ফ্যাসিবাদের সূচনা ও স্বৈরশাসনের প্রথম ছবক শুরু হয় ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর পল্টনে জামায়াতের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে আওয়ামী হায়েনা কর্তৃক লগি বৈঠা দিয়ে নৃশংস হত্যাকান্ডের মধ্য দিয়ে। সেদিন জামায়াতকে দমনের মাধ্যমে এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েমের মনোবাসনায় ৪ দলীয় ঐক্য জোটের শরীক বিএনপির নেতাকর্মীরা পল্টন দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করা স্বত্ত্বেত্ত জামায়াত নেতাদের প্রতি সামান্য সহানুভূতি প্রকাশ করেনি। পুলিশ প্রশাসনসহ সেদিন আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও অদৃশ্য শক্তির ইশারায় হত্যাকান্ড বন্ধে নিরব ভূমিকা পালন করে। পরবর্তীতে মঈনুদ্দিন-ফখরুদ্দীন সরকার শেখ হাসিনা তথা আওয়ামী লীগের সাথে ভারতের পরামর্শে নীল নকশার নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা গ্রহণ করে। এরপর টানা ১৬ বছরের স্বৈর শাসনের কবলে পড়ে বাংলাদেশ। দেশকে ধ্বংস করতে পিলখানা হত্যাকা-, শাপলাচত্বর হত্যাকান্ড, এইট মার্ডারসহ বিরোধী মত দমনের লক্ষ্যে গুম-খুন, আয়নাঘর দিয়ে মৃত্যুপুরীতে পরিণত করে দেশকে। গত ২৪’র জুলাই আগস্টের আন্দোলনে বিপ্লবী ছাত্র-জনতার জীবনের বিনিময়ে খুনী হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারকে পরাজিত করে বাংলাদেশকে ফ্যাসিবাদমুক্ত করা হয়। বক্তারা সকল গুম-খুন ও সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে মেধাবী ছাত্রদের হত্যাকা-সহ পল্টন হত্যাকান্ডের বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে করার দাবি জানান।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নাগরিক মঞ্চ কর্তৃক আয়োজিত ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর পল্টন ট্রাজেডি খুনিদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দ্রুত বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা এ কথা বলেন। নাগরিক মঞ্চ’র প্রধান সমন্বয়কারী আহসান উল্লাহ শামীম এর সভাপতিত্বে উক্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নাগরিক মঞ্চের সমন্বয়কারী ও বাংলাদেশ ইসলামী দলের চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবির, ইসলামী সমাজতান্ত্রি দলের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার হাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টির চেয়ারম্যান এডভোকেট আবুল কাশেম মজুমদার, বাংলাদেশ শ্রমজীবী পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন আব্দুল কাদের জিলানী, বাংলাদেশ গণআজাদী লীগের চেয়ারম্যান মো. আতাউল্লাহ খান, ইউনাইটেড পাবলিক কাউন্সিলের চেয়ারম্যান এডভোকেট মাহবুবুর রহমান, জাতীয় সাংস্কৃতিক পরিষদের সভাপতি শিল্পী মো. আব্দুল জব্বার, বাংলাদেশ ইসলামী দলের মহাসচিব মুফতি মো. হেলাল উদ্দিন, বিশিষ্ট ইসলামী গবেষক ও জামায়াত নেতা মো. জহিরুল ইসলাম, ন্যাশনাল লেবার পার্টির মুখপাত্র মো. শরিফুল ইসলামসহ প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।