উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় সরকারী অতিথি ভবন যমুনায় এই বৈঠক প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধের জন্য দেশব্যাপী আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে এই বৈঠক হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। গতকাল রাত ৮টা ৩০ মিনিটে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক চলছিল।
প্রসঙ্গত বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ এবং তাদের গণহত্যার দ্রুত বিচারের দাবিতে গত বৃহস্পতিবার রাত থেকেই জুলাই বিপ্লবের অংশীজন এবং ফ্যাসিবাদ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো আন্দোলন করে আসছে। প্রথমে তারা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নেয়। পরবর্তীতে তারা শাহবাগে অবস্থান করে এবং কর্মসূচি ঘোষণা দেয়। সেইসাথে বলে যে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত তারা ঘরে ফিরে যাবে না। এজন্য গতকাল তারা গণজমায়েত কর্মসূচি পালন করে। সেখান থেকে ধারাবাহিক ভাবে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি উঠে। বক্তারা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবি করেন।
এর আগে গতকাল সকালেই প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম জানিয়েছিলেন আইসিটি অ্যাক্টে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রস্তাবনা নিয়ে রাতে উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠকে আলোচনা হবে। তিনি এও জানিয়েছিলেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে আমাদের সরকার বিবৃতি দিয়েছে। রাতে মিটিং আছে, সেখানে আইসিটি অ্যাক্টের অধ্যাদেশ প্রস্তাবনা নিয়ে আলোচনা করতেই উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি মিটিং হচ্ছে।
শফিকুল আলম আরও বলেন, বাংলাদেশে ফ্যাসিস্টের পতনে তাদের (ভারতের) মাথা খারাপ হয়ে গেছে। সে কারণে তারা আমাদের কয়েকটি মিডিয়ার সম্প্রচার সে দেশে বন্ধ করেছে। আমরা তা করতে চাই না। আমরা অনেক দিন থেকে দেখছি তারা আমাদের নিয়ে প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। ভারতীয় গণমাধ্যমে দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা নেই, বরং জোরে কথা বলে নাটক করে বিনোদন দেওয়াটা যেন তাদের সাংবাদিকতা। সেক্ষেত্রে আমাদের সাংবাদিকতা অনেক দায়িত্বশীল ও প্রশংসনীয়।
কিছু মিডিয়া আওয়ামী লীগ সরকারের টুলস ছিল মন্তব্য করে তিনি বলেন, বিগত সময়ে কিছু কিছু মিডিয়া মিথ্যা তথ্য দিয়েছে। বিরোধীদলের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। অনেক মিডিয়া আওয়ামী লীগের টুলস হিসেবে কাজ করেছে। এখন আমরা চাই আমাদের সাংবাদিকতা দায়িত্বশীল ও প্রশংসনীয় হোক।