সব দল তো দেখলাম। ক্ষমতায় গিয়ে নিজের আখের গোছাতে ব্যস্ত থাকে। আমাদের মতো গরীব মানুষের দিকে নজর দেয় না। নিজেরা দুর্নীতি করে টাকা কামায় আর দেশ বিদেশে সম্পদ গড়ে। এবার ঠিক করছি আগামী নির্বাচনে ভোট টা দাঁড়িপাল্লায় দিমু। একবার ভোট দিয়ে দেখি তারা কি করে। কথাগুলো বললেন, যাত্রাবাড়ি কাজী ফারুক সড়কের ফুটপাতে বসা ফল বিক্রেতা সাইদুর রহমান।
গতকাল শনিবার সকাল ১১টার দিকে কথা হলে তিনি জানান, জামায়াতকে শেষ করতে চাইছিল আওয়ামীলীগ কিন্তু পারে নাই। দেখেন কত মানুষ দলে দলে মিছিল নিয়ে যাইতেছে। সাইফুলের সাথে কথা বলার সময় ডেমরা রোড এলাকা থেকে জামায়াতের বিশাল মিছিল সমাবেশের দিকে রওয়ানা হয়। সবার গায়ে দাড়ি পাল্লা প্রতীক খচিত গেঞ্জি। মাথায় দাঁড়িপাল্লা খচিত ব্যান্ড। হাতে পতাকা।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কথা হয় আদমজী পরিবহনের বাস চালক মিঠু শেখের সাথে। এ সময় তার মাথায় বাধা দাঁড়িপাল্লা খচিত পতাকা। তিনি জানান, মানুষ এখন পরিবর্তন চায়। অনেকে আমাদের ভোট নিয়ে ক্ষমতায় গেছে কিন্তু আমাদের জন্য কিছু করেনি। এবার আমরা দাড়িপাল্লায় ভোট দিম্।ু দেখি জামায়াত আমাদের জন্য কি করে।
গুলিস্তান এলাকায় কথা হয় অটো রিকশা চালক সবুজের সাথে তিনি জানান, জামায়াতের মানুষ অনেক বাড়ছে। সকাল থেকে দলে মানুষ আসতেছে। এতো মানুষ জামায়াতের আগে জানতাম না। সব দলের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ। আমরা এবার জামায়াতকে চাই।
দোয়েল চত্তর এলাকায় বাদাম বিক্রেতা শরীফ হোসেন বলেন, মানুষ এবার জামায়াতে ভোট দিবো। দেখছনা কত্ত মানুষ আইছে। আমরা ভোটাটাও দাড়ি পাল্লায় দিমু। একবার ভোট দিয়ে দেখি তারা কি করে।
বঙ্গবাজার এলাকায় ফুটপাতের কাপড় বিক্রেতা তোফায়েল জানান, এত্ত মানুষ জীবনেও দেখিনা। সকাল থেকে শুরু মানুষ আর মানুষ। এরা জামায়াতের লোক। এত মানুষ জামায়াতের সমাবেশে আসবো এটা ভাবিনাই। আমিও অনেক দিন ধরে ভাবতেছি জামায়াতের উপর অনেক অত্যাচার হইছে। তারপরও মানুষ দলটাকে ভালোবাসে। আমিও আমার ভোটটা দাঁড়িপাল্লায় দিমু।