তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ ড. মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী। ঢাকার জুলাই আন্দোলনে আলেমদের সমন্বয় করেছেন, নেতৃত্ব দিয়েছেন। বিশেষ করে আন্দোলনের শেষ সময়ে এসে আন্দোলন সফল করতে তিনি রেখেছেন অসাধারণ ভূমিকা। সেইসব দিনের ঘটনা বলেছেন দৈনিক সংগ্রামকে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ইবরাহীম খলিল।
দৈনিক সংগ্রাম : আপনি জুলাই আন্দোলনে আলেমদের সমন্বয় করেছিলেন। তাদের আন্দোলনে অংশ নিতে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। আসলে কিভাবে সমন্বয়টা করেছিলেন ?
ড. খলিলুর রহমান মাদানী : আমরা মূলত ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়কের আমলে যখন এদেশে নারী নীতি নিয়ে একটা আন্দোলন শুরু হয়, তখন রাশেদা কে চৌধুরী ছিলেন উপদেষ্টা। ওই সময় সিডোর আলোকে নারী নীতি চাপিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নিলো, তখন জাতীয় মসজিদের খতিব উবায়দুল হক সাহেব এবং মাওলানা মহিউদ্দিন খান সাহেব মুফতি আমিনীসহ ওনারা জরুরি একটা মিটিং ডাকলেন মহিউদ্দিন সাহেবের অফিসে। সেখানে সিদ্ধান্ত হলো যে কুরআন বিরোধী নারী নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন করবো। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মাঠে নামা শুরু হয়। ওই তিনজন মরুব্বী আমাকে ¯েœহ করতেন। আমাকে সমন্বয় করতে বলা হয়। আমি জনশক্তিসহ মাঠে থাকি। একই সময়ে শিক্ষানীতি নিয়েও আন্দোলন শুরু হয়। তখন কমিটির নাম দেওয়া হলো ইসলামী শিক্ষা রক্ষা জাতীয় কমিটি। এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে আমরা। জাতীয় প্রেসক্লাবে সামনে একটা মানববন্ধন করছিলাম, তখন রাশেদা কে চৌধুরী প্রেসক্লাবের ভেতরে গিয়ে বললেন, দেখলাম হুজুররা ফস করছে। এবং হাতে অভিনয় করে দেখালেন। যাই হউক হুজুররা ফস করলো সেদিন। সেই থেকে আলেম ওলামারা মাঠে নামা শুরু করলো। মাওলানা মুহিউদ্দিন সাহেব এক্সিকিউটিভ ছিলেন। খতিব উবায়দুল হক সাহেব এবং মুফতি আমিনী সাহেব ওনারা সবাই মিটিংয়ে আসতেন। সমন্বয় করতে করতে এক পর্যায়ে যখন সরকার পরিবর্তন হয়ে গেল; তখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে আবার নারী নীতি ও শিক্ষানীতি নিয়ে সরকার হাত দিলো। ২০১০ সালে আমরা হরতাল করলাম।
দৈনিক সংগ্রাম : আলেম ওলামারা হরতাল করলেন ?
ড. খলিলুর রহমান মাদানী : তখন নাম ছিল সম্মিলিত ওলামা মাশায়েখ পরিষদ। এই নামে সর্বস্তরের আলেম ওলামারার ব্যানারে হরতাল শুরু হলো। কুরআন বিরোধী নারী নীতির বিরুদ্ধে। মুফতি আমিনীসহ সবাই মিলে হরতালে নেমে পড়লো। ২০১০ সালের ১০ এবং ১১ জুলাই। দুইদিন হরতাল হলো। সেদিন গ্রেফতারও হয়েছিলাম পল্টন থেকে। ওই হরতালে চরমোনাই পীর সাহেবও আমাদের সাথে ছিলেন। এরপর মুফতি আমিনী সাহেবও একবার আলাদা হরতাল ডাকলেন। প্রকৃতপক্ষে আলেম ওলামাদের সমন্বয়টা তখন থেকেই। ২০০৭ সাল থেকে একের পর এক সম্মিলিতভাবে আন্দোলন চলছিল। অবশ্য এরআগেও আমি যখন খুলনায় ছিলাম তখনও জাতীয় শরীয়া কাউন্সিল ফুরফুরা দরবারে। সেখানেও ইসলামী ইস্যুগুলো নিয়ে আন্দোলনগুলোর সাথে জড়িত ছিলাম। ২০১০ সালের পর ইসলামী দলগুলো বললেন যে এটা আরেকটু লিবারেল করা দরকার। এজন্য নাম রাখা হয়ে সমমনা ইসলামী ১২ দল। এই ১২দল নিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম চলতে থাকে। তারপর সবাইকে সমন্বয় করার জন্য সম্মিলিত ইসলামী দলসমূহ নামকরণ করা হয়। এগুলো করা হয়েছে আলেম ওলামাদের খুশি রেখে আন্দোলন সংগ্রামে থাকা।
দৈনিক সংগ্রাম : সময়ের প্রেক্ষাপটে নাম কি পরিবর্তন হয়েছে ?
