ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী কাজ করবে- ডিএনসিসি প্রশাসকের এমন বক্তব্য নাকচ করে দিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। গতকাল মঙ্গলবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর- আইএসপিআর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, এ ধরনের কার্যক্রমে সেনাবাহিনীর সম্পৃক্ত হওয়ার পরিকল্পনা নেই। এর আগে সোমবার সেনাবাহিনীর সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে একই বক্তব্য দিয়েছিলেন কর্নেল শফিকুল ইসলাম।

গত ২২ এপ্রিল নগর ভবনে এক ব্রিফিংয়ে ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ঢাকা উত্তরে মশার ওষুধ ছিটানোর কার্যক্রম ঠিকাদারকে দিয়ে করানো হচ্ছে। সে অবস্থান থেকে সরে এসেছে ডিএনসিসি। এখন থেকে সেনাবাহিনী মশা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব পালন করবে।

তার ওই বক্তব্যের বিষয়ে আইএসপিআর তাদের বিজ্ঞপ্তিতে বলছে, সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে আসা এক বক্তব্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক বলেছেন, আসন্ন ঈদুল আযহায় কুরবানির পশুর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে সেনাবাহিনী নিয়োগ করা হবে। সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এ ধরনের কোনো কার্যক্রমের বিষয়ে অবগত নয় এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের কোনো কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হওয়ার পরিকল্পনা নেই। বর্তমান প্রেক্ষাপটে সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব ও জননিরাপত্তা নিশ্চিতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়। এ ধরনের কার্যক্রম (মশক নিধন- বর্জ্য ব্যবস্থাপনা) পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট ও উপযুক্ত সংস্থাসমূহকে দায়িত্ব দেওয়াই যৌক্তিক বলে মনে করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

ডিএনসিসির বক্তব্য : সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসকের একটি বক্তব্য উল্লেখ করে দাবি করা হয়েছে যে, আসন্ন ঈদুল আযহায় কুরবানির পশুর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং ডেঙ্গু মশা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে সেনাবাহিনী নিয়োগ করা হবে, যা সত্য নয় বলে গতকাল মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে সংস্থাটির জনসংযোগ বিভাগ। জনসংযোগ কর্মকর্তা মো: জোবায়ের হোসেন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কতিপয় গণমাধ্যমে এবং সামাজিক মাধ্যমে বিষয়টি ভুলভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। আসন্ন ঈদে কুরবানির বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব ডিএনসিসি পালন করবে বলে জানিয়েছেন ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব ও জননিরাপত্তা নিশ্চিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ডিএনসিসি সেনাবাহিনীর এসকল কার্যক্রমে গর্বিত। ডিএনসিসিসহ বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নে সেনাবাহিনী, সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর এবং সেনাবাহিনীর বিভিন্ন সহায়ক প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা উল্লেখযোগ্য। আসন্ন বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গু মশা নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী নয়, বরং সেনা বাহিনীর সহায়ক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ম্যাশিন টুলস ফ্যাক্টরির (বিএমটিএফ) সহযোগিতা গ্রহণ করা হবে। বিএমটিএফ সেনাবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যে সিলেট, চট্টগ্রাম এবং নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনে মশক নিধন কার্যক্রমে কারিগরি সহায়তা প্রদান করেছে।