ওয়াকফ বিল এর বিতর্কিত সংশোধন ঘিরে ভারতজুড়ে সংখ্যালঘু নির্যাতনে বাংলাদেশের মানুষ উদ্বিগ্ন। ওয়াকফ সম্পত্তির উপর ভর করেই এই অঞ্চলের মানুষের শিক্ষা ও অগ্রগতি হয়ে আসছে। মুসলমানদের টার্গেট করেই তড়িঘড়ি করে লোকসভায় এ বিল পাস করা হয়েছে যাতে মুসলমানদের বলির পাটা বানানো যায়। গণশক্তি সভা কর্তৃক আয়োজিত ভারতের সংখ্যালঘু নিরাপত্তার স্বরূপ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশিষ্ট আইনজীবী, বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের সরকারি সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, মোদি সরকার নোংরা সম্প্রদায়িক প্রতিহিংসার বশীভূত হয়ে মুসলিম নিধনে নেমেছে। মোদি সরকার যে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে তা এই উপমহাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে হুমকির মুখে ফেলবে। সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠতাকে ব্যবহার করে মুসলিম অধিকার ছিনিয়ে নেয়ার খেলা বন্ধ করতে হবে। শত শত কোটি ডলারের ওয়াকফ সম্পত্তি কুক্ষিগত করার নীল নকশা বাস্তবায়ন করছে মোদি সরকার। ভারত সরকার যদি অবিলম্বে বিল প্রত্যাহার করে না নেয় তাহলে বাংলাদেশের মানুষ বৃহত্তর কর্মসূচি দিয়ে ভারতকে উচিত জবাব দেবে।
জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত পর্যালোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ শহিদুল ইসলাম। গণশক্তি সভার সভাপতি সাংবাদিক সাদেক রহমান এর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রবন্ধ পাঠ করেন সিনিয়র সাংবাদিক হাবিবুর রহমান পলাশ। প্রবন্ধকার তার প্রবন্ধে বলেন, ভারতে ইসলাম বিদ্বেষ অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০২৬ সালের রাজ্য নির্বাচনে বিজেপির সাফল্য নিশ্চিত করার জন্য মুসলমানদের টার্গেট করা হচ্ছে। এটা কি শুধু নির্বাচনী বৈতরণী পার হবার অপচেষ্টা। বিশ্ববাসীকে সজাগ থাকতে হবে যেন ভারত কোনভাবেই আরেকটি ইসরাইলে পরিণত না হয়।
সভায় বক্তব্য রাখেন ,কর্নেল অব. হাসিনুর রহমান বীর প্রতীক, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আইনজীবী এডভোকেট আকবর হোসেন, লে. কর্নেল অব. ফেরদৌস আজিজ, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি জাগপার সহ-সভাপতি রাশেদ প্রদান, এডভোকেট শেখ ওমর, বিশিষ্ট আইনজীবী এডভোকেট শাহ মোহাম্মদ মাহফুজুল হক, ড. মোঃ হুমায়ুন কবির,জাতীয় নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল আহাদ নূর, জাতীয় স্বাধীন পার্টির চেয়ারম্যান এম এইচ খান মজলিস ,বাংলাদেশ জনতা ফ্রন্টের চেয়ারম্যান আবু আহাদ আল মামুন, জাস্টিস পার্টি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মজুমদার,ভাসানী ম্যাপ এর চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমেদ ভাসানী, বিশিষ্ট গবেষক আলাউদ্দিন কামরুল, বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী রুহুল আমিন ইয়াসির আক্তার প্রমুখ। প্রেসবিজ্ঞপ্তি।