রাজধানীতে হয়ে গেল চারদিনব্যাপী বিনিয়োগ সম্মেলন ২০২৫ ইং। এই সম্মেলনে দেশীবিদেশী বহু ব্যবসায়ী বিনিয়োগকারী অংশ নেয়। অন্তর্বর্তী সরকার হলেও রাজনৈতিক সরকারের চেয়ে বেশি বিনিয়োগকারীর উপস্থিতি নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো অত্যন্ত বাস্তবসম্মত ও দক্ষ হাতে ব্যবস্থাপনার কারণে বিনিয়োগকারীরা আশ^স্ত হয়ে ড. ইউনূসের ডাকে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী হয়ে ওঠে। বিশেষ করে ভৌগোলিকভাবে অবস্থানের কারণে বাংলাদেশের গুরুত্ব তুলে ধরতে পারায় বিনিয়োগকারীরা এদিকে বিনিয়োগ করার আগ্রহ প্রকাশ করে। মূলত কিছুদিন আগে ড. ইউনূসের চীন সফরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনের বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্ণধারদের সাথে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠক এক্ষেত্রে ক্রীড়নকের ভূমিকা পালন করেছে। তার চেয়ে বড় বিষয় হলো নোবেল বিজয় প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের পরিচিতি এবং যোগাযোগ বিনিয়োগকারীদের আরও বেশি আশ^স্ত করে তুলেছে।
এবারের বিনিয়োগ সম্মেলন যে অনেক বেশি দক্ষতার সাথে হয়েছে তার একটি উদাহরণ দিলেই প্রমাণ হয়ে যায়। তা হলো রাজনৈতিক দলগুলোকে বিনিয়োগকারীদের সামনে হাজির করা এবং তাতে বিনিয়োগকারীরা দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেওয়ার ক্ষেত্রে আশ^স্ত হতে পারেন। সেই সাথে রাজনীতিকদের সাথে আগে থেকেই বোঝাপড়াটা হয়ে যায়। সম্মেলনে তাদেরকেই অংশীভূত করা হয়েছে যারা আগামী দিনে দেশের ক্ষমতায় আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর রাজনৈতিক দলগুলোও অন্তর্বর্তী সরকারের ডাকে সাড়া দিয়ে সম্মেলনে অংশ নিয়ে তাদের কমিটমেন্টের কথাগুলো বিনিয়োগকারীদের কাছে উপস্থাপন করেছে।
ফ্যাসিস্ট হাসিনার পলায়নের পর আওয়ামী লীগের অস্তিত¦ বিলীন হওয়ায় মূলত তিনটি দল তাদের ব্যবসায়িক পলিসি এবং বিনিয়োগ আকর্ষণে অবস্থান জানান দেয়। এরমধ্যে বিএনপি একাধিকবার ক্ষমতায় ছিল। দলটির একাধিকবার দেশ পরিচালনার অভিজ্ঞতা রয়েছে। অপর দল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতার অংশিদার ছিল। তিন নম্বর দলটি নব্য জন্ম নেওয়া ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টি বা এনসিপি। জুলাই বিপ্লবের পর নতুন বাংলাদেশের চেতনায় নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত নিয়ে এনসিপির জন্ম হয়েছে। এই দলটিকে ঘিরে মানুষের ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে।
বিএনপির পক্ষ থেকে বাংলাদেশে বিনিয়োগ সহজ করার জন্য ওয়ান স্টপ সলিউশনের কথা বলা হয়েছে। সেইসাথে অবকাঠামো এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের কথা জানানো হয়েছে। