আওয়ামী লীগের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’ স্লোগানে উত্তাল শাহবাগ
গণহত্যাকারী দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে এবার রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করলেন আন্দোলনকারীরা। একইসাথে দেশের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। সরকারকে দাবি মেনে নেওয়ার দাবিতে হাজার হাজার ছাত্র-জনতা অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের ঘোষণা না আসা পর্যন্ত শাহবাগ মোড় না ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে ছাত্র-জনতা। এদিকে দেশের বিভিন্ন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন তাঁরা। এর আগে প্রধান উপদেষ্টার বাস ভবনের কাছের ফোয়ারার পাশে তৈরি করা মঞ্চ থেকে শাহবাগ মোড় অবরোধ করার ঘোষণা দেন হাসনাত আবদুল্লাহ। ঘোষণার পর আন্দোলনকারীরা মিছিল নিয়ে এসে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন। সেখানে অবস্থান নিয়ে তাঁরা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে উত্তরার বিএনএস সেন্টারের বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। তারা দাবি আদায়ের পক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
এর আগে জুমার নামাজের পর থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার কাছের ফোয়ারার পাশে মঞ্চ তৈরি করে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। বিকেল ৪টা ৩৫ মিনিটে মঞ্চ থেকে শাহবাগ অবরোধ করার ঘোষণা দেন হাসনাত আবদুল্লাহ।
আন্দোলনকারীরা 'আওয়ামী লীগের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না', ‘কণ্ঠে আবার লাগা জোর, আওয়ামী লীগের কবর খোঁড়’, ‘গড়িমসি বন্ধ কর, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ কর’, ‘ব্যান ব্যান আওয়ামী লীগ, ‘লীগ ধর জেলে ভর’, ‘ওয়ান টু থ্রি ফোর, আওয়ামী লীগ নো মোর’; 'একটা একটা লীগ ধর, ধইরা ধইরা জেলে ভর', 'ওয়ান টু থ্রি ফোর, আওয়ামী লীগ নো মোর’, ‘নিষিদ্ধ নিষিদ্ধ নিষিদ্ধ চাই’, ‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চাই' এসব বলে স্লোগান দিচ্ছেন।
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি উঠছে। তবে বিএনপিসহ কয়েকটি দল এবং সরকারের মনোভাব হলো, আইন করে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করা। এর মধ্যেই গতকাল খবর আসে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ শ্যালক ও ছেলেসহ মধ্যরাতে দেশ ছেড়েছেন। এরপর থেকে ছাত্র-জনতার নতুন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি নিয়ে আন্দোলন শুরু করে।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নেন ছাত্র-জনতা। রাতভর সেখানে তারা আন্দোলন করেন। শুক্রবার বিকেলে সেখানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেই সমাবেশে এনসিপি ছাড়াও বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
সমাবেশে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ইন্টেরিমের (অন্তর্র্বর্তী সরকার) কানে আমাদের আওয়াজ পৌঁছায় নাই, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতেই হবে। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত শাহবাগ অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে। হাসনাত বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতি এই ভূখণ্ড থেকে নির্ধারিত হবে। বিদেশি কারো ইশারায় হবে না।
জুলাই আন্দোলনের অন্যতম শীর্ষ এই নেতা বলেন, আমাদের গায়ে এক বিন্দু রক্ত থাকা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবো। আওয়ামী লীগের মতো ভাইরাস নিয়ে আর একদিনও বাংলাদেশে থাকতে চাই না আমরা। হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আমি শুনলাম, প্রধান উপদেষ্টা নাকি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকের চেষ্টা করছেন। সবার ঐক্যমতের ভিত্তিতে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ আসলে রাজনীতি করতে পারবে কি না এসব ব্যাপারে মুগ্ধ, আবু সাঈদসহ জুলাই আন্দোলনের সব আহত-নিহতের পরিবারের সঙ্গে বৈঠক করতে হবে। এর আগে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে পৌনে ৩টায় পূর্বঘোষিত সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশ জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে সবাই আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছেন।
এদিকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও জনগণের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার যে দাবি উঠেছে, তা অন্তর্র্বর্তী সরকার গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে। শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও জনগণের পক্ষ থেকে স্বৈরশাসন ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের অভিযোগে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার যে দাবি উঠেছে, তা সরকার গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছে। এ ব্যাপারে সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে ইতোমধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করেছে, তাদের সাথে আলোচনা করে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
