অন্যান্য বছর ঈদের ছুটি শুরুর পরপরই যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় থাকতো বাস টার্মিনাল ও ট্রেন স্টেশনগুলোতে। যাত্রীদের ভিড়ে পা ফেলার জায়গা থাকতো না। কিন্তু এবার সেই চিত্র নেই। ঈদের ছুটির প্রথম দিন রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনালে যাত্রী নেই বললেই চলে। হাঁকডাকেও মিলছে না যাত্রী। কাউন্টারগুলো যাত্রীর জন্য খাঁ খাঁ করছে। শতাধিক কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা কর্মীরা অলস সময় পার করছেন।

ঈদের ছুটি লম্বা হওয়ায় এমনটা হয়েছে বলে ধারণা করছেন কাউন্টারে থাকা কর্মীরা। তবে রাত থেকে যাত্রীর সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশাবাদী তারা। শুক্রবার দুপুরে সায়েদাবাদ টার্মিনাল ঘুরে বাস কাউন্টার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। এমন চিত্র গাবতলী বাস টার্মিনালেরও।

রুবেল মিয়া ঈগল পরিবহনের কাউন্টারে টিকিট বিক্রি করেন। তিনি বলেন, সকাল ১০টায় সব বাস ছেড়ে গেছে। এখন যেগুলো যাওয়ার জন্য প্রস্তুত সেগুলোতে যাত্রী নেই। প্রতি বাসে পাঁচ থেকে ছয়জন যাত্রী মিলছে। এতে তো বাস ছাড়া যায় না।

জননী পরিবহনের সুমন টার্মিনালের মুখে পুলিশ কন্ট্রোল রুমের সামনে টিকিট নিয়ে হাঁকডাক করছেন। তিনি বলেন, ‘যাত্রী নেই। ডাকতেছি যদি দুই একজন পাই। আর রাতে কী হবে তাতো জানি না।”

ঈদের আগ মুহূর্তে যাত্রীদের এমন পরিস্থিতি দেখে হতাশা ব্যক্ত করেছেন কাউন্টারের কর্মীরা। তারা বলছেন, ‘এমন অবস্থা আগে কখনো হয়নি। যারা ঢাকা ছাড়ছেন তাদের অনেকে ইতোমধ্যে চলে গেছেন। রাতে বাকিরা রাজধানী ছাড়বেন। অথচ যাত্রী নেই।”

পরিবহন শ্রমিকরা বলছেন, টিকিট এখনো অনেক আছে কিন্তু যাত্রী নাই। ফলে তারা সকাল ১০টার পর বিশ্রাম, গল্প গুজব করে সময় কাটাচ্ছেন। মাঝে মধ্যে দু-একজন যাত্রী এলে বিভিন্ন কাউন্টারের লোকজন তাদের ঘিরে ধরছেন। অনেকে হ্যান্ড মাইকেও যাত্রী ডেকে বেড়াচ্ছেন।

বাস সংশ্লিষ্টরা হতাশ হলেও যাত্রীরা আছেন স্বস্তিতে। যারাই গ্রামে যাওয়ার জন্য কাউন্টারে আসছেন ভোগান্তি ছাড়া সহজেই টিকিট কিনছেন তারা। যাত্রী কম দেখে অনেকে দরদাম করছেন।

ইসলাম পরিবহনের লিটন বলেন, আমরা সকালে যাত্রী পেয়েছি। এখন একটু খরা। তবে দুপুরে কিছু গার্মেন্টস ছুটি হলে বিকেল থেকে যাত্রী বাড়বে।’

কুষ্টিয়া রুটে চলাচলকারী সনি পরিবহনের কাউন্টারের কর্মী রিপন বলেন, ‘যাত্রীর চাপ নেই খুব একটা। তবে স্বাভাবিকভাবে গাড়িগুলো ছেড়ে যাচ্ছে। গত দুই-তিন দিনের তুলনায় আজকে কিছুটা যাত্রীর চাপ আছে। কিন্তু ঈদের বাজার অনুযায়ী চাপ নেই। সকাল থেকে কতগুলো গাড়ি ছেড়ে গেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের সকাল থেকে ২/৩টা গাড়ি ছেড়ে গেছে।

এদিকে ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে কড়া নজরদারি রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। তাদের টহল টিম বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখছে।