ড. খলিলুর রহমান মাদানী : সবাইকে নিয়ে মাঠে থাকার প্রয়োজনে এগুলো করা হয়েছে। এমন সময় এগুলো করা হয়েছে; তখন বিএনপি জামায়াতের সক্রিয়ভাবে মাঠে নামার অবস্থা ছিল না। জামায়াতের ওপর একের পর এক পরীক্ষা আসতে থাকলো। একের পর এক গ্রেফতার ফাঁসির রায়। এগুলো নিয়েই ব্যস্ত থাকতে হয়েছে।
দৈনিক সংগ্রাম : ওলামা মাশায়েখ গঠনের প্রেক্ষাপট নিয়ে কিছু বলেন।
ড. খলিলুর রহমান মাদানী : ২০১০ সালের ২৯ জুন তৎকালীন আমীরে জামায়াত শহীদ মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী গ্রেফতার হয়ে গেলেন, তখন পহেলা জুলাই মাওলানা আহমাদুল্লাহ আশ্রাফ হাফেজ্জী হুজুরের ছেলে সাহেব জাদা ওনিসহ দেশের শীর্ষ আলেমরা একটা মিটিং ডাকলেন। বলা হলো- জামায়াতের মতো এতো বড় একটা ইসলামী দল; যারা বেড়িবাঁধ বাংলাদেশে তাদের যদি এরকম বিপদে ফেলতে পারে, এই দেশে ইসলামী দল আর কাউকে রাখবে না। সেজন্য ওলামা মাশায়েখ পরিষদ সেসময় কামরাঙ্গীরচরে গঠন হয়। সেখানে আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয় সমন্বয়কের। তবে মূল চার জন ছিলেন। আহ্বায়ক হলেন, মাওলানা মহি উদ্দিন খান। মাওলানা আহমাদুল্লাহ আশ্রাফ, শাহাদ আলী পীর সাহেব আর মাওলানা ইসহাক হলেন কো-আহ্বায়ক। আর জাফরুল্লাহ খান মহাসচিব। পরদিন প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ২রা জুলাই আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে। এরপর আন্দোলন সংগ্রাম মিছিল মিটিং চলতে থাকে। এক পর্যায়ে মাওলানা সাঈদী সাহেবের রায়কে কেন্দ্র করে যখন পল্টন ময়দানে মহাসমাবেশ ডাকা হলো সারাদেশের আলেম ওলামাদের পক্ষ থেকে, তখন সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করে। পরে পল্টন মোড়ে যাই। সেদিন ৩১৩ জন গ্রেফতার হয়ে যায়। সেদিন সারাদেশ থেকে মিছিল নামে আর গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর আমরা পল্টন মোড় থেকে সব চলে যাই জাতীয় প্রেসক্লাবে। সেখানে গিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে মহাসমাবেশ মুলতবি ঘোষণা করা হয়। এরপরই শীর্ষ আলেম ওলামারা গ্রেফতার হয়ে যান। আহমাদ উল্লাহ আশ্রাফ গ্রেফতার হন। জাফরুল্লাহ সাহেব সারারাত প্রেসক্লাবে ছিলেন। ভোরে ফজরের সময় নামতে গিয়ে গ্রেফতার হয়ে যান। এরপর আবদুল লতিফ নিজামী গ্রেফতার হয়ে যান। মূলত সেদিন গুরুত্বপূর্ণ আলেম ওলামা প্রেসক্লাব থেকে বের হওয়ার পর গ্রেফতার হয়ে যান। এরপরও কিন্তু আলেম ওলামাদের ঐক্যে ফাটল ধরেনি। জামায়াত নেতৃবৃন্দের ফাঁসির পর আলেম ওলামাদের ঐক্য আরও বাড়ে। যত ফাঁসি, যত গুম, যত খুন হোক না কেন, ওলামাদের ঐক্য এক ছিল। আমরা সমমনা ইসলামী দল বা ১২ ইসলামী দলের নামে অনেক মিটিং মিছিল করেছি। যদিও এগুলো করতে গিয়ে অনেকে জেল খেটেছেন। নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
দৈনিক সংগ্রাম : জুলাই আন্দোলনের সম্পৃক্ততাটা কিভাবে হয় ?
