‘বাংলার ইতিহাসে আরেক নব্য রাজাকার জিয়াউর রহমান’। ২০২৪ সালের ২৭ মার্চ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট (বিআইএম) এর অফিশিয়াল গ্রুপে মহান স্বাধীনতার ঘোষক, আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সম্পর্কে এমনই অশালীন, কুরুচিসম্পন্ন ও মানহানিকর বক্তব্য লিখেছেন প্রতিষ্ঠানটির সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট কাউন্সেলর, সাবেক ছাত্র লীগ নেতা মোহাম্মদ নাজমী নেওয়াজ। বিআইএম’র এই অফিশিয়াল গ্রুপে শুধু জিয়াউর রহমানকে নিয়েই নয়, জঘণ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ^র চন্দ্র রায় ও সাবেক মন্ত্রী কারা নির্যাতিত নেতা আবদুস সালাম সালাম পিন্টুকেও। বাবু গয়েশ^রকে বলেছেন ভন্ড ও তার পতন অনিবার্য বলে মন্তব্য করেন। আবদুস সালাম পিন্টুকেও বলেছেন রাজাকার।

অভিযোগে প্রকাশ, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিআইএমে তে কর্মরত ভিন্নমতের উপর জুলুম নির্যাতন চালাতেন এই কর্মকর্তা। প্রতিষ্ঠানের সবাই তার ভয়ে তটস্থ থাকতেন। কর্মজীবনে সরকারি অর্থের অপব্যবহার ও লুটপাট, চাকরির নিয়ম ভঙ্গ করে দ্বৈত নাগরিকত্ব গ্রহণ, পরিবারের সদস্যদের অবৈধ প্রভাবে চাকরী দেয়াসহ শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা সনদের অসংঙ্গতি থাকার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

জানা গেছে, ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর এই নাজমী নেওয়াজ আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। অফিসে বসে অন্তর্বতী সরকারকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সরকারের নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রমোদ ভ্রমণের আয়োজন করেছেন। তার অনৈতিক ও অশোভন আচরণের যারা প্রতিবাদ করছেন বলে তার সন্দেহ হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রপাগান্ডা ছড়ানোরও অভিযোগ রয়েছে। অফিসে বসে ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসনে তিনি নিয়মিত মিটিং করছেন বলে জানা গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জামালপুর সরিষাবাড়ীর সাবেক এমপি মাহনেওয়াজের সন্তান এই নাজমী নেওয়াজ। তিনি নিজেকে ছাত্রলীগের (২০০৬-২০১১) রিপন-রোটন কমিটির সদস্য বলে পরিচয় দেন। দলীয় প্রভাব খাটিয়ে নিজেকে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট এর সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট কাউন্সেলর পদে উন্নীত করেন। তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, অসদাচরণ, রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র ও আইনবিরোধী কর্মকা-ের বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। তার কর্মকা- শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠানটির ভাবমূর্তিই ক্ষুন্ন করছে না, বরং রাষ্ট্রের স্বার্থের বিরুদ্ধেও যাচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সূত্র মতে, বিআইএম এর অফিশিয়াল গ্রুপ, তার বিভিন্ন ইমেইলে সহকর্মীদের প্রতি অবমাননাকর ও অশোভন মন্তব্য লক্ষ্য করা গেছে। বিআইএম এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রদান করে তিনি অফিসের শৃঙ্খলা নষ্ট করেছেন। গত ২৪/০৮/২০২৩ তারিখে প্রতিষ্ঠানের উর্দ্ধতন ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টা ড. মামুনুর রশিদকে দাপ্তরিক মেইলে যুদ্ধাপরাধী, রাজাকার, বুদ্ধিজীবি হত্যার নায়ক, ইতর শ্রেনীর উল্লেখ করে শিল্প মন্ত্রণালয় সহ সকল দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেন। একই প্রতিষ্ঠানের উর্দ্ধতন ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টা ড.উত্তম কুমার দত্তকে অনেকবার মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছেন। বিডিআর হত্যামামলার অন্যতম কুশিলব বলে খ্যাত মির্জা আজমের কথা বলে ভয়ভীতি প্রদর্শন করতেন কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের। তিনি নিজ মুখে সকলকেই ভয় দেখাতেনএই বলে যে, ছাত্রলীগের রিপন-রোটন কমিটিতে থাকাকালে বিআইএম’র মহাপরিচালকের পিএস জাফর আলীকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করেন। তার জঘণ্য মন্তব্য থেকে বাদ যাননি মহান স্বাধীনতার ঘোষক, আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ^র চন্দ্র রায় ও সাবেক মন্ত্রী কারা নির্যাতিত নেতা আবদুস সালাম সালাম পিন্টুও।

