রাজধানীতে স্বস্থির বৃষ্টি হয়েছে। তীব্র গরমের মধ্যে এমন বৃষ্টিতে খুশি রাজধানীবাসী। রাজধানীর ঝিগাতলার বাসা থেকে কর্মস্থল বাংলামোটরে আসতে ফরহাদ বের হয়েছিলেন বেলা তিনটার একটু আগেই। তিনি বাংলামোটরে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তাঁর কাজ বিকেলের শিফটে। বাসা থেকে বের হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই আকাশ কালো করে মেঘ আসে। শুরু হয় মেঘের গর্জন। সঙ্গে বৃষ্টি আসে ঝমঝমিয়ে। লিপি দ্রুত একটি দোকানে গিয়ে আশ্রয় নেন। প্রায় ২০ মিনিট পর বৃষ্টি একটু কমলে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে গন্তব্যের দিকে রওনা দেন তিনি। মাঝের বিরতিতে যা হলো, অফিসে নির্ধারিত সময়ে আসতে পারলেন না। তাতে তাঁর আক্ষেপ থাকলেও স্বস্তি ছিল। লিপি বলছিলেন, ‘অফিসে দেরি হয়েছে বৃষ্টির জন্য। কিন্তু কিছুটা স্বস্তি তো মিলল। তাতেই খুশি আমি।
লিপির মতো রাজধানীবাসী স্বস্তি পেয়েছেন। কারণ, দুই দিন যাবত তীব্র তাপপ্রবাহে নাকাল নগরবাসী। আগের দিন মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে আর্দ্রতা ছিল প্রচুর। তাতে অসহনীয় হয়ে উঠেছিল অবস্থা। এরই মধ্যে বৃষ্টির সুবাতাস। এতে রাজধানীর তাপ কমেছে অনেকটাই।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, গতকার রাজধানীতে ২৩ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির পরিমাণ নেহাত কম নয়। এই বৃষ্টিতে তাপমাত্রা অনেকটাই কমেছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির। তিনি বলেন, বৃষ্টির পর তা কমে গেছে অনেকটাই। আজও নগরীর তাপমাত্রা কিছুটা কম থাকতে পারে।