সকলকে ধৈর্য ধারণের আহ্বান জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের নেতা ও সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের বিষয়ে জাতিসংঘের প্রতিবেদন সরকার বিবেচনায় রাখছে। সে পর্যন্ত সকলকে ধৈর্য ধারণ করার আহ্বান জানাচ্ছে। উল্লেখ্য, ইতোমধ্যে সরকার জনদাবির প্রতি সম্মান জানিয়ে প্রচলিত আইনের অধীনে সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করেছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সরকারের পক্ষে থেকে মানবতাবিরোধী অপরাধের সাথে জড়িত সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের দেশত্যাগের বিষয়ে বলা হয়, ফ্যাসিবাদী সরকারের সাবেক রাষ্ট্রপতি ও হত্যা মামলার আসামি আবদুল হামিদের বিদেশ গমন সম্পর্কে জনমনে ক্ষোভের বিষয়ে সরকার অবগত। এ ঘটনার সাথে জড়িত সকলের বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনগত ব্যবস্থা নিতে সরকার বদ্ধপরিকর রয়েছে।
যমুনার সামনে জুমাআর নামাজ : অন্তর্র্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবন যমুনার সামনে জুমার নামাজ আদায় করেছেন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে আন্দোলনকারীরা। শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে যমুনার সামনে বিক্ষোভকারীরা নামাজ আদায় করেন। নামাজে ইমামতি করেন জাতীয় নাগরিক জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা মাওলানা সানাউল্লাহ। পরবর্তীতে কর্মসূচি চলাকালে মাগরিবের নামাজের সময় হলে শাহবাগ মোড়ে নামাজ আদায় করেন তারা। শাহবাগ মোড়ে ৫টি জামাতে মাগরিবের নামাজ আদায় করেন আন্দোলনকারীরা। জানা যায় শাহবাগে ৫টি স্থানে আসর ও মাগরিবের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। মাদরাসার ছাত্র ও কওমি আলেমরা নামাজে ইমামতি করেন।
জামায়াতের একাত্মতা : ফ্যাসিস্ট আওয়ামিলীগ নিষিদ্ধের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে আন্দোলনকারীদের সাথে একাত্মতা পোষণ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। শুক্রবার সকালে কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ডক্টর শফিকুল ইসলাম মাসুদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল মিছিল নিয়ে আন্দোলনকারীদের অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দেন।
এসময় ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ ছাড়াও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ডঃ খলিলুর রহমান মাদানী। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি দেলোয়ার হোসেন, কামাল হোসাইন, মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য শাহিন আহাম্মদ খান, মাওলানা শরিফুল ইসলাম, শাহবাগ পশ্চিম থানা আমীর এড. শাহ মাহফুজুল হক, ওয়ারী পূর্ব থানা আমীর মুতাছিম বিল্লাহ, হাজারীবাগ থানা আমীর মাহফুজুর রহমান, রমনা থানা আমীর আতিকুর রহমানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, অন্তর্র্বর্তী সরকার যে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এসেছে, সেই ছাত্র-জনতাই এখন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি তুলেছে। তিনি বলেন, এই দাবি একক কারো নয়, এটি আজ দেশের সব দেশপ্রেমিক মানুষের কণ্ঠস্বর।
আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিগত বছরগুলোতে হাজার হাজার মানুষ হত্যার অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, ‘গণহত্যাকারী এই দলটিকে নিষিদ্ধ করতেই হবে। যারা এখনো এই দাবিকে দমন করতে চায়, তারা গণআন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।
এদিন সকাল থেকে যমুনার প্রধান ফটকের সামনে বিক্ষোভ করেন জাতীয় নাগরিক পার্টি ও ইসলামী ছাত্র শিবির ছাড়াও জুলাই ঐক্য, আপ বাংলাদেশ, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, কওমী মাদরাসার শিক্ষার্থী, ইনকিলাব মঞ্চ, ছাত্রপক্ষের নেতাকর্মীরা।
আগেরদিন বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে অন্তর্র্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি চালিয়ে যায় এনসিপি, শিবির, ইনকিলাব মঞ্চ, চরমোনাইসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।
