দাওয়াতের মাধ্যমে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ এবং তাদের মধ্যে আস্থায় রাখার আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আগামী দিনে মানুষের মধ্যে বেশি বেশি দাওয়াতের কাজ করতে হবে। নিজেদের সবার সাথে পানির মতো সহজ করে মিশতে হবে। আদে সালাম দিতে হবে। তাদের মধ্যে আস্থার জায়গা তৈরি করতে হবে। তিনি সমাজের তরুণ-যুবকদের গুরুত্ব দিয়ে ইসলামের পথে দাওয়াত দেওয়ার কথা বলেন। সেইসাথে আগামীর বাংলাদেশ গড়তে আগামী দিনে তরুণদের জাগিয়ে তোলার আহ্বান জানান।

গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মগবাজারের আল ফালাহ মিলনায়তনে দুইদিনব্যাপী উপজেলা ও থানা আমীরদের নিয়ে শিক্ষা শিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় সংগঠনের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, ড. এ এইচ এম হামিদুর রহমান আজাদ, নির্বাহী পরিষদ সদস্য আবদুর রব উপস্থিত ছিলেন।

জামায়াতের আমীর বলেন, ইসলামের দাওয়াতের জন্য মানুষের ঘরে ঘরে যেতে হবে। মানুষের কাছে পানির মতো সহজ হওয়া লাগবে। সাধারণ মানুষের সাথে মিশতে হবে। মেজাজ ঠান্ডা রেখে মানুষের সাথে কথা বলতে হবে। কর্মীদের সাথে ভাল ব্যবহার করতে হবে। সবাইকে আগে সালাম দিতে হবে।

যুবকদের কাছে টানার পরামর্শ দিয়ে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, তরুণদের জাগিয়ে তুলতে হবে। তাদের দাওয়াত দিতে হবে। রাসুল সা: যুবকদের মর্যাদা দিয়েছেন সবচেয়ে বেশি। এজন্য তাদের কাছে টানতে হবে। তিনি বলেন, নিজেদের সিংহের ভূমিকায় নিয়ে যেতে হবে। তাহলে অন্যায় জুলুমকারীরা পালিয়ে যাবে।

সবাইকে ধৈর্য্যরে পরিচয় দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আমীরে জামায়াত বলেন, আমরা ধৈর্য্য ধরেছি বলে আইনের মাধ্যমে এটিএম আজহারুল ইসলামকে আমাদের মধ্যে ফিরে পেয়েছি। একইভাবে দলের নিবন্ধন ও প্রতীকও ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

তিনি অন্য ধর্মের মানুষের সাথেও ভাল আচরণের উপদেশ দিয়ে বলেন, আগে মনে করা হতো অন্য ধর্মের মানুষেরা আমাদের ভোট দিবে না। এবার কিন্তু পরিস্থিতি বদলেছে। অন্য ধর্মের ভাইয়েরা আমাদের ভাল জানেন। এবং তারা আমাদের ভোটও দিবেন। তাদের সম্মান দেখাতে হবে। আস্তে আস্তে পরিস্থিতি আরও পরিবর্তন হবে বলেও মত দেন তিনি।

অন্যায়কারীরা সব সময় দুর্বল হয় জানিয়ে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, জুলুমবাজরা সব সময় কাপুরুষ হয়। আওয়ামী লীগ অন্যায় করেছিল। ২০২৪ সালের ৩ আগস্ট পর্যন্ত সব ছিদ্র বন্ধ করে রেখেছিল। কিন্তু যুবকরা যখন দাঁড়িয়ে গেল তখন তারা পালিয়ে গেল। এজন্য নিজেদের অধিকার নিজেদের আদায় করার ওপর জোর দেন ডা. শফিকুর রহমান।

জামায়াতে ইসলামীর আমীর বলেন, শহরের মানুষকে বেশি প্রাধান্য দেওয়ার কথা জানিয়ে বলেন, শহরের সব মানুষ কিন্তু শহরের ভোটার না। তাদের অধিকাংশ গ্রামের ভোটার। তাদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করতে হবে। তাদের সাথে বিনয়ের সাথে কথা বলতে হবে। নিজের এবং অন্যদের সাথে মিলেমিশে থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, সবার সাথে মিলেমিশে দেশটাকে গড়তে হবে। জাতি আশাবাদী এবং আস্থায় রাখতে হবে।