ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. আ. ফ. ম খালিদ হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশ সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম অধ্যুষিত দেশ। এদেশের মানুষ ঈমানের ব্যাপারে ও দীনের ব্যাপরে আপোসহীন। কুরআন ও সুন্নাহর কথা বললে তারা দ্বিধাহীনভাবেই তা গ্রহণ করেন। কিন্তু পাকিস্তানি শাসনামলে মুসলিম পারিবারিক আইন নামে আমাদের ওপর এমন কিছু বিধান চাপিয়ে দেয়া হয়েছিল, যার কিছু কিছু বিষয় ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক। সচেতন আলেম সমাজ এ নিয়ে কথা বললেও অদ্যাবধি এর সুষ্ঠু সমাধান হয়নি। আমরা আশা করছি, সরকার বিষয়টি আমলে নিয়ে বিশেষজ্ঞ আলেমগণের সমন্বয়ে এটি সমাধান করবেন।
গতকাল সোমবার বাংলাদেশ মসজিদ মিশন আয়োজিত “মুসলিম পারিবারিক আইন প্রেক্ষিত বাংলাদেশ” শীর্ষক সেমিনার ও ইমাম সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মসজিদ মিশনের সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা যাইনুল আবেদীনের সভাপতিত্বে ও জেনারেল সেক্রেটারি ড. মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানীর পরিচালনায় সেমিনার ও ইমাম সম্মেলনে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. নকীব মোহাম্মদ নাসরুল্লাহ, বিশেষ অথিতি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ শামছুল আলম, ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোঃ আঃ ছালাম খান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, প্রফেসর ড. এবিএম মাহবুবুল ইসলাম। আন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইসলামী ব্যাংক শরিয়া কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি সাঈদ আহমদ মুজাদ্দেদী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. নিজাম উদ্দিন, তা’লিমুল কুরআন ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল হালিম, ইসলামিক কানুন বাস্তবায়ন পরিষদের আমীর মাওলানা আবু তাহের জিহাদী, ব্রিটিশ একাডেমিশিয়ান ও ব্রিটিশ কারিকুলাম বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ড. আবুল কালাম আজাদ, বাইতুস শরফ দরবার শরিফের ড. মাওলানা ঈসা শাহেদী, মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ (শায়খ জাকারিয়া ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার), প্রফেসর ড. ওয়ালী উল্লাহ, প্রফেসর ড. আ.ন.ম রফিকুর রহমান মাদানী, অধ্যক্ষ আ.খ.ম আবু বকর সিদ্দিক, মুফতি রেজাউল করিম আবরার, মুফতি মুহিবুল্লাহিল বাকী ও অধ্যক্ষ মাওলানা মোশাররফ হোসেন।
প্রধান আলোচক ড. নকীব মোহাম্মদ নাসরুল্লাহ বলেন, প্রত্যেক মুসলিমকে ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক সকল ক্ষেত্রেই ইসলাম পালন করতে হয়। কিš‘ বিদ্যমান আইনি বাধ্যবাধকতার কারণে তারা চাইলেও কিছু বিষয়ে ধর্মীয় বিধান পালন করতে পারছে না। জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী ন্যায় ও ইনসাফের বাংলাদেশে এ সমস্যার দ্রুত সমাধান করার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবী জানাই।
সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা যাইনুল আবেদীন তার বক্তব্যে সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপনের পাশাপাশি কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী যাবতীয় আইন সংস্কার করে এদেশের ধর্মপ্রাণ মানুষের আস্থা অর্জনের জন্য সরকারের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান এবং এ বিষয়ে আলেম সমাজ ও ইমামগণকে অগ্রণী ভূমিকা পালনের আহবান জানান।