রাজধানীর পুরান ঢাকায় মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে মো. সোহাগ হত্যা মামলায় রিমান্ড শেষে তিন আসামীর দায় স্বীকার করে জবানবন্দী দেওয়ার তথ্য দিয়েছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রিমান্ড শেষে তিনজনকে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতয়ালী থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান। আসামীরা জবানবন্দী দিতে রাজি হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন তিনি। এ মামলায় গ্রেপ্তার নয়জনের মধ্যে এদিন জবানবন্দী দেওয়া আসামীরা হলেন- টিটন গাজী, মো. আলমগীর ও মনির ওরফে লম্বা মনির। আদালতে কোতয়ালী থানার প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই তানভীর মোর্শেদ চৌধুরী এসব আসামীর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেওয়ার তথ্য দেন।

আলোচিত এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পর ঢাকার মহানগর হাকিম মো. মনিরুল ইসলাম আসামী টিটন গাজীর, আরেক মহানগর হাকিম মোহাম্মদ এহসানুল ইসলাম আসামী মো. আলমগীরের এবং মনির ওরফে লম্বা মনির মহানগর হাকিম আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জোনাইদের আদালতে জবানবন্দী দেন। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানো হয় বলে জানান এসআই তানভীর।

ঢাকার আদালত গত রোববার আলমগীর ও মনিরের চার দিন এবং শনিবার টিটন গাজীর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। এদের বাদে গ্রেপ্তার অপর আসামীরা হলেন- মাহমুদুল হাসান মহিন, তারেক রহমান রবিন, সজীব ব্যাপারী, মো. রাজিব ব্যাপারী, নান্নু কাজী ও রিজওয়ান উদ্দীন ওরফে অভিজিৎ বসু। ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বুধবার মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর গেইটের সামনে কংক্রিট বোল্ডার দিয়ে শরীর ও মাথা থেতলে হত্যা করা হয় ভাঙারি ও পুরনো তারের ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে। এরপর এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। পুলিশ ও স্থানীয়রা বলছেন, ওই হত্যাকা-ে যাদের অংশ নিতে দেখা গেছে এবং নেপথ্যে যাদের নাম আসছে, তারা সবাই পূর্ব পরিচিত।

একসময় তাদের কয়েকজন সোহাগের ব্যবসার সহযোগী ছিলেন। ব্যবসা সংক্রান্ত বিরোধে এমন ভয়ংকরভাবে কাউকে হত্যা করা হতে পারে, তা পরিচিতজনদের ধারণারও বাইরে।