জুলাই বিপ্লবের পরেও ‘শাহবাগীরা’ কথা বলার সাহস পায়- এটা দুঃখজনক। দেশকে জাহান্নাম বানিয়েছিলো এরা। কিছু সুবিধাবাদী রাজনৈতিক দলের জন্য তারা এখনো কথা বলার সাহস পাচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের সামনে ‘শাহবাগ বিরোধী ঐক্য’ নামে একটি সংগঠনের মানববন্ধনে বক্তারা এসব বলেন। কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন ‘শাহবাগ বিরোধী ঐক্য’র সংগঠক সিনথিয়া।
এ সময় তারা প্ল্যাকার্ড হাতে বিভিন্ন স্লোগান দেন এবং ২০১৩ সালের আন্দোলনের ‘সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক দায়’ নিরূপণ করে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে বিচারিক পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, শাহবাগ আন্দোলনের নামে ২০১৩ সালে দেশে একটি পরিকল্পিত বিভাজন তৈরি করা হয়েছিল। সে সময়কার কিছু বামপন্থী দল ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের অংশগ্রহণ সেই সহিংস পরিস্থিতিকে উৎসাহিত করে। বিশেষ করে শাপলা চত্বরে ঘটে যাওয়া সহিংসতা এবং পরবর্তীকালে কথিত ‘জুডিশিয়াল কিলিং’ ন্যারেটিভ তৈরি এসব কিছুর পেছনে শাহবাগীদের সক্রিয় ভূমিকা ছিল।
তারা বলেন, শাহবাগীদের মতো ‘ঘৃণ্য প্রাণি’ জুলাই বিপ্লবের পরেও কথা বলার সাহস পায়, এটাই দুঃখজনক। দেশকে জাহান্নাম বানিয়েছিলো এই বাম শাহবাগীরা। কিছু সুবিধাবাদী রাজনৈতিক দলের জন্য ওরা এখনো কথা বলার সাহস পাচ্ছে। বক্তারা বলেন, ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানকালে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে দেশকে একটি যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করেছিল। সেই হাসিনার দোসর শাহবাগীরা এখনো ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের বিচারের দাবিতে আজ আমরা এখানে দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছি।