটি দাবি জানায়, ইসলাম ও ধর্মীয় ব্যক্তিত্বদের অবমাননার ঘটনা রোধে কার্যকর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।

দাবির মধ্যে প্রথমেই সংগঠনটি জানায়, ইসকনসহ যেকোনো সংস্থার ভূমিকা বা আর্থিক অংশগ্রহণ যদি অপরাধ বা সহায়তার সঙ্গে জড়িত বলে প্রমাণিত হয়, তাহলে তা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং দায় প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।

দ্বিতীয় দাবিতে বলা হয়, গাজীপুরে সাম্প্রতিক ধর্ষণ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট পুলিশ বিভাগকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। ভুক্তভোগীকে দোষারোপের প্রবণতা বন্ধ করে পুলিশ ও প্রশাসনের আচরণে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে এবং ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

তৃতীয় দাবি হিসেবে সংগঠনটি টঙ্গী এলাকার অপহরণ ও হত্যার ঘটনায় দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্ত চালিয়ে দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার আহ্বান জানায়।

চতুর্থ দাবিতে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ইসলামবিদ্বেষ ও কাঠামোগত বৈষম্য রোধে একটি জাতীয় নীতি ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের কথা বলা হয়। তাদের মতে, ইসলাম ও মুসলমানদের প্রতি বিদ্বেষমূলক আচরণ বন্ধে রাষ্ট্রীয়ভাবে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা জরুরি।

পঞ্চম দাবিতে মুসলিম নারীর সম্মান ও নিরাপত্তা রক্ষায় সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন এবং আইনগত সুরক্ষা নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়। তারা মনে করেন, সমাজে নারী নির্যাতন ও ধর্মীয় বৈষম্যের ঘটনা বেড়ে চলায় এর প্রতিরোধে স্পষ্ট আইন প্রণয়ন প্রয়োজন।

ষষ্ঠ দাবিতে ইসলাম বিদ্বেষ বিরোধী কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ইমাম, নাগরিক ও সংগঠনগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিতের আহ্বান জানানো হয়।

সমাবেশ শেষে সংগঠনের নেতাকর্মীরা বায়তুল মোকাররম থেকে শাপলা চত্বর অভিমুখে একটি সংক্ষিপ্ত মিছিল বের করেন।

খেলাফত আন্দোলন: গাজীপুরের টঙ্গী মরকুন এলাকার টিএনটি কলোনী জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মহিবুল্লাহ মিয়াজীকে ভারতীয় এজেন্ট উগ্রপন্থী ইসকন সন্ত্রাসী বাহিনী কর্তৃক গুম করে হত্যা চেষ্টা, মুসলিম ছাত্রীকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ ,এডভোকেট সাইফুর রহমান আলিফ হত্যাসহ ইসকনের সকল অপতৎপরতা বন্ধ এবং ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে গতকাল শুক্রবার বাদ জুমা রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে। দলের আমীর মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দলের মহাসচিব মাওলানা ইউসুফ সাদিক হক্কানী, নায়েবে আমির মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি সুলতান মহিউদ্দিন, প্রচার সম্পাদক মাওলানা সাইফুল ইসলাম সুনামগঞ্জী, মুফতি আবুল হাসান কাসেমীসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতৃবৃন্দ।

সভাপতির বক্তব্যে আমিরে খেলাফত মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী বলেন, উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ইসকন দীর্ঘদিন যাবৎ বাংলাদেশে হিন্দু মন্দির স্থাপন ও হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠার নামে ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে চালিয়ে যাচ্ছে। ইসকন বাংলাদেশকে অভিন্ন ভারত ঘোষণার দাবিদার, অবৈধ অর্থ পাচার, ধর্মীয় পরিচয় গোপন রেখে মুসলিম নারীদের সাথে অবৈধ প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করে ব্ল্যাকমেল করে ধর্ষণের মত নির্লজ্জ কাজে জড়িত। মুসলমানদের পবিত্র কোরআন পোড়ানো, বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করনে ইসকন ইসরাইলি কায়দায় বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় একের পর এক আস্তানা গড়ে তুলছে। এ সন্ত্রাসী সংগঠনের সকল কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে।

মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী বলেন, উগ্র হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী সংগঠন ইসকন অ্যাডভোকেট আলিফকে হত্যা করেছে, টঙ্গীতে জুমা মসজিদের ইমামকে গুম করে ভারত সীমান্তে নিয়ে গেছে, মুসলমান মেয়েদের ইজ্জত নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে, বারবার পবিত্র কোরআনের অবমাননা করছে, ইসলামকে কটূক্তি করছে, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার উস্কানি দিচ্ছে। ইসকন দেশের শত্রু, মানবতার শত্রু, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির শত্রু, ইসলাম ও মুসলমানদের শত্রু। ইসকনকে অবিলম্বে নিষিদ্ধ করতে হবে। অন্যথায় আন্দোলনের দাবানল সারা দেশে ছড়িয়ে পড়বে।

মাওলানা সুলতান মহিউদ্দিন বলেন, ইসকন নামক বিতর্কিত সন্ত্রাসী সংগঠনটি আরব বিশ্বসহ পৃথিবীর অনেক দেশে নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ এরা কিভাবে তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছে দেশবাসী জানতে চায়। দেশ ইসলাম ও মানবতা রক্ষায় ইসকনের বিরুদ্ধে দেশপ্রেমী তাওহিদী জনতা কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।

জবি সংবাদদাতা জানান, গাজীপুরের টঙ্গীতে ইমাম অপহরণ, হিন্দুত্ববাদী আগ্রাসন বন্ধ, দেশবিরোধী অব্যাহত ষড়যন্ত্রের দায়ে ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা। গতকাল বাদ জুমা এই বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাস থেকে শুরু হয়ে বাহাদুর শাহ পার্ক প্রদক্ষিণ করে ক্যাম্পাসে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। এসময় শিক্ষার্থীরা 'ইসকন তুই জঙ্গি, স্বৈরাচারের সঙ্গী', 'জঙ্গিবাদের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না', 'দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা' ইত্যাদি স্লোগান দেন।

সমাবেশে পদার্থ বিজ্ঞানের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা বলেন, 'বাংলাদেশে ইসকনের কাজ হচ্ছে মন্দির নির্মাণ করা, হিন্দুদের মাঝে সম্প্রতির বন্ধন বজায় রাখা। কিন্তু আমরা দেখি তারা হিন্দুত্ববাদী কার্ড খেলে পুরো দেশ অশান্ত করার পায়তারা করছে। শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পরও তারা দেশকে অশান্ত করার চেষ্টা করেছে। তারা আমাদের ভাই আইনজীবী আলিফকে প্রকাশ্যে হত্যা করেছে। বিশ্বের অনেক দেশেই ইসকন নিষিদ্ধ আছে। তাহলে বাংলাদেশে ইসকনকে নিষিদ্ধ করতে বাধা কোথায়? আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই ইসকন শুধু মুসলিম না তারা হিন্দুদেরও শত্রু, তারা মানবতার শত্রু। আমরা অবিলম্বে ইসকনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা চাই'।

জবি শাখা ইনকিলাব মঞ্চের আহবায়ক নূর মোহাম্মদ বলেন, 'ইসকন একটি ধর্মীয় সংগঠন। কিন্তু তারা ধর্মীয় কার্যক্রমের আড়ালে রাজনৈতিক স্বার্থে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা দাবি জানাই এটা স্পষ্ট করুক তাদের কার্যক্রম আসলে কি কি এবং তারা কোন কোন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তাদেরকে বাহির থেকেও আর্থিকভাবে সাহায্য করা হয়। কি উদ্দেশ্যে এবং কি জন্য করা হয় সেটাও আমরা জানতে চাই।

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ইব্রাহিম খলিল বলেন, 'আমরা ভেবেছিলাম জুলাই বিপ্লবের পর ইন্টেরিম সরকার সব ধরনের জঙ্গি কার্যক্রম পরিচালনা নিষিদ্ধ করবে। কিন্তু আমরা দেখছি তারা সেটি করতে ব্যার্থ হয়েছে। ইসকন তাদের জঙ্গি কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশে ইসকন নিষিদ্ধ আছে। কিন্তু আমাদের দেশে বিগত সময় দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রে তাদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সহযোগীতা করা হয়েছে। বর্তমানেও তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। ইসকন একটা জঙ্গি সংগঠন। সুতরাং আইন করে তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে'।

আইন ও ভূমি প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী আবদুল আলিম আরিফ বলেন, 'ইসকন এমন একটি সংগঠন যারা আমেরিকার আদালতে চারশতর উপরে শিশুদের যৌন নির্যাতনের জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। হিন্দুদের ভেতরেও তারা সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করছে। এছাড়াও তারা পূর্বে সিলেটে একজন ইমামকে হত্যা করেছে। চিম্ময় এর আগে একবার বলেছিল 'আওয়ামিলীগের আন্দোলন মানে ইসকনের আন্দোলন'। মুসলিম দেশের পাশাপাশি অনেক অমুসলিম দেশেও ইসকনকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং অনেক দেশে তারা নজরদারিতে আছে। সুতরাং সার্বভৌমত্ব রক্ষার স্বার্থেই ইন্টেরিমকে আইন করে ইসকন নিষিদ্ধ করতে হবে'।

চট্টগ্রাম ব্যুরো: উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ইসকনের হাতে এডভোকেট আলিফ হত্যাসহ গাজীপুরে ১৩ বছরের কিশোরীকে গণধর্ষণ, খতিব মাওলানা মুহিব্বুল্লাহকে গুম করে হত্যার চেষ্টা, বুয়েটের আত্মস্বীকৃত ধর্ষক শ্রীশান্ত রায়ের মুসলিম ছাত্রী ধর্ষণসহ দেশব্যাপী গুম, খুন, ধর্ষণ ও সহিংসতার দায়ে ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগর।

গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদের উত্তর গেইটে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর মাওলানা আলী উসমান।

সমাবেশ পরিচালনা করেন মহানগর প্রচার সম্পাদক মাওলানা ইকবাল খলিল।

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মুফতি হারুন ইযহার। তিনি বলেন, “ইসকন নামের এই সন্ত্রাসী সংগঠন দেশে সাম্প্রদায়িক অশান্তি ও অরাজকতা সৃষ্টি করছে। তারা মুসলমানদের ওপর হামলা চালাচ্ছে, ইমাম-খতিবদের নির্যাতন করছে, নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনাগুলোতেও জড়িত। সরকারকে অনতিবিলম্বে এ সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।”

বক্তারা বলেন, যেমনভাবে বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন ও ব্যক্তিকে অন্যায়ের দায়ে বিচার ও নিষিদ্ধ করা হয়েছে, ঠিক তেমনি ইসকনকেও আইনের আওতায় আনতে হবে। দেশে শান্তি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার স্বার্থে উগ্রবাদী এই সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা ছাড়া বিকল্প নেই।

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা নাসির মুনির, কেন্দ্রীয় ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা কামরুল ইসলাম, মহানগর নেতা মাওলানা শহিদুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুল হালিম, মাওলানা রিদওয়ানুল ওয়াহেদ, মাওলানা আশরাফ বিন ইয়াকুব ও মাওলানা আনাস বিন আব্বাস।

এসময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা জাকারিয়া মাদানী, মহানগর নেতা মাওলানা এমদাদ উল্লাহ সোহাইল, কলিম হোসাইন, জাহিদুল ইসলামসহ আরও অনেকে।

রাজশাহী

রাজশাহী ব্যুরো : শহীদ আলিফ হত্যার দ্রুত বিচার, গাজীপুর মসজিদের খতিব মাওলানা মহিবুল্লাহ মাদানীকে গুম করে হত্যার চেষ্টা এবং সারা দেশে মুসলিম মেয়েদের টার্গেট করে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের সাথে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ এনে ‘ইস্কন’কে নিষিদ্ধের দাবিতে রাজশাহীতে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার বাদ জুময়া ওলামা জনতা ঐক্য পরিষদের ব্যানারে নগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে এই কর্মসূচি পালিত হয়। এ সময় বক্তারা বলেন, ‘ইস্কন’ একটি জঙ্গী সংগঠন। অনেক দেশেই এদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে। অথচ আমাদের মুসলিম রাষ্ট্র এই জঙ্গী সংগঠনের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের কারণেই আমাদের মুসলমান মেয়েরা নিরাপদ নয়। মুসলমানদের ছদ্মবেশে তাদের দ্বারা প্রতিনিয়ত আমাদের দেশের নারীরা ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। তারা আরো অভিযোগ করে বলেন, “আমাদের কাছে অনেক তথ্য রয়েছে। তাই অতি দ্রুত যদি ইস্কনকে নিষিদ্ধ না করা হয় আমরা ওলামা-জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবো।” এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মালোপাড়া দারুল উলুম মাদরাসার মুহতামিম আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ, রাজশাহী জেলা খেলাফত মজলিস সভাপতি মুফতি আবুল বাশার, রাজশাহী কোর্ট জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মুফতি আব্দুল্লাহ সিরাজী, রাজারহাতা জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আক্তার মোহাম্মদ কাওসার হোসেন, মাসুম বিল্লাহ প্রমুখ।

সিলেট

গতকাল শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) বাদ জুমা সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোগলাবাজার জামে মসজিদের সামনে ছাত্র-জমিয়ত বাংলাদেশ দক্ষিণ সুরমা উপজেলা শাখার উদ্যোগে সন্ত্রাসী সংগঠন ইসকন কর্তৃক হিন্দু যুবকদের মাধ্যমে পরিকল্পিত মুসলিম কিশোরী ধর্ষণ ও গুম-খুনের প্রতিবাদে, টঙ্গীতে মসজিদের ইমামকে হত্যার হুমকি ও অপহরণের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে এবং ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে এক বিক্ষোভ মিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

শাখা সভাপতি শফিউল আলম তুহিনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক তোফায়েল আহমদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব জমিয়ত বাংলাদেশ সিলেট জেলা দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম রেজাউল করীম রাজু। বিশেষ অতিথি ছিলেন ছাত্র-জমিয়তের সাবেক কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ও সিলেট জেলা দক্ষিণ ছাত্র-জমিয়তের সহ-সভাপতি কে এম তাহমিদ হাসান এবং প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান নোমান।

এছাড়াও বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ সুরমা উলামা জমিয়তের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল কাদির, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আব্দুর রহমান রাহমানি, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুফতি শুয়াইব আহমদ মারুফ, অর্থ সম্পাদক মাওলানা আহমদ দিদার রাসেল এবং ছাত্র-জমিয়ত দক্ষিণ সুরমা শাখার সাবেক সভাপতি আব্দুর রহমান রুবেল। এতে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার উলামা, যুব ও ছাত্র জমিয়তের নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্তরের তাওহীদী জনতা অংশগ্রহণ করেন।

বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, ইসকন নামের সংগঠনটি বাংলাদেশের জন্য অশনিসংকেত। তাদের ইসলামবিদ্বেষী কার্যকলাপ, মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত এবং সমাজে বিভ্রান্তি সৃষ্টির কারণে দেশে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। বক্তারা আরও বলেন, ইসকন দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের শান্তিপ্রিয় মুসলমানদের বিশ্বাস, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে আসছে, যা দেশের ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সামাজিক স্থিতিশীলতার জন্য ভয়াবহ হুমকি।

ছাত্র-জমিয়ত বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানায়, ইসকনের সকল কার্যক্রম তদন্ত করে দ্রুত নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হোক, তাদের বিদেশি অর্থায়ন ও প্রচারণা কার্যক্রম বন্ধ করা হোক এবং ধর্মীয় শান্তি বিনষ্টের দায়ে দায়ীদের আইনের আওতায় আনা হোক।

বক্তারা বাংলাদেশের সংবিধানে ধর্মীয় অনুভূতি ও চেতনা রক্ষার নিশ্চয়তার বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, দেশের শান্তিপ্রিয় মানুষ, আলেমসমাজ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও যুবসমাজকে এখন ঐক্যবদ্ধ হয়ে ধর্ম ও দেশের মর্যাদা রক্ষায় ভূমিকা রাখতে হবে।

বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা শান্তিপূর্ণ ও সাংবিধানিক উপায়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন এবং দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন। বক্তারা বলেন, ইনশা আল্লাহ্, ছাত্র-জমিয়ত সর্বদা ইসলামের মর্যাদা ও জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।

হাটহাজারী

হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা : উগ্রহিন্দুত্ববাদী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) নিষিদ্ধের দাবিতে হাটহাজারীতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ, হাটহাজারী উপজেলা শাখা।

গতকাল শুক্রবার জুমার নামাযের পর হাটহাজারী ডাকবাংলো চত্বরে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন হেফাজতের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও হাটহাজারী মাদরাসার মুহাদ্দিস মাওলানা আশরাফ আলী নিজামপুরী। তিনি বলেন, ইসকনের কিছু সদস্যের বিরুদ্ধে ধর্মীয় উসকানি ও বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ উঠেছে, যা দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে ক্ষুণ্ন করছে। সাম্প্রতিক সময়ে গাজীপুরের এক ইমামকে অপহরণের ঘটনার নেপথ্যে ইসকনের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

তিনি সরকারের কাছে এ ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে হেফাজতের কেন্দ্রীয় সহকারী মহাসচিব শায়খুল হাদীস মাওলানা জাফর আহমদ বলেন, ধর্মীয় নেতাদের ওপর হামলা ও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের ঘটনায় কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। তিনি বলেন, দেশের শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষায় সব ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা বজায় রাখতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে হেফাজতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও উপজেলা সভাপতি মুফতি মুহাম্মদ আলী কাসেমী বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের যেকোনো অপচেষ্টা প্রতিহত করতে মুসলমান ও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সমাজকল্যাণ সম্পাদক মুহাম্মদ আহসান উল্লাহ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মাওলানা হাফেজ আলী আকবর, মাওলানা মাহমুদ হোসাইন, মাওলানা শফিউল আলম, উপজেলা সহসভাপতি মাওলানা আব্দুল্লাহ, মাওলানা ওজাইর আহমদ হামিদি, মাওলানা হাফেজ আব্দুল মাবুদ, জনাব মোরশেদ আলম, আবু তাহের রাজিব, মাওলানা মহিউদ্দীন, হাফেজ মো. জাকারিয়া, মাওলানা জিয়াউল হক, এইচ.এম. শহীদ, মাওলানা আমিনুল ইসলাম ও মাওলানা ওবাইদুর রহমান প্রমুখ। বিক্ষোভ পূর্ব সমাবেশ শেষে একটি মিছিল শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

নোয়াখালী

নোয়াখালী সংবাদদাতা : আলিপ হত্যা, ইমাম মহিব্বুল্লাহ গুম, গাজীপুরে আশামনি ধর্ষণ, বুয়েটে ধর্ষণ ও মুসলিম মেয়েদের টার্গেট করা হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ইসকনকে নিষিদ্ধকরণের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন নোয়াখালী সর্বস্তরের তাওহীদী জনতা। বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে ইয়াসিন নোমান (দায়িত্বশীল হেফাজতে ইসলাম নোয়াখালী) এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, মাওলানা নাসিম খতিব সোনাপুর মসজিদ, জামিয়া রশিদ হরিনারায়ণপুর মাদরাসার মহাপরিচালক মাওলানা জবির উদ্দিন, মুসলিমিয়াত নোয়াখালী নাজমুল হোসেন, মুসলিমিয়াত নোয়াখালী তানভীরুল ইসলাম।

শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) বাদ জুম্মা নোয়াখালী জেলা জামেহ মসজিদ-এর সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

এসময় বক্তারা বলেন, হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী সংগঠন ইসকনের সকল খুনী, ধর্ষকদের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করে দ্রুত বিচার করতে হবে। এতগুলো হত্যা, ধর্ষণের পরেও আমরা দেখতে পাচ্ছি আমাদের প্রশাসন, মিডিয়া ও আমাদের ইন্টেরিম সরকার সবাই আশ্চর্যজনক নিরবতা পালন করছেন। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলতে চাই বাংলাদেশ থেকে সন্ত্রাসী সংগঠন ইসকন নিষিদ্ধ করতে হবে এবং সকল খুন ও ধর্ষণের বিচার কার্যকর করতে হবে অন্যথায় এদেশের সর্বস্তরের মুসলিম জনতা তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলবে।

বক্তারা আরো বলেন, সন্ত্রাসী সংগঠন ইসকনকে নিষিদ্ধ করা না হলে নোয়াখালীর মুসলিম জনতা নোয়াখালী শহরকে অবরোধ ঘোষণা করবে। আমরা এই বিক্ষুব্ধ সমাবেশ থেকে আগামী সোমবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রধানের ঘোষণা জানায়। এসময় বিক্ষোভ-মিছিল ও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী জেলার শতশত মুসলিম জনতা।

শ্রীপুর

উপজেলা সংবাদদাতা : গাজীপুরের শ্রীপুরে হিন্দুত্ববাদী আগ্রাসন, মুসলিম নারী ও শিশু নির্যাতন এবং দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) জুমার নামায শেষে শ্রীপুর রেলগেইট এলাকায় এ বিক্ষোভের আয়োজন করে স্থানীয় ধর্মীয় সংগঠন শ্রীপুর ওলামা পরিষদ। সংগঠনের সভাপতি মাহমুদুল হাসান সজলের সভাপতিত্বে এবং মুফতি তরিকুল ইসলাম নোমানীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন কাজী মঈউদ্দিন আহমেদসহ স্থানীয় বিভিন্ন মসজিদের ইমাম ও ধর্মীয় নেতা।

বক্তারা বিটিসিএল জামে মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব মুফতী মুহিব্বুল্লাহ্ মাদানীকে অপহরণের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানান এবং দ্রুত বিচার দাবি করেন। তারা বলেন, “দেশে হিন্দুত্ববাদী আগ্রাসন ও মুসলিম নারী-শিশু নির্যাতনের ঘটনাগুলো উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। এসব কার্যকলাপ বন্ধে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।”

এ সময় বক্তারা দেশবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত সংগঠন ‘ইসকন’ নিষিদ্ধের দাবি জানান। বিক্ষোভ শেষে অংশগ্রহণকারীরা ‘দেশ ও ঈমান বাঁচাও’ শ্লোগান দিতে দিতে শ্রীপুর রেলগেইট এলাকা প্রদক্ষিণ করেন। আয়োজকরা জানান, ইসলামী মূল্যবোধ, জাতীয় ঐক্য ও দেশপ্রেম রক্ষায় তাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

রূপগঞ্জ

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) সংবাদদাতা : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হিন্দুত্ববাদী উগ্র সংগঠন ইস্কন নিষিদ্ধের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার(২৪ অক্টোবর)জুমার নামাজ শেষে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কর্ণগোপ এলাকায় সর্বস্তরের তাওহীদী জনতার উদ্দোগে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে হাফেজ মাওলানা মুফতি শিহাবউদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং হাফেজ মাওলানা মুফতি রাসেল আহমদ ফয়েজির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা মুফতি শহিদুল ইসলাম বাগিচা পুরী।

বক্তারা ইস্কনকে একটি “উগ্র হিন্দুত্ববাদী ও সন্ত্রাসী সংগঠন” আখ্যা দিয়ে সংগঠনটি দ্রুত নিষিদ্ধ করার দাবি জানান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শহিদুল ইসলাম বাগিচা পুরী বলেন,দেশে শান্তি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার স্বার্থে ইস্কন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।এ উগ্র সংগঠনকে আইনের আওতায় আনতে হবে। তারা এ্যাডভোকেট আলিফকে হত্যা করেছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে ইসলামী নেতৃবৃন্দ ও ইমাম-খতিবদের উপর হামলা চালিয়েছে, এমনকি গাজীপুরে গুমের ঘটনায়ও তাদের সম্পৃক্ততা রয়েছে। সন্ত্রাসী ইসকনের সদস্য যখন ধর্ষণ করে তখন তার পক্ষেই পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যন্ত বিবৃতি দেয়া হয় এবং ধর্ষণের ঘটনাকে প্রেমের সম্পর্ক বলে অপরাধকে ছোট করে ধর্ষককে বাঁচানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। পুলিশসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে ঘাপটি মেরে থাকা ইসকন সদস্য ও আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দালালদের বের করে বিচারের সম্মুখীন করতে হবে। তাই সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি সরকার যেন এই সন্ত্রাসী সংগঠনকে অনতিবিলম্বে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ওমর আলী ভূঁইয়া, আবু দায়েন ভূঁইয়া,আবু তৈয়ব ভূঁইয়া, আবু সায়েম ভূঁইয়া, আল আমিন মিয়া, আমির হোসেন, মোবাশ্বির ভূঁইয়া, আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া প্রমুখ।