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে বিনিয়োগকারীরা যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবসা করেেত পারে সেজন্য আনুষঙ্গিক যে বিষয়গুলো আছে বিশেষ করে ব্যবাসায়িক কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে আমলাতান্ত্রিক জটিলতাগুলো যাতে খুব সহজেই সম্পন্ন করা যায় সেদিকে নজর দিবে। বিএনপির আন্তর্জাতিক উপকমিটির সদস্য ইসরাফিল খসরু দৈনিক সংগ্রামের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন। তার আগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষার জন্য একটি প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন করব; যা নিশ্চিত করবে ন্যায্য আচরণ, কর-স্থিতিশীলতা এবং বিনিয়োগকারীদের অধিকার। এই আইনি কাঠামো প্রাতিষ্ঠানিক নিশ্চয়তা দেবে এবং বাংলাদেশকে একটি স্বচ্ছ ও দীর্ঘমেয়াদি ব্যবসাবান্ধব দেশ হিসেবে তুলে ধরবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু বলেন, নীতিগত অস্থিরতা দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ও আর্থিক পূর্বাভাসকে বাধাগ্রস্ত করে। তাই শুল্ক, করহার এবং রপ্তানি প্রণোদনা বিষয়ে স্বচ্ছ ও স্থিতিশীল নীতির প্রয়োজনীয়তা আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। তিনি বলেন, হঠাৎ করে নীতিতে পরিবর্তন করলে বিনিয়োগ ব্যয় প্রক্ষেপণে সমস্যা হয়; যা এড়াতে হবে। পাশাপাশি মুদ্রানীতি স্থিতিশীল রাখা জরুরি যাতে মুনাফা রপ্তানি ও প্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি নির্বিঘœ হয়। বিএনপি বিনিয়োগ পরিবেশ সহজ করতে একক কর্তৃপক্ষের অধীনে বিনিয়োগ সংক্রান্ত সব সেবা আনার প্রস্তাব করেছে বলেও জানান আমির খসরু।
অন্যদিকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে বিনিয়োগকারীদের গুড গভর্নেন্সের কথা বলা হয়েছে। তারা বিদেশী বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগমুক্ত ব্যবসায়িক পরিবেশ ও বিনিয়োগবান্ধব দুর্নীতিমুক্ত থাকার অবস্থান জানান দিয়েছে। আর বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগের বিষয়গুলোর ব্যাপারে ইতিবাচকভাবে তুলে ধরেছে। বিনিয়োগকারীর জামায়াতে ইসলামীর কাছে বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নের ব্যাপারে জানতে চাইলে; এব্যাপারে সাফ জানিয়েছে যে তাদের কারণে বিনিয়োগকারীরা কোনরকম ক্ষতির মুখে পড়বে না। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার পাশাপাশি সুশাসন উপহার দেওয়ার কথা জানিয়েছে।
এক্ষেত্রে তারা বিগত সময়ে তাদের নেতৃত্বে মন্ত্রণালয় পরিচালনার সময় কোন দুর্নীতির অভিযোগ ছিল না সেই ব্যাপারটি সামনে এনেছে। তারা জানিয়েছে যে, বাংলাদেশে ব্যবসা ও বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করার আশ্বাস দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। বৃহস্পতিবার রাজধানীর হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে ৪ দিন ব্যাপী বাংলাদেশ ইনভেন্টমেন্ট সামিট ২০২৫ ইং এর শেষ দিনে তারা এই আশ্বাস দেয়।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধি দলের সাথে আলাপ করে একথা জানা গেছে। দুইদিনে চায়না, বৃটেন, কানাডা ও নেদারল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধিদের সাথে আলাপ করেন এবং বিভিন্ন উদ্বেগের কথা জানান। এসময় জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেন। এদিন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসেন দলের পক্ষে নেতৃত্বে দেন। তিনি দৈনিক সংগ্রামকে জানান, বিনিয়োগ সম্মেলনে বিদেশীরা বিনিয়োগে উৎসাহিত হবে। একইসাথে স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও বিনিয়োগে উৎসাহিত হবে। এই সম্মেলন সংকট উত্তরণে ভূমিকা রাখবে বলেও মনে করেন তিনি।
