জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান চলাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে পুলিশের গুলীতে গুরুতর আহত মো. হৃদয় হোসেন (১৬) ৯ মাস পর মৃত্যুবরণ করেছেন। শুক্রবার দুপুরে তাকে অচেতন অবস্থায় পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। বিকেল সোয়া ৩টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
হৃদয় হোসেন বাউফল উপজেলার সদর ইউনিয়নের পশ্চিম জৌতা গ্রামের আনসার হাওলাদারের ছেলে। জীবিকার তাগিদে তিনি দিনমজুরি করতেন।
জানা যায়, গত বছরের ১৮ জুলাই রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে প্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতনের আন্দোলনের সময় পুলিশের ছোড়া গুলীতে হৃদয় হোসেন গুরুতর আহত হন। তার মাথা, বুক ও হাতে একাধিক গুলী লাগে। এরপর দীর্ঘদিন তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। চিকিৎসকরা তার মাথায় থাকা কয়েকটি ছররা গুলী অপসারণে ব্যর্থ হন, যা তার স্বাস্থ্যের জন্য স্থায়ী ঝুঁকি তৈরি করে।
বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক সাম্মি ইসলাম তরণ বলেন, নিহতের শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর আমরা দেখতে পাই, তার ব্রেইনের পর্দায় ইনফেকশন হয়েছে এবং সে কারণে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য রোগীকে ঢাকায় পাঠানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু অর্থনৈতিক সংকটের কারণে পরিবারের সদস্যরা তাকে স্থানীয় হাসপাতালে রেখেই চিকিৎসা চালিয়ে যেতে বাধ্য হন। শেষ পর্যন্ত তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। তবে মাথায় গুলী থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক আবু হাসান মোহাম্মদ আরেফীন বলেন, মৃত্যুর বিষয়ে আমরা অবগত হয়েছি। বিষয়টি আমাদের জন্য দুঃখজনক। শহীদ হৃদয়ের পরিবারে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার বাড়িতে একটি প্রতিনিধি দল যাচ্ছে।