কঙ্গোর রাজধানী কিনশাসায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্বরত বাংলাদেশ পুলিশের নারী কন্টিনজেন্ট ব্যানএফপিইউ-১ অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা পদক লাভ করেছে। গত বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে এ পদক প্রদান করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার পুলিশ সদর দফতরের মিডিয়া অ্যান্ড পিআর শাখা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গণমাধ্যমকে তথ্য জানিয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ প্রতিনিধি বিনতোউ কেইটা। এছাড়া, মনুসকো পুলিশ কম্পোনেন্টের প্রধান এবং ভারপ্রাপ্ত কমিশনার জেনারেল অ্যালেন বামেনু উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ব্যানএফপিইউ-১, রোটেশন-১৭ এর কন্টিনজেন্ট কমান্ডার পুলিশ সুপার কাজী রুবাইয়াত রুমী।
পদকপ্রাপ্তদের মধ্যে ছিলেন ১৭৮ জন শান্তিরক্ষী, যাদের মধ্যে ৬৮ জন নারী। এছাড়া মনুসকো কিনশাসার বিভিন্ন সেকশনে কর্মরত ২৩ জন ইন্ডিভিজুয়াল পুলিশ অফিসার (আইপিও) ব্যানএফপিইউ-১ এর সদস্যদের সঙ্গে যৌথভাবে পদক গ্রহণ করেন।
প্রধান অতিথি বিনতোউ কেইটা তার বক্তব্যে বাংলাদেশ পুলিশের পেশাদারত্ব, দায়িত্ববোধ এবং শৃঙ্খলার ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি নারী শান্তিরক্ষীদের সক্রিয় অংশগ্রহণকে জাতিসংঘের জেন্ডার ইকুয়ালিটি ও নারী ক্ষমতায়ন ম্যান্ডেট বাস্তবায়নের একটি উজ্জ্বল উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেন। নারী শান্তিরক্ষীদের অবদানের জন্য তিনি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানান।
জেনারেল অ্যালেন বামেনু তার বক্তৃতায় ব্যানএফপিইউ-১ এর অপারেশনাল দক্ষতা, জনসম্পৃক্ততা এবং স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ের প্রশংসা করেন। তিনি বিশেষভাবে পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট, যৌথ টহল কার্যক্রম এবং ক্যাপাসিটি বিল্ডিং প্রশিক্ষণ সফলভাবে পরিচালনার কথা তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাপস কুমার পাল প্যারেড মার্শালের দায়িত্ব পালন করেন এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাসরিন আক্তার ছিলেন প্যারেড কমান্ডার। এছাড়া আইপিও সদস্যবৃন্দ ও মনুসকোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ব্যানএফপিইউ-১ কন্টিনজেন্টটি ২০২৪ সালের ২৭ মে থেকে কঙ্গোতে কাজ শুরু করে এবং তখন থেকেই দক্ষতা ও সুনামের সঙ্গে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে আসছে।