ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমদ গত মঙ্গলবার দলের নিয়মিত বৈঠকে বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মতো একটি গৌরবোজ্জল গণঅভ্যুত্থানের পরেও বিগত ৬ মাসে ৫২৯টি রাজনৈতিক সহিংসতায় ৭৯ নিহত ও ৪ হাজার আহত হওয়া প্রমাণ করে আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে কোন পরিববর্তন আসে নাই। একটি চেতনাদীপ্ত রক্তস্নাত অভ্যুত্থানের পরে দেশের রাজনীতিতে এই সহিংসতার মূলকারণ আমাদের অসুস্থ্য রাজনৈতিক সংস্কৃতি। এই ৫২৯টি সহিংসতার ঘটনার ৪৪৫টিই বিএনপির অন্তঃকোন্দলে ও বিএনপির সঙ্গে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের বলে এইচআরএসএসের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এই যখন দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলের সহিংস প্রবণতা তখন আগামী নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে আমাদের অবশ্যই শঙ্কিত হতে হয়।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব বলেন, দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি সুস্থ্য করতে এবং রাষ্ট্রপরিচালনায় দেশের সকল নাগরিকের মতামতের প্রতিফলন নিশ্চিত করতে পিআর নিয়ে জনগণের মধ্যে সচেতনতা তৈরি হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একধরণের ঐকমত্য তৈরি হয়েছে। তবে পদ্ধতিটি বাংলাদেশে আগে চর্চিত না হওয়ায় কোন কোন বিষয়ে প্রশ্ন থেকে গেছে। পিআর নিয়ে এই ধরণের প্রয়োগিক প্রশ্নের সমাধান খুঁজতে এবং দেশের শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী, পেশাজীবী ও অংশীজনদের মধ্যে বোঝাপড়া আরো নিবিড় করতে আগামী ১২ জুলাই বিজয় নগরের একটি হোটেলে গোলটেবিল বৈঠক আয়োজন করা হয়েছে। দেশের সেরা বুদ্ধিজীবি, শিক্ষাবিদ, শীর্ষ রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও সমাজের নানা পেশার অংশীজনেরা সেই গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নেবেন।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম, পীর সাহেব চরমোনাই এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই গোলটেবিল বৈঠক পিআর নিয়ে আমাদের সংগ্রামকে নতুন মাত্রায় উন্নিত করবে ইনশাআল্লাহ।

নিয়মিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব কেএম আতিকুর রহমান, মাওলানা আহমাদ আবদুল কাইয়ুম, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) শাহ ইফতেখার তারিক, কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মুফতি কেফায়েতুল্লাহ কাশফী, কেন্দ্রীয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা¡ আবুল কাশেম, কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা মকবুল হোসেন, কেন্দ্রীয় সহ-প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক কেএম শরীয়াতুল্লাহ এবং কেন্দ্রীয় সহ-দফতর সম্পাদক অ্যাডভোকেট বরকত উল্লাহ লতিফ। প্রেসবিজ্ঞপ্তি।