গাজীপুর মহানগরের গাছা থানার ডেগেরচালা হারিকেন এলাকায় রান্নার সময় গ্যাসের ভয়াবহ বিস্ফোরণে এক দম্পতি ও তাদের স্কুলপড়ুয়া সন্তান দগ্ধ হয়েছেন। মর্মান্তিক এ ঘটনায় গুরুতর দগ্ধ তিনজনকেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ সংলগ্ন জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
দগ্ধরা হলেন পোশাক শ্রমিক হারিস মিয়া (৫০), তার স্ত্রী আয়েশা আক্তার (৪০) এবং তাদের একমাত্র পুত্র মইনুল ইসলাম (১২)। তারা মূলত সিলেটের সুনামগঞ্জ থানার বাসিন্দা, বর্তমানে গাজীপুরে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করছিলেন।
গাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলী মোহাম্মদ রাশেদ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার সকালে আয়েশা আক্তার রান্নার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় গ্যাসের চুলা জ্বালাতে যান। চুলায় দিয়াশলাইয়ের আগুন লাগানোর সঙ্গে সঙ্গে হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। আগুনের ভয়াবহতায় ঘরের দরজা ছিটকে পড়ে এবং ঘরের ভেতরে থাকা স্বামী-স্ত্রী ও তাদের শিশু সন্তান দগ্ধ হন। স্থানীয়রা দ্রুত তাদের উদ্ধার করে ঢাকায় বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে যান।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান জানান, দগ্ধ অবস্থায় তিনজনকে দুপুরে হাসপাতালে আনা হয়। হারিস মিয়ার শরীরের ৮৮ শতাংশ, আয়েশা আক্তারের ৯০ শতাংশ এবং ছেলে মইনুল ইসলামের শরীরের ৮৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। তিনজনেরই অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। জরুরি বিভাগের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের আইসিইউসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হবে।
ওসি রাশেদ আরও জানান, প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, তিতাস গ্যাসের লাইনে লিকেজ থাকায় গ্যাস ঘরের ভেতরে জমে ছিল। আগুনের সংস্পর্শে আসতেই ঘটে ভয়াবহ বিস্ফোরণ। ইতোমধ্যে সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তারা অধিকতর তদন্তের মাধ্যমে বিস্ফোরণের প্রকৃত কারণ নিশ্চিত করবে।