সেদিন রাত ২টার দিকে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, অন্তর্র্বর্তী সরকারের প্রথম দায়িত্ব ছিল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা। আমরা সরকারের বাইরে এবং ভেতরে সেই দাবি বলেছি। কিন্তু আজকে নয় মাস পরেও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের জন্য আমাদের আবার রাজপথে নামতে হয়েছে। রাত ১টার দিকে মিছিল নিয়ে যমুনার সামনে যান এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তাদের সঙ্গে দলের কেন্দ্রীয় নেতারাও ছিলেন।
উত্তরায় সড়ক অবরোধ : আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে উত্তরায় সড়ক অবরোধ করে ছাত্র-জনতা। এদিন বিকেল সাড়ে ৫টার পর জুলাই রেভ্যুলেশনারী এলায়েন্সের ব্যনারে প্রথমে বিএনএস সেন্টারের সামনে ঢাকা- ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে তারা। পরে মিছিল নিয়ে হাউজ বিল্ডিং ঘুরে আজমপুরে উত্তরা পূর্ব থানার সামনে বসে পড়ে। অবরোধের ফলে এখন দুপাশের রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আন্দোলনকারীরা বলেন, দায়িত্ব নেয়ার বহুদিন পেরিয়ে গেলেও গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত দল আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের ব্যপারে অন্তর্র্বর্তী সরকারের দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ নেই। এটাকে জুলাই চেতনার সাথে প্রতারণা বলে অভিহিত করেন তারা। আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধের সুস্পষ্ট নির্দেশনা না আসা অবধি সড়কে থাকবেন বলেও জানান তারা।
জাবিতে মধ্যরাতে সড়ক অবরোধ
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ-মিছিল ও ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের উভয় লেন অবরোধ করে সমাবেশ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার রাত ১২টা থেকে ১২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে এই কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে রাত পৌনে বারোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকা থেকে একটি বিক্ষোভ-মিছিল বের হয়ে নতুন রেজিস্ট্রার ভবন, শহীদ মিনার ও অমর একুশে চত্বর হয়ে প্রধান ফটকের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ কর, করতে হবে করতেই হবে, জুলাই হত্যার বিচার কর, করতে হবে করতেই হবে, অ্যাকশন টু অ্যাকশন ডাইরেক্ট অ্যাকশন, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন, “লেগেছে রে লেগেছে রক্তে আগুন লেগেছে, আওয়ামী লীগের গদিতেআগুন জ্বালো একসাথে, যুবলীগ-ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে আগুন জ্বালো একসাথে, রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়, আবু সাঈদ-মুগ্ধ শেষ হয়নি যুদ্ধ, দালালি না রাজপথ রাজপথ-রাজপথ প্রভৃতি স্লোগান দেন। সমাবেশ শেষে শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে সড়ক থেকে সরে যান।
কুমিল্লা অফিস : ফ্যাসিস্ট আওয়ামিলীগ নিষিদ্ধের দাবিতে কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সামনে আন্দোলনকারীদের সাথে একাত্মতা পোষণ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কুমিল্লা মহানগরীর। বিকাল ৩টায় নগরীর পূবালী চত্বর থেকে কুমিল্লা মহানগরী জামায়াতের নায়েবে আমীর মু. মোছলেহ উদ্দিন ও নগর জামায়াতের সেক্রেটারি মু মাহবুবর রহমান এর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল মিছিল নিয়ে আন্দোলনকারীদের অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, মহানগর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি যথাক্রমে মু. কামারুজ্জামান সোহেল, কাউন্সিলর মোশারফ হোসাইন, মহানগর যুব ও ক্রিয়া বিভাগের সভাপতি কাজী নজির আহম্মেদ, সাবেক কাউন্সিলর কাজী গোলাম কিবরিয়া। কুমিল্লা মহানগরী ছাত্রশিবির সভাপতি মোহাম্মদ হাসান, সেক্রেটারি নাজমুল হাসান। এছাড়া ইসলামী বিভিন্ন দলসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা মিছিলসহ সমাবেশস্থলে আসছেন। সাধারণ ছাত্র-জনতা স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই সমাবেশে অংশ নিয়েছে।
এসময় তারা ‘ব্যান আওয়ামী লীগ’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’, ‘দিল্লি না ঢাকা, মুজিববাদের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না’, ‘আবু সাইদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’সহ নানা স্লোগান দেন।
জয়পুরহাট সংবাদদাতা: আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে জয়পুরহাটে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি। শুক্রবার দুপুরে শহরের শহীদ ডাঃ আবুল কাশেম ময়দান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে এসে শেষ হয়।
পরে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, নাগরিক পার্টির জয়পুরহাট জেলা সংগঠক ফিরোজ আলমগীর, জেলা সংগঠক আশরাফুল ইসলাম, জেলা ইসলামী আন্দোলনের সহ সভাপতি আব্দুর রহিম, জেলা এবি পার্টি আহ্বায়ক সুলতান মাহমুদ, শহর জামায়াতের সেক্রেটারি মিজানুর রহমানসহ অন্যান্যরা।