প্রতিনিধি দলের সদস্য মো. আনোয়ারুল ইসলাম রাজু দৈনিক সংগ্রামের সাথে আলাপকালে জানান, বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে দেশে ব্যবসায়িক পরিবেশ সৃষ্টির জন্য সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা হবে। সেইসাথে সংস্কার করা হবে। বিনিয়োগকারীদের পূজির নিরাপত্তা দেওয়া হবে। ওয়ান স্টপ সলিউশন যেন কার্যকরী হয় সেই উদ্যোগ নেওয়া হবে। সকলক্ষেত্রে দুর্নীতিমুক্ত পরিবেশ দেওয়া হবে। প্রফিট ফেরত পাওয়র ব্যাপাার সহজতর করা হবে আশ^স্থ করা হয়েছে।
বিনিয়োগকারীরা মূলত লং টাইম স্ট্যাবেলিটি চান, তাদের অভিযোগ সময় মতো তারা সহযোগিতা পায় না। এখানে আমলাতন্ত্রের জটিলতা রয়েছে। রেসপন্স কম এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির ব্যাপারে উদ্বেগ জানিয়েছে। এছাড়া নারীদের ক্ষমতায়নের কথাও জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধি দলের কাছে জানতে চেয়েছে। অন্যান্য বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগে দীর্ঘসূত্রতা, ব্যাংকিং ক্ষেত্রের সমস্যা, রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আস্থাহীন বিনিয়োগের বাধা হিসেবে জানিয়েছে। চীনের কোম্পানির লোকজন বলেছেন, আমরা সব রাজনৈতিক দলের সাথেই সম্পর্ক রাখতে চাই। সবার সাথেই কাজ করতে চাই। তাদের বিনিয়োগের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চায়। এব্যাপারে জামায়াতে ইসলামীর মতামত জানতে চেয়েছে।
মো. মাসুদ কবির জানান, পতিত সরকারের সময় বিনিয়োগকারীদের সাথে দুর্ব্যবহার করা হয়েছে বলেও কোন কোন বিনিয়োগকারী অভিযোগ করেছেন। বলেছেন আওয়ামী লীগ সরকার কোন কোন বিনিয়াগকারীর সাথে ভাল আচরণ করেছে আবার পছন্দ না হলে তাদের সাথে অসহযোগিতা করেছে।
বর্তমান সময়ে এসে ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পেলে তাদের বিনিয়োগের জন্য অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করে দেওয়ার পাশাপাশি গুড গর্ভনেন্স দিবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে বাংলাদেশ বিনিয়োগের সুন্দর পরিবেশ রয়েছে, প্রকৃতি, বন্দর, নদী ও বন্দর ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। বিনিয়োগকারীরা বলেছেন, এগুলোর আধুনিকায়ন করা হলে এবং সময়ক্ষেপনহীনতায় পৌঁছাতে পারলে বাংলাদেশে বিনিয়োগের বিপ্লব ঘটানো সম্ভব।
এদিকে জাতীয় নাগরিক পার্টির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে তারা নতুন প্রজন্মকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে চান। এতে আগামীতে বিনিয়োগের স্বর্গরাজ্যে রূপান্তরিত হবে বাংলাদেশ। দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী তিনি বলেছেন। তিনি বলেন, তরুণ প্রজন্মকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাবো। নাসীরুদ্দিন বলেন, গ্রিন ও হাইটেক এনভায়রনমেন্টে কৃষিভিত্তিক সেক্টর, স্বাস্থ্য খ্যাত, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টর ও অ্যাগ্রো খাতে কিভাবে সমন্বয় করে কাজ করা যায়, সে বিষয়ে তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। বাংলাদেশে পুরো বিশে^র ম্যানুফেকচারিং হাব বানানো, ব্লু ইকোনমিকে একটি নতুন শক্তিতে রূপান্তরের বিষয়েও কথা হয়েছে। আশা করি, এর মাধ্যমে বাংলাদেশ বিনিয়োগের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হবে।