ঈদুল ফিতরের লম্বা ছুটি শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে রাজধানী ঢাকা ছেড়ে নাড়ির টানে বাড়ি চলে গেছেন বেশিরভাগ মানুষ। সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবারও অনেকে সকাল থেকে বাড়ির পথে রওনা হয়েছেন। ফলে ঢাকার চিরচেনা যানজটে ঠাসা সড়কগুলোতে মানুষের চাপ নেই। অনেকটা ফাঁকা সড়কে নির্বিঘ্নে ছুটছে যানবাহন। তবে বাসস্ট্যান্ড ও মার্কেটগুলোর আশপাশের সড়কে যানজট আছে।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ৩১ মার্চ সোমবার ঈদুল ফিতর হতে পারে। সে হিসেবে বৃহস্পতিবার ছিল ঈদের আগে শেষ কর্মদিবস। ইতোমধ্যে গার্মেন্টসগুলোতে ছুটি শুরু হয়েছে। যে কারণে গতকাল বিকেলে অফিস-আদালত ছুটির পরে বেশিরভাগ মানুষ রাজধানীর বাস টার্মিনাল, রেলস্টেশন ও লঞ্চঘাট দিয়ে বাড়ির পথে পা বাড়িয়েছেন।

শুক্রবার দুপুরের দিকে দেখা গেছে, অনেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘাটে যাচ্ছেন। ফুলবাড়িয়া, গুলিস্তান এলাকা থেকে বিভিন্ন রুটে বাসে করে মানুষ ঢাকা ছাড়ছেন। তবে বৃহস্পতিবারের তুলনায় চাপ কম লক্ষ্য করা গেছে।

যদিও ফুটপাত থেকে শুরু করে মূল সড়কে দোকানিরা পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসার কারণে সবসময় এই এলাকায় যানজট থাকে। ঈদের সময় বিভিন্ন রুটের শত শত বাস এই এলাকা দিয়ে ছাড়ার কারণে পল্টন-কাকরাইল-বিজয়নগর-শান্তিনগর-শাহবাগের দিকের সড়ক ফাঁকা থাকলেও জিরো পয়েন্ট, গুলিস্তানে যানজটে বসে থাকতে হচ্ছে নাগরিকদের।

এদিকে সারা বছর চাপ থাকলেও ঈদের সময়ে লঞ্চে যাত্রী বেশি থাকে। যে কারণে লঞ্চের সংখ্যাও বাড়ানো হয়। তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার ঢাকা নদী বন্দরে বিভিন্ন রুট থেকে ৭২টি লঞ্চ ঘাটে পৌঁছেছে। আর ৮৪টি লঞ্চ ছেড়ে গেছে। স্বাভাবিক সময়ে ঢাকা নদীবন্দর থেকে প্রতিদিন ৬০-৬২টি লঞ্চ আগমন ও নির্গমন করে থাকে বলে জানা গেছে।

যাত্রী ও পরিবহন-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এবার ঈদে ৯ দিনের লম্বা ছুটি পাওয়ায় যাত্রীরা তুলনামূলক স্বস্তিতে ঢাকা ছাড়তে পারছেন। অন্যদিকে ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় নেই, যে কারণে যাত্রীরা সময়মতো গন্তব্যে যেতে পারছেন।

সকাল থেকে রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকা নিউমার্কেট-এলিফ্যান্ট রোডে অন্যদিনের মতো যানজট দেখা যায়নি। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের চাপ বেড়েছে এই এলাকায়। মাঝে মাঝে সিগন্যালের কারণে গাড়ির দীর্ঘ সারি দেখা গেছে।

প্রসঙ্গত, পবিত্র ঈদুল ফিতরে এবার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ঘোষিত লম্বা ছুটি আরও লম্বা হয়েছে। ঈদ উপলক্ষে আগেই পাঁচ দিন টানা ছুটি ঘোষণা করেছিল সরকার। পরে নির্বাহী আদেশে আরও এক দিন ছুটি ঘোষণা করা হয়। ৩ এপ্রিলও ছুটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হওয়ায় এবার ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ৯ দিন ছুটি পেয়েছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

