বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান এবং ছেলে ডা. রাফাত সাদিক সাইফুল্লাহর বিরুদ্ধে জঙ্গীসংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পায়নি মামলার তদন্তসংস্থা কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)। এ কারণে সংস্থাটি তাদের মামলার দায় থেকে অব্যাহতি চেয়ে আদালতে আবেদন করেছে। গত ৬ মার্চ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সিটিটিসির পুলিশ পরিদর্শক মো. আবুল বাসার আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এতে চারজনকে অভিযুক্ত এবং সাতজনকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে। আগামী ১৩ মে আদালতে এই অভিযোগপত্র উপস্থাপন করা হবে। এর আগে ২০২২ সালের ২ নবেম্বর সিটিটিসি পরিদর্শক মো. মোদাচ্ছের বাদী হয়ে মামলা করেন।
এ মামলার অভিযুক্ত আসামীরা হলেন-মামুনুর রশিদ, সেজাদুল ইসলাম সাহাব তানিম, মো. জাহিদ হাসান ভূইয়া ও সৈয়দ রিয়াজ আহমদ। ডা. শফিকুর রহমান ও ডা. রাফাত সাদিক সাইফুল্লাহ ছাড়া আরিফ ফাহিম সিদ্দিকী, তায়েফ, মিজু, আঞ্জুম ও হোসাইনকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে। এঁদের মধ্যে মামুনুর পলাতক থাকায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়েছে।
জানা েেগছ, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে জঙ্গী সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমানের ছেলে ডা. রাফাত সাদিক সাইফুল্লাহকে মিথ্যা অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়। ছেলেকে গ্রেপ্তারের এক মাস পর একই অভিযোগে ২০২২ সালের ১৩ ডিসেম্বর ডা. শফিকুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে সিটিটিসি। গ্রেপ্তারের পর তাদের কয়েক দফায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তবে দুই বছর চার মাস তদন্তের পর জানা গেছে, বাবা ও ছেলে কারো এ মামলায় সংশ্লিষ্টতা নেই। মিথ্যা অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করে নির্যাতন চালানো হয়েছে।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মামলা তদন্তকালে এ ঘটনার সঙ্গে আসামী ডা. রাফাত ও আরিফের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া সংগঠনের অন্যতম মাস্টারমাইন্ড মামুনুর রশিদ কাজলের সঙ্গে অনলাইন বা অফলাইনে ডা. রাফাত, আরিফ ও ডা. শফিকুর রহমানের কোনো যোগাযোগ বা সাংগঠনিক সম্পর্কের প্রমাণ তদন্তকালে বা বিশেষজ্ঞের মতামতে মেলেনি। পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদকালে আসামীরা তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানের নাম প্রকাশ করলেও মামলার তদন্তকালে ঘটনার সঙ্গে তার জড়িত থাকার বিষয়ে প্রমাণ মেলেনি।
ডা. শফিকুর রহমানের আইনজীবী আব্দুর রাজ্জাক দৈনিক সংগ্রামকে বলেন, এজহারে তার নাম ছিল না। শুধুমাত্র রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হয়রানি করার জন্যই জামায়াতে ইসলামীর আমির এবং তার ছেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।