তিনি বলেন, আমাদের দেশের চার দশমিক চার পয়েন্ট জনগোষ্ঠীর মধ্যে বেকারত্ব রয়েছে। তাদেরকে জানিয়েছি আমরা ঘরে ঘরে চাকরি নিশ্চিত করবো। কোন কোন সেক্টরে ফোকাস করে কাজ করবো, তাও তুলে ধরেছি। তারা জানিয়েছেন, গত ৫৩ বছরে বাংলাদেশে কাজ করতে গিয়ে তারা কোথাও ঘুষের সম্মুখীনসহ বিভিন্ন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন। আমরা বলেছি, ক্ষমতায় গেলে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবো।
এক্ষেত্রে যে ধরনের আমলাতান্ত্রিক জটিলতা রয়েছে, সে বিষয়ে তরুণ প্রজন্ম তাদেরকে সহযোগিতা করবে। একটি ব্যবসাবান্ধব বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। এটি সম্ভব হলে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ, ৯০ এর গণাভ্যুত্থান ও ২৪ এর শহীদ ও আহতদের রক্তের দাম আমরা ওঠাতে পারবো। আমরা চাই, বাংলাদেশকে একটি নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে। এই প্রত্যাশায় বর্তমান সরকারও কাজ করে যাচ্ছে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য আমরা বর্তমান সরকারকে সহযোগিতা করে যাবো। বাংলাদেশের আর্থিক সেক্টরগুলো নতুনভাবে গড়ে তুলবো। নারীদের উৎপাদনমুখী কাজে সহযোগিতা করা হবে।
কোনও কারণে বিরোধী দলে গেলে নাগরিক পার্টি হরতাল-অবরোধ বা জ্বালাও-পোড়াও করবে না বিনিয়োগ সামিটে এ ধরনের কোনও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কি, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, তারা স্থিতিশীলতার বিষয়ে রাষ্ট্রের কমিটমেন্ট চেয়েছে। তিনি বলেন, সংস্কার কমিশনগুলোর ধারাবাহিকতা থাকলে আশা করি একটি ব্যবসায়িক পলিসি দেখতে পাবো। নতুন বাংলাদেশে কোনও ধরনের ধ্বংসাত্মক পলিসি নেই বলে তাদেরকে জানিয়েছি। রাজনৈতিক দল হিসেবে এনসিপিও এ জায়গায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে।
এর আগের দিন এনসিপির পক্ষ থেকে বিনিয়োাগকারীদের সামনে ২০৩৫ সালের মধ্যে ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ (এফডিআই) প্রবাহের কথা তুলে ধরা হয়েছে। এনসিপি জুলাই আগস্ট ২০২৪ ইং সালের বিপ্লবের চেতনায় গড়ে ওঠা রাজনৈতিক সংগঠন।
দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়, এনসিপি একটি উন্নত দেশ গড়ার লক্ষ্যে ব্যবসা-বান্ধব পরিবেশ তৈরির দিকে মনোনিবেশ করছে। প্রধান সমন্বয়কারী স্মার্ট সিটি এবং এআই ট্রাফিক সিস্টেম, নেট-জিরো বা সবুজ শহুরে বিল্ডিং, ২০৩৫ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি, স্বয়ংক্রিয় ইট ভাটা, বৃত্তাকার অর্থনীতি, বর্জ্য থেকে শক্তি, ইলেকট্রনিক যানবাহন এবং হাইড্রোজেন ভিত্তিক গাড়ীর উপর ফোকাস এবং কার্বন ট্যাক্স ভিত্তিক গাড়ির উপর জোর দেন। এছাড়া সবুজ ব্যাংকিং এবং এনপিএল হ্রাস করা এবং ১০% এর নিচে নামিয়ে আনা এনসিপির অঙ্গীকার বলে জানান নেতারা।