নির্ধারিত সময়েই ছাড়ছে ট্রেন, উচ্ছ্বসিত যাত্রীরা

বছর কয়েক আগেও যাত্রীদের ট্রেনের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হতো। কিন্তু এখন চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। যাত্রীরা নয়, বরং ট্রেনই এখন তাদের জন্য অপেক্ষা করছে। নির্ধারিত সময়ে ট্রেন পৌঁছানোয় যাত্রীরা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।

শুক্রবার ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে গেছে, প্রতিটি প্ল্যাটফর্মে ট্রেনের রেক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। কোনো কোনো প্ল্যাটফর্মে অতিরিক্ত ট্রেনও রাখা আছে। প্রতিটি ট্রেন নির্ধারিত সময়ে স্টেশন ছেড়ে যাচ্ছে। ট্রেন ছাড়ার পর খালি হওয়া প্ল্যাটফর্মে পরবর্তী ট্রেনের রেক রাখা হচ্ছে বা ফিরতি ট্রেনের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।

যাত্রীরা জানিয়েছেন, নির্ধারিত সময়ে ট্রেন চলাচল গত বছর কিছুটা হলেও দেখা গিয়েছিল। তবে এর আগে এমনটা হয়নি। অতীতে শিডিউল বিপর্যয়ের কারণে ঈদযাত্রা ছিল দুর্ভোগের। এবার সময়ানুবর্তিতা যাত্রাকে অনেক সহজ ও আরামদায়ক করেছে।

জামালপুর এক্সপ্রেসের যাত্রী জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘টিকিট নিতে কিছুটা কষ্ট হলেও ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করতে হয়নি। নির্ধারিত সময়ের ৩০ মিনিট আগেই ট্রেন প্ল্যাটফর্মে ছিল। আমার দুই বন্ধু গতকাল গিয়েছিল, তারাও বলেছে ট্রেন সময়মতো চলছে। ঈদের যাত্রা এবার বেশ স্বস্তিদায়ক।’

ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক শাহাদাত হোসেন জানান, ভোর থেকে সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ১৩টি আন্তঃনগর ট্রেন স্টেশন ছেড়েছে এবং প্রতিটি ট্রেন নির্ধারিত সময়ে চলাচল করেছে।

এদিকে রাজধানীর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে ঈদুল ফিতরে ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। অন্য দিনগুলোর তুলনায় শুক্রবার লঞ্চ টার্মিনালে যাত্রীদের ভিড় ছিল অনেক বেশি। এদিন লঞ্চগুলোও ছেড়েছে যথাসময়ে। মূলত শুক্রবার থেকে সব বেসরকারি অফিসসহ বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানে ঈদের ছুটি শুরু হওয়ায় ভিড় বেড়েছে।

লঞ্চ সংশ্লিষ্টরা জানান, দিনের শুরুতেই পল্টুনগুলোতে নৌপথে বাড়ি ফেরা যাত্রীদের উপস্থিতি গত কয়েক দিনের তুলনায় অনেক বেশি ছিল। সকালে চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, বরগুনা, হাতিয়া, পটুয়াখালীগামী পন্টুনে বেশ ভিড় দেখা যায়।বরাবরের মতো এদিন দুপুরে যাত্রীদের ভিড় সকালের তুলনায় কম থাকলেও অন্যান্য দিনের তুলনায় দুপুরে ভিড় একেবারে খারাপ ছিল না। বিকেলে আবার যাত্রীর ভিড় বেড়ে জনসমুদ্র তৈরি হয়।

এদিন সবচেয়ে ভিড় ছিল ইলিশা রুটে। ভোলা রুটের লঞ্চগুলোতেও যাত্রী ছিল চোখে পড়ার মতো। বিকেলে বরিশালগামী লঞ্চগুলোতেও যথেষ্ট ভিড় ছিল।

বরিশালগামী লঞ্চ সুন্দরবন-১০ এ মোটামুটি ভালোই ভিড় লক্ষ করা যায়। এখান থেকে লঞ্চের স্টাফ নাসিমের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, আগে ঈদের সময় সদরঘাট থেকে বরিশালগামী প্রতিটি লঞ্চের একটি অগ্রিম টিকিট পাওয়ার জন্য যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় থাকত। দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে কেবিনের টিকিট না পেয়ে অনেকের মুখ মলিন হতো। একপ্রকার নিরুপায় হয়ে পরিবার নিয়ে ডেকে বসে যেতেন অনেকে। কেউ কেউ ডেকে জায়গা না পেয়ে লঞ্চের ছাদে উঠতেন। আবার কেউ নিজ থেকেই টিকিটের জন্য অতিরিক্ত টাকা দিতে চাইতেন। কিন্তু সে চিত্র এখন আর নেই। এখন টিকিটের কোনো বাড়তি চাপ নেই। ঘাটে আসলেই টিকিট পাওয়া যায়। এখন খুব বেশি প্রয়োজন হলে যাত্রীরা ফোনে যোগাযোগ করেন।