ড. খলিলুর রহমান মাদানী : আলেম ওলামাদের এই ইউনিটিতো আগে থেকেই ছিল। জুলাই আন্দোলনে এসে যখন ছাত্র-জনতা আন্দোলনে নামে; ২০১৯ সালে একবার ভিপি নূরের নেতৃত্বে নামে। তখনও আলেম ওলামাদের পক্ষ থেকে সমর্থন দেওয়া হয়েছিল। আমরা বলেছিলাম যে এদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়া হউক। তখনতো হুজুরদের কথা তেমন কেউ শুনতো না। গতবছর জুলাই মাসে ছাত্ররা যখন আন্দোলনে নামলো, আলেম ওলামারা একের পর এক বিবৃতি দিয়েই যাচ্ছিল। ছাত্রদের আন্দোলন দমন করতে যখন রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে, একের পর এক নির্যাতন করতে থাকলো, সমস্ত নির্যাতনের বিরুদ্ধে আলেম ওলামারা বিবৃতি দিয়েই গেছে। শুরুতে মাঠে নামেনি।
দৈনিক সংগ্রাম : মাঠে নামার সিদ্ধান্ত কোনদিন নিলেন ?
ড. খলিলুর রহমান মাদানী : যখন দেখলাম ছাত্রদের ওপর চরম জুলুম চলতেছে, তখন আলেম ওলামাদের বসাটাও কিন্তু কঠিন ছিল। খুব টেকনিকলি আমরা কয়েক দফা বসলাম। ছাত্রদেরতো নানাভাবে হয়রাণি জুলুম করলো। রাজাকার স্টিগমা দিলো। অবশেষে জামায়াত শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের দিকে গেল সরকার। জামায়াতকে বেআইনি ঘোষণা করলো। যখন ২৯ জুলাই বেআইনি ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিলো, তখন ইসলামী দলসমূহ বসে সিদ্ধান্ত নিলো যে, এবার ইসলামী সব দলের ওপর বিপদ আসতে যাচ্ছে। তখন থেকে সক্রিয়ভাবে ছাত্রদের সাথে যে যেখানে আছে সেখানেই যুক্ত হওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত দিয়ে দেওয়া হলো। ১ আগস্ট যখন রাষ্ট্রীয়ভাবে ঘোষণা করা হলো-- সেদিন ছিল প্রচুর বৃষ্টি, কারফিউ, জরুরি অবস্থা। এরপরও ছোট আকারে বসার সিদ্ধান্ত হয়। যারা যেখানে আছে মাঠে নামবে।
দৈনিক সংগ্রাম : সেদিন মিটিংটা কি স্বশরীরে ছিল নাকি অনলাইনে।
ড. খলিলুর রহমান মাদানী : দুইভাবেই হতো। তবে স্বশরীরে বেশি। তারপর ১ আগস্ট থেকে আলেম ওলামারা স্বশরীরে আন্দোলনে নামা শুরু করলো। ২ তারিখে হেফাজতের নেতৃত্বে আবার বসা হলো।
দৈনিক সংগ্রাম : কোথায় মিটিং করতেন ?
