গণহত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ঘোষণাকে জুলাই বিপ্লবের বিজয় বলে দাবি করেছেন ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম। তবে একই মামলায় সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের পাঁচ বছরের সাজায় অসন্তোষ প্রকাশ করে তার অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন তিনি।
গতকাল সোমবার বিকেলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার ফাঁসির রায় পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন। সাদিক কায়েম বলেন, আজকের দিনটি বাংলাদেশের জন্য এক ঐতিহাসিক দিন। জুলাই বিপ্লবের পর ১৬ বছর ধরে এই দেশে যে ফ্যাসিবাদ কায়েম হয়েছিল, সেই শক্তির শেকড় আজ বিচারকের রায়ে ভেঙে গেছে।
তিনি বলেন, গত ১৬ বছরে সরকারবিরোধী আন্দোলনে দুই হাজারের বেশি মানুষ নিহত এবং চল্লিশ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে। হেলিকপ্টার থেকে গুলি ছোড়া থেকে শুরু করে সারা দেশে গণহত্যার ঘটনায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সাদিক বলেন, শহীদ আনাস, শহীদ সাঈদ থেকে শুরু করে হাজারো ভাই-বোনের স্বপ্ন আজ আংশিক পূরণ হলো। এই রায়ের মাধ্যমে জুলাই প্রজন্মের বিজয় নিশ্চিত হয়েছে।
তবে একই মামলায় সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের পাঁচ বছরের সাজায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। সাদিক বলেন, যে মাত্রার অপরাধ তিনি করেছেন, তার শাস্তি এই নয়। তাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে। আমরা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কাছে রায়ের পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানাব।
তিনি আরও বলেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের মৃত্যুদ- রায় সঠিক হয়েছে। তবে শেখ হাসিনা ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের দেশে ফিরিয়ে এনে দ্রুত রায় কার্যকর করাই এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ। হাসিনাকে ভারত থেকে ফেরাতে ইন্টারপোলসহ সব আন্তর্জাতিক আইনি মাধ্যম ব্যবহার করতে হবে, বলেন সাদিক কায়েম। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, তদন্ত কর্মকর্তা, শহীদ পরিবার এবং আন্দোলনের সব অংশীজনকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ। জুলাইয়ের চেতনা প্রকাশ্যে এসেছে।