সদরঘাটে আসতে ও টিকিট পেতে কোনো ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে সামাদ হোসেন নামে এক ব্যক্তি বলেন, সদরঘাটে এসেছি জ্যাম ঠেলে। এছাড়া আর কোনো ভোগান্তি নেই। কেবিন পেতে সমস্যা হয়নি। অভিযান-৫ লঞ্চের একটি সিঙ্গেল কেবিন নিয়েছি।

ঢাকা মহানগর আনসার দক্ষিণ জোনের আনসার সদস্য রাশেদুল ইসলাম বলেন, নিরাপত্তা ব্যবস্থার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যথেষ্ট পরিমাণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রয়েছে। সবাই সবার দায়িত্ব পালন করছে। কোনো রকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

লঞ্চঘাটে যাত্রীদের ভিড়ের বিষয়ে বিআইডব্লিউটি’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম পরিচালক (ঢাকা নদীবন্দর, সদরঘাট) মুহাম্মদ মোবারক হোসেন বলেন, ঘাটে ভালোই ভিড় আছে। বিশেষ লঞ্চও চলছে। লঞ্চ মালিক সমিতির পক্ষ থেকে শৈলেন বাবু বলেন, ইলিশা রুটে সকাল থেকেই ভিড় ছিল। বিকাল ৩টা থেকে সব রুটেই ভিড় বেড়েছে।

এদিকে লঞ্চ মালিক সমিতির সদস্যসচিব সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, এখনো পর্যন্ত তেমন ভিড় দেখছি না। আশা করছি ভিড় হবে।

ঈদকে সামনে রেখে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে যাত্রীদের ভিড় বাড়লেও বাড়তি চাপ নেই। ঘরমুখো যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে নৌপথে ছোট-বড় মিলে ১৭টি ফেরি চলাচল করছে। অন্যদিকে কাটা যাত্রীদের নদী পারাপার করতে নৌপথে চলছে ২০টি যাত্রীবাহী লঞ্চ। ফলে এক সময়ের ভোগান্তির নৌপথ দিয়ে এবার স্বস্তিতেই বাড়ি ফিরছে ঈদে ঘরমুখো হাজারো মানুষ।

শুক্রবার বেলা আড়াইটার দিকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের সহমহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. আব্দুস সালাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে লঞ্চ ঘাটেও যাত্রীদের ভিড় বেড়েছে। এই ঘাটের ব্যবস্থাপক পান্না লাল নন্দী বলেন, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথের লঞ্চ ঘাটে যাত্রীদের ভিড় বাড়লেও চাপ নেই। এ নৌপথে ২০টি লঞ্চ চলাচল করছে। যাত্রীদের নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে লঞ্চগুলোতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

মো. আব্দুস সালাম বলেন, ঈদকে সামনে রেখে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে সকালের পর যাত্রী ও যানবাহনের সংখ্যা বাড়ছে। তবে ঘাট এলাকায় যাত্রী বা যানবাহনগুলোকে আগের মতো দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে না। ঘাট পার হতে আসা যানবাহনগুলো সহসাই ফেরিতে উঠে যাচ্ছে। ব্যক্তিগত গাড়ির ঘাটে আসা মাত্রই ফেরিতে উঠে নদী পার হচ্ছে এবং যাত্রীবাহী পরিবহন বাসের সংখ্যা ৩০ থেকে ৪০টির মত হবে।

পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ১১টি রো রো, ২টি ইউটিলিটি, ১টি কেটাইপ, ৩টি ছোট ফেরিসহ মোট ১৭টি নৌপথে যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে চলাচল করছে। তবে ঈদে ঘরমুখো মানুষ স্বস্তিতেই নৌপথ পার হয়ে যে যার গন্তব্যে ফিরছে বলেও জানান তিনি।