ড. খলিলুর রহমান মাদানী : ঢাকাতেই। আমরা একেকজন একেক জায়গাতে থাকতাম। তবে বসতাম গিয়ে উত্তরাতে। প্রথমে আমরা ওলামা মাশায়েখ বসলাম। এরপর বসা হলো হেফাজতের সাথে। দীর্ঘ রাত পর্যন্ত বৈঠক হলো। ৩ তারিখে বায়তুল মোকাররম থেকে মিছিল ছিল ছাত্র-জনতার। সেদিন ছাত্র-জনতার মিছিলে আলেম ওলামারা শামিল হবেন। তবে ব্যানার হবে ছাত্র-জনতার। সেদিন প্রথম স্লোগান হুজুররা দেয়। যোহরের নামাযের পর কারফিউ ও জরুরি অবস্থা ভেঙে সেখান থেকে প্রেসক্লাবে মিছিল যাবে বলে সিদ্ধান্ত ছিল। সেদিন বহু মানুষ হতাহত হয়েছে। সেদিন রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্পট বিশেষ করে আমাদের যাত্রাবাড়ি থেকে সাইনবোর্ড পর্যন্ত পুরো এলাকাজুরে কওমি ছাত্রদের নামানোহলো। মানে তাদের মাদরাসাকে হুজুরদের পাঠিয়ে পাঠিয়ে উদ্বুদ্ধ করা হলো। তাতে তারা রাস্তায় নেমে আসে। আপনারা দেখেছেন তারা আহত এবং শহীদ হয়েছে। এরপর ৩ তারিখ। ৪ তারিখও একই কায়দায় পুরো মাঠঘাট একেবারে ভরে গেল সারা ঢাকা শহরে। এদিক থেকে সাইন বোর্ড অন্যদিকে গাবতলী, অন্যদিকে আবদুল্লাহপুর থেকে কেরানীগঞ্জ। সারা ঢাকা শহরে কওমী আলীয়া মাদরাসা শিক্ষক ছাত্র-জনতা মাঠে। তিন তারিখে আলেম ওলামাদের নেতৃত্¦ে পিকআপে করে পানি বিস্কুট বিতরণ করা হয়। সেদিন পিক আপতো আর্মিরা কোনভাবেই ঢুকতে দিচ্ছিল না। কাওরানবাজার থেকে বিস্কুট নিয়ে দেওয়া হয়। আপনারা দেখেছেন যে পিক আপের দিকে বন্দুক তাক করে রাখা হয়েছে। এরপরও আলেম ওলামাদের নেতৃত্বে খাবার বিতরণ করা হয়েছে। ৫ তারিখতো হাসিনা পালিয়ে গেল। সেদিন টার্গেট ছিল ১১টার মধ্যে শহীদ মিনার হয়ে শাহবাগে যাবো। আল হামদুলিল্লাহ ১১টা লাগেনি। ১০টার মধ্যে সব চারদিক থেকে এসে গেল। মূলত ১৯৯৭ সাল থেকে এক ও অভিন্ন চিন্তা নিয়ে মাঠে ছিল। সবার চিন্তা একটাই ছিল জুলুমের বিরুদ্ধে আমরা মাঠে নামবো।
দৈনিক সংগ্রাম : ছাত্র-জনতা প্রথম দিকে সাহস পাচ্ছিল না টিএসসি এবং শাহবাগে যাওয়ার। কিন্তু আপনি সেখানে গিয়ে স্লোগান দেন। বক্তৃতা করেন। সেদিনের দৃশ্যপটটা একটু বলেন।
ড. খলিলুর রহমান মাদানী : ১ আগস্ট জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা হলো তখন সিদ্ধান্ত হলো যে না আর পিছিয়ে যাওয়ার সুযোগ নাই। পিছিয়ে যাওয়াই যাবে না। ৩ তারিখ হুজুররা মাঠে নেমে গেছে। আর ঘরে ফিরবে না সেই সিদ্ধান্ত নিয়েই মাঠে নামি। শাহবাগে সেদিনের বক্তৃতা দেওয়ার উদ্দেশ্য ছিল যে যেখানেই থাকেন আসতে থাকেন। আর দুএকজন মাথা বের করার পরতো সবাই এসে গেছেন। তখন আলেম ওলামারা পিকআপে ছিল। বেশটা ছিল পানি আর বিস্কুট নিয়ে।
দৈনিক সংগ্রাম : এটা কি আপনাদের কৌশল ছিল ?
