জামায়াতে ইসলামী জুলুমের প্রতিবাদ করতে গিয়ে জুলুমের শিকার হয়েছে উল্লেখ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী প্রতিটি সরকার দেশের জনগণকে শোষণ করেছে। জনগণের উপর জুলুম-নির্যাতন চালিয়েছে। মানুষের বাক স্বাধীনতা ছিনিয়ে নিয়েছে। জামায়াতে ইসলামী শোষণের বিরুদ্ধে, জুলুমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় সব সরকারের টার্গেটে পরিণত হয়েছে। যার কারণে জোট সরকারে থাকাকালীনও জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দের নামে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে, কারাগারে জুলুম-নির্যাতন চালানে হয়েছে। পতিত স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ জামায়াতকে নিঃশেষ করে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে ভারতের পরামর্শে প্রথমে জামায়াতে ইসলামীর আমীর, সেক্রেটারী জেনারেল সহ শীর্ষ ১১ জন নেতাকে বিচারিক হত্যা করে। পরবর্তীতে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করেছে। কিন্তু এদেশের জনগণ সেই পতিত আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করে দেশ ছাড়া করেছে। সর্ববৃহৎ দল দাবি করা দল ক্ষমতা হারিয়ে এক মিনিট রাজপথে ঠিকতে পারেনি। জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় না বসেও জনগণের হৃদয়ে স্থান করে আছে। যার কারণে জামায়াতে ইসলামীকে নিঃশেষ করা যায়নি, যাবে না। তবে ষড়ষন্ত্র থেমে নেই। ভারত এখন আবার নতুন করে আরেকদলকে জামায়াতের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিচ্ছে। কারণ ভারত জানে, সব দলকে কেনা গেলেও জামায়াতে ইসলামীকে কেনা যাবে না। এজন্য জামায়াতে ইসলামীকে নিঃশেষ করতে ভারত একেক বার একেক দলের ঘাড়ে সোয়ার হয়।
গতকাল সোমবার রাজধানীর শাহজাহানপুর পূর্ব থানা এলাকায় গণসংযোগ পক্ষের দাওয়াতী কার্যক্রম পরিচালনা পূর্বক সংক্ষিপ্ত পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি দেশবাসীকে দুর্নীতি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ মুক্ত সমাজ গড়তে জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলে জনগণ শোষিত হবে না। দেশের প্রতিটি নাগরিক দলমত, ধর্মবর্ণ, জাতি-গোষ্ঠী নির্বিশিষে সমান অধিকার ও মর্যাদা লাভ করবে। তাই শোষণের হাত থেকে মুক্তি ও নাগরিক হিসেবে নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে তিনি শান্তিকামী জনতার প্রতি আহ্বান জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য ও শাহজাহানপুর পূর্ব থানা আমীর মুহাম্মাদ শরিফুল ইসলাম, মহানগরী মজলিসে শূরা সদস্য ও শাহজাহানপুর পূর্ব থানা সেক্রেটারি মুহাম্মাদ আনোয়ার হোসাইন, থানা কর্মপরিষদের সদস্য যথাক্রমে আবদুল খালেক, নাহিদ জামাল, আজিজ উদ্দিনসহ দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ। প্রেসবিজ্ঞপ্তি।