সূত্র মতে, নাজমী নেওয়াজ গত বছরের ২৭ মার্চ বিআইএম এর অফিশিয়াল গ্রুপে লিখেছেন, ‘আমার দাদা (পিতামহ) আবদুল হামিদকে (এক সময়কালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা) পাক হানাদার বাহিনী নদীর পাড়ে গুলি করে হত্যা করে লাশ পানিতে ফেলে দেয়। তার লাশ আজো আমরা পাইনি। পাক বাহিনী পুড়িয়ে দেয় আমাদের আদি বসত ভিটা, আমার বাবা দাদার সংগৃহিত কয়েক হাজার বইয়ের বিশাল লাইব্রেরী। পরবর্তীতে বাংলার ইতিহাসের আরেক নব্য রাজাকার জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে আর্থিক ও মানসিকভাবে আমাদের দমনের চেষ্টা চালায়। কারণ আমরা স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি, সাম্য আর সমতার পতাকায় সম্মিলিত-ধারণ করি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চেতনাকে। যারা শেখ মুজিবর রহমানের চেতনাকে ধারণ করে তাদের হারানো যায় না। তবে আমরা চারদিকে-এক্কেবারেই পাশে-ভদ্রবেশে সেই শকুনদের আজো দেখতে পাই। এরাই আজ দেশ ও জাতি উদ্ধারের দায়িত্ব নিয়ে বসে আছে বলে দাবি করে। করতে থাক তোরা ভন্ডামি। গয়েশ^রের আদর্শে চালিত- ধংস তোদের অনিবার্য। তিনি আরও লিখেন, বিআইএম-এর প্রশাসনিক ভবনের নিচতলায় ১১০ নং কক্ষের সাথে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের একটি ছবি ছিল। ড. উত্তমের মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানের পর থেকে ছবিটি আর পরিলক্ষিত হচ্ছে না। বিষয়টি অত্যন্ত বেদনাদায়ক। সেই নিজামী আর গয়েশ^রের চেলাচামুন্ডারা সর্বত্রই সক্রিয়। সাধু সাবধান’।

এর আগেও এই নাজমী নেওয়াজ চার দলীয় জোট সরকারের মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অশালীন ভাষায় বিআইএম এর অফিশিয়াল গ্রুপে লিখেছেন। তিনি জোট সরকারের মন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুকে রাজাকার আখ্যা দিয়ে লিখেছেন, ‘আমি ১৯৭১ দেখিনি। কিন্তু রাজাকার সম্পর্কে জানি। যারা এখনো আমাদের চারদিকে ঘুরাঘুরি করছে। আমাকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে ২০০৪ সাল। তখনকার রাজাকার মি. পিন্টুর কাছে গিয়েছিলাম (স্টেট মিনিস্টার) আমার বদলির আদেশ বন্ধের জন্য। তখন সেই রাজাকার পিন্টু কি আচরণ করেছিল সেটি ভুলে যাইনি’।

দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে নিয়ে নাজমী নেওয়াজের এমন মন্তব্যের বিষয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রশাসনের রন্দ্রে রন্দ্রে ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসররা এখনো বসে আছে। জিয়াউর রহমান একজন সেক্টর কমান্ডার। তিনি মহান স্বাধীনতার ঘোষক ও আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার। তার প্রতিষ্ঠিত দল বিএনপি একাধিকবার সরকার গঠন করেছে। উনাকে নিয়ে প্রকাশ্যে এভাবে অশালীন, কুরুচি সম্পন্ন ও মানহানিকর বক্তব্য কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। তিনি বলেন, কোটি কোটি মানুষ তার আদর্শ বুকে ধারণ করে। ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের দোসর নাজমী নেওয়াজের কত বড় সাহস সে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে নিয়ে এত বড় মন্তব্য করে, যা আমরা মুখে আনতেও পারছি না। তাকে নিয়ে এমন মন্তব্য আমরা সহ্য করবো না। আমরা ওই কর্মকর্তার অপসারণ চাই। তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষের কাছে তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। অন্যথায় প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান।

জানা গেছে, বর্তমানে ফ্যাসিস্ট সরকার হাসিনার পতন হলেও তিনি সরকার বিরোধী নানা কার্যক্রমের সাথে জড়িত। আর এইসব কাজে তাকে সরাসরি সহযোগিতা করছেন প্রকৌশলী তরিকুল ইসলাম, যিনি কুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ছিলেন। অভিযোগ উঠেছে, সম্প্রতি এই দুইজনের উদ্যোগে অস্ট্রেলিয়ার প্রমোদ ভ্রমণের অনুমতি দিতে মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়। আবেদনের বিষয়টি ব্যাখ্যা না করে সদ্য জয়েন করা বিআইএম’র মহাপরিচালক (ডিজি) থেকে সাক্ষর নেয়া হয়। যা ডিজি নিজেই স্বীকার করে বলেছেন, বিদেশ ভ্রমণের বিষয়টি আমি সেভাবে জানতাম না।

জানা গেছে, সরকারি চাকরির নিয়ম ভঙ্গ করে দ্বৈত নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন এই নাজমী নেওয়াজ। অথচ সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে দ্বৈত নাগরিকত্ব রাখার অনুমতি নেই এবং এটি বাংলাদেশের সংবিধান ও সরকারি চাকরি বিধিমালার পরিপন্থী। অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব গ্রহণের পাশাপাশি তিনি সেখানে ব্যবসা-বাণিজ্যও করছেন বলে জানা গেছে। অতি সম্প্রতি তিনি তার পরিবারসহ সরকারি অনুমোদন ছাড়াই অস্ট্রেলিয়ায় ভ্রমণ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি প্রশিক্ষণ বা সেমিনারের নাম করে অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার পাঁয়তারা করছেন। এজন্য তার উদ্যোগে একাধিকবার শুধু অস্ট্রেলিয়াতেই প্রশিক্ষণের জন্য আবেদন পাঠানো হচ্ছে। এরই মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয় অস্ট্রেলিয়াতে নাম স্বর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের আমন্ত্রণে ২৯ জনের একটি প্রমোদ ভ্রমণের আবেদন বাতিলও করেছেন। এটিরও আয়োজক ছিলেন এই নাজমী নেওয়াজ। বিআইএম’র একাধিক কর্মকর্তা বলেন, নাজমী নেওয়াজের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের আনুষ্ঠানিক তদন্ত কমিটি গঠন করা এখন সময়ের দাবি। সরকারি চাকরির শর্ত লঙ্ঘনের কারণে তার যথাযথ প্রশাসনিক ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে ভবিষ্যতে এই ধরণের কর্মকান্ড আরও বাড়বে বলে তারা মনে করছেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিআইএম’র মহাপরিচালকের (ডিজি) কক্ষে এ প্রতিবেদককে তিনি বলেন, আপনি কে? আপনি কি আমার ডিজি? নাকি আপনি আমার সচিব? আপনার কাছে কেন মন্তব্য করবো? এ সময় ডিজির উপস্থিতিতেই তিনি বলেন, সাংবাদিকদের আমার খুব চেনা আছে। নিউজের কথা বলে ২০ লাখ, এক পর্যায়ে ৫ লাখ টাকা চান, এটি তো আমি জানি। এক পর্যায়ে এ প্রতিবেদককে তিনি দেখে নিবেন বলেও হুমকি দেন। এসময় ডিজি বারবার উনাকে থামানোর চেষ্টা করলেও তিনি উত্তেজিত কন্ঠে হুমকিমূলক বক্তব্য দিতে থাকেন।