ড. খলিলুর রহমান মাদানী : মানুষতো খাবার পাচ্ছিল না। তাদের খাবার দেওয়ার জন্য্ই তারা ছিল। এক প্যাকেট বিস্কুট আর এক বোতল পানি হলে একটা মানুষ সারাদিন চলতে পারে।
দৈনিক সংগ্রাম : এবার আপনার প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে বলি। জুলাই আন্দোলনে তা’মীরুল মিল্লাত মাদরাসার কি ভূমিকা ছিল ?
ড. খলিলুর রহমান মাদানী : যাত্রাবাড়ি থেকে শুরু করে সাইনবোর্ড পর্যন্ত পুরোটাই মিল্লাতের ছাত্র-শিক্ষক যে যেই অবস্থা ছিল এবং আমাদের এই এলাকার যত কওমী মাদরাসা ছিল তাদের ভাগে ভাগে আমরা লোক পাঠিয়েছি। সকালে সন্ধ্যায় ভোরে বৃষ্টির মধ্যে মটর সাইকেল দিয়ে। কিছু চলে না। যাতে তারা সকালে আন্দোলনে নামে।
দৈনিক সংগ্রাম : তা’মীরুল মিল্লাত মাদরাসার শহীদ হয়েছে কয় জন ?
ড. খলিলুর রহমান মাদানী : আমাদের এখানে দুইজন। আর টঙ্গিতে তিনজন।
দৈনিক সংগ্রাম : গত এক বছরের মূল্যায়ন কি আপনার দৃষ্টিতে।
ড. খলিলুর রহমান মাদানী : ফ্যাসিবাদ, অত্যাচারী, স্বৈরাচারী তাদের দৃশ্যমান বিচার হতে হবে। দুর্নীতিবাজ এবং জুলুমতন্ত্র যেন না থাকে। আমাদের দেশ দুর্নীতিমুক্ত হউক। দেশকে মাদক ও দুর্নীতিমুক্ত দেখতে চাই। দেশের মানুষ যাতে নিরাপদে যার যার ধর্মীয় বিধান পালন করতে পারে সেই সুযোগ চাই।
দৈনিক সংগ্রাম : শিক্ষাব্যবস্থার ্উন্নয়নে কোন সুপারিশ আছে আপনার ?
ড. খলিলুর রহমান মাদানী : দেশেতো অস্থিরতা চলছে। করোনা এবং জুলাই আন্দোলনের পর ছাত্রদের ক্লাসমুখো করা খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে। সেক্ষেত্রে শিক্ষকদের ক্লাসে আন্তরিকভাবে পারফর্ম করা, আর ছাত্রদের ক্লাসে ফেরা। তা না হলে অতি নিকটে শিক্ষক আর পাওয়া যাবে না। শিক্ষাব্যবস্থা একেবারে ভেঙে পড়বে; যদি আমরা ছাত্রদের ক্লাসে হাজির করাতে না পারি। ভাল ছাত্র না হলেতো ভাল শিক্ষক পাওয়া যাবে না।
দৈনিক সংগ্রাম : শিক্ষাব্যবস্থ্যায় কি কিছু পরিবর্তন এসেছে বলে মনে করেন ?
ড. খলিলুর রহমান মাদানী : কিছু এসেছে। ভারত থেকে ছাপা হওয়া বইতে শিরক মিশ্রিত কথা ছিল। শিক্ষা উপদেষ্টাকে বলে ২০১১ সালের আগে যে সিলেবাস ছিল সেগুলো ফেরত আনা হয়েছে। এককথায় ধর্মবিমুখ যে কথা ছিল তা বাদ দেওয়া হয়েছে।
দৈনিক সংগ্রাম : ধন্যবাদ আপনাকে দৈনিক সংগ্রামকে সময় দেওয়ার জন্য।
ড. খলিলুর রহমান মাদানী : আপনাকেও ধন্যবাদ।