দেশে জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে সিঙ্গাপুর থেকে দুই কার্গো এলএনজি আমদানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ১ হাজার কোটি ৮৫ লাখ ৬১ হাজার ৮৩০ টাকা। দুই কার্গো এলএনজি আমদানির পাশাপাশি ‘তেল গ্যাস মূল্য শৃঙ্খলের কার্বন অবক্ষেপণের জন্য প্রযুক্তিগত সহায়তা’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় আন্তর্জাতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৫০ কোটি ৫২ লাখ ৭৩ হাজার টাকা। গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত তিনটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ‘পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮’ অনুসরণে আন্তর্জাতিক কোটেশন প্রক্রিয়ায় স্পট মার্কেট থেকে এক কার্গো (২২-২৩ নভেম্বর ২০২৫ সময়ে ৪৬তম) এলএনজি আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, পেট্রোবাংলা কর্তৃক ১ কার্গো এলএনজি সরবরাহের জন্য এমএসপিএ স্বাক্ষরকারী চুক্তিবদ্ধ ২৩টি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে দরপ্রস্তাব আহ্বান করা হলে ৩টি প্রতিষ্ঠান দরপ্রস্তাব দাখিল করে। দাখিল করা ৩টি প্রস্তাবই কারিগরি ও আর্থিকভাবে রেসপনসিভ হয়। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে প্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সুপারিশের প্রেক্ষিতে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান সিঙ্গাপুরের মেসার্স আরামকো ট্রেডিং-এর কাছ থেকে প্রতি এমএমবিটিইউ ১১.৮৫ মার্কিন ডলার হিসেবে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে ব্যয় হবে ৪৯৭ কোটি ৯০ লাখ ৭০ হাজার ৪৩২ টাকা।

বৈঠকে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের আর এক প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ‘পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮’ অনুসরণে আন্তর্জাতিক কোটেশন প্রক্রিয়ায় স্পট মার্কেট থেকে ১ কার্গো (২৬-২৭ ডিসেম্বর ২০২৫ সময়ে ৪৮তম) এলএনজি আমদানির অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। জানা গেছে, পেট্রোবাংলা থেকে ১ কার্গো এলএনজি সরবরাহের জন্য এমএসপিএ স্বাক্ষরকারী চুক্তিবদ্ধ ২৩টি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে দরপ্রস্তাব আহ্বান করা হলে ৩টি প্রতিষ্ঠান দরপ্রস্তাব দাখিল করে। দাখিল করা ৩টি প্রস্তাবই কারিগরি ও আর্থিকভাবে রেসপনসিভ হয়। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে প্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সুপারিশের প্রেক্ষিতে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান সিঙ্গাপুরের মেসার্স গানভর সিঙ্গাপুর প্রাইভেট লিমিটেডের কাছ থেকে প্রতি এমএমবিটিইউ ১১.৯৭ ডলার হিসেবে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে ব্যয় হচ্ছে ৫০২ কোটি ৯৪ লাখ ৯১ হাজার ৩৯৮ টাকা।

বৈঠকে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের আর এক প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে, ‘টেকনিকাল অ্যাসিসট্যান্স ফর কার্বন অ্যাবেইটমেন্ট অফ দ্যা ওয়েল অ্যান্ড গ্যাস ভ্যালু চেইন’ প্রকল্পে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে প্রকল্পের পরামর্শক সেবা ক্রয়ের জন্য সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত ৮টি প্রতিষ্ঠানের কাছে রিকোয়েস্ট ফর প্রপোজাল ইস্যু করা হলে ৭টি প্রতিষ্ঠান কারিগরি ও আর্থিক প্রস্তাব দাখিল করে। তার মধ্যে ৫টি প্রস্তাব কারিগরিভাবে যোগ্য বিবেচিত হয়। প্রস্তাবের সব প্রক্রিয়া শেষে পিইসি কর্তৃক নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে সুপারিশ করা সর্বোচ্চ স্কোর অর্জনকারী দরদাতা প্রতিষ্ঠান কার্বন লিমিটস এএস, নরওয়ে-কে পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৫০ কোটি ৫২ লাখ ৭৩ হাজার টাকা।