জিয়াউর রহমানকে নব্য রাজাকার বলার পরও কেন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি এবং তিনি সরকারি কর্মকর্তা হয়ে এ ধরণের বক্তব্য দিতে পারেন কি-না জানতে চাইলে বিআইএম’র মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব ড. খন্দকার আজিজুল ইসলাম দৈনিক সংগ্রামকে বলেন, আমি দেড় মাস হলো এখানে জয়েন করেছি। আমি তো এখন মাত্র দেখলাম। তিনি আমাদের অফিশিয়াল পেইজ এ সেক্টর কমান্ডার ও প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন সেটি সরকারি বিধি বহির্ভূত। এটি একটি গুরুতর অপরাধ। একজন সরকারি কর্মকর্তা কোনোভাবেই এ ধরণের বক্তব্য লিখতে পারেন না। এটা তো অফিশিয়াল গ্রুপ। এখানে অফিসের নানা বিষয় আলোচনা হয়ে থাকে। তিনি চাকরী বিধি ভঙ্গ করেছেন বলে আমি মনে করি। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া যায় বলে তিনি জানান।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (বৈদিশিক প্রশিক্ষণ ও এনপিও) শামীম সুলতানা বলেন, জিয়াউর রহমানসহ যাদের নাম বলছেন, তাদের বিরুদ্ধে যেটা লিখেছে সেটি বড় অপরাধ। তবে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। কেউ যদি প্রয়োজনীয় ডকুমেন্স মন্ত্রণালয়ে পাঠায়, তাহলে অবশ্যই আমরা তদন্ত করে দেখবো। অভিযোগ প্রমাণিত হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সূত্র মতে, সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা ১৯৭৯-এর ২৫(১) অনুযায়ী, সরকারি কর্মচারীর কোনো রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার সুযোগ নেই। সরকারি কর্মচারী বিধিমালায় বিভিন্ন অপরাধের শাস্তি নির্ধারিত আছে। এখানে দুই ধরণের অপরাধেরই শাস্তির কথা বলা আছে।- লঘুদন্ড ও গুরুদন্ড। লঘুদন্ডে তিরস্কার, নির্দিষ্ট মেয়াদে পদোন্নতি বা বেতন বৃদ্ধি স্থগিত, জরিমানা এবং বেতন গ্রেডেও অবনমন রয়েছে। আর গুরুদন্ডগুলোও চার ধরনের- বেতন গ্রেডের অবনমন, বাধ্যতামূলক অবসর, চাকরি থেকে অপসারণ এবং বরখাস্ত করার বিধান রাখা হয়েছে। এ ছাড়া কোনো অভিযোগ গুরুতর হলে কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নোটিশ, তদন্ত ও বিভাগীয় মামলা হয়।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক জাকির হোসেনের মতে, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রাষ্ট্রের সেবক। কোনো দলের কর্মচারী না। কোনো দলের প্রতি ভালোবাসা এবং আদর্শের প্রতি ভালোবাসা থাকতেই পারে। তবে সেটা কখনোই দায়িত্ব পালনকালে এমনভাবে প্রকাশ করা যাবে না, যেটি গুরুতর অপরাধ বা অপরাধের মধ্যে পড়ে। জিয়াউর রহমানকে নিয়ে যে মন্তব্যের কথা আপনি বলছেন, সেটি খুবই গুরুতর। এটি তদন্ত সাপেক্ষে বিচার হওয়া হওয়া প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।