দেশে কী হতে যাচ্ছে, এ নিয়ে সর্বত্র নানা কানাঘুষা চলছে। রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা অথবা দেশের শীর্ষ কর্তা ব্যক্তিরা একজন আরেকজনের সঙ্গে দেখা করতে গেলে বা বৈঠক করলে সবাই জানতে চাইছেন, দেশে হচ্ছেটা কী। এছাড়া হঠাৎ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অস্থিরতা, আওয়ামী লীগের দোসর বলে খ্যাত বাম সংগঠনের তৎপরতায় নানা ষড়যন্ত্র-তত্ত্ব ঘুরপাক খাচ্ছে। ডালপালা মেলছে নানা গুজব।
২০২৪ সালের ছাত্রজনতার গণ-আন্দোলনের মুখে বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর রাষ্ট্র সংস্কারের গুরুদায়িত্ব নেয় নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। দেশের মানুষ খুঁজে পায় যেন নতুন পথের দিশা। মানুষের আশা আকাক্সক্ষাকে সামনে রেখে নানামুখী সংস্কার কার্যক্রম শুরু করে তারা। কিন্তু দেখা গেল এরপর থেকেই সরকারের ওপর একের পর এক আন্দোলনের ঢেউ আছড়ে পড়তে শুরু করেছে। বিভিন্ন খাতসংশ্লিষ্টরা ছোট-বড় যে কোনো ইস্যুতেই সড়ক অবরোধসহ নানা কর্মসূচি দিয়ে আন্দোলনে নেমে পড়ছেন। একটি সমস্যার সমাধানের প্রক্রিয়া শেষ হতে না হতেই দেখা যায় আরেকটি এসে ধাক্কা দিচ্ছে।
গত বছরের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারকে ফেলে দেয়ার চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র হয়েছে। দাবিদাওয়ার নামে আনসার বিদ্রোহ, গার্মেন্ট খাতে স্যাবোটাজ করে শ্রমিক আন্দোলন, সংখ্যালঘু নির্যাতনের ধোঁয়া তুলে তান্ডব, রিকশা শ্রমিক আন্দোলনের নামে আওয়ামী লীগের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা থেকে শুরু করে একের পর এক আন্দোলনের নামে সরকারকে অস্থিতিশীল করে তোলার অপচেষ্টা হয়েছে। অবস্থা এমন অবস্থায় গিয়ে পৌঁছেছে যে, আন্দোলন-অবরোধ যেন দেশের স্থায়ী সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। দিন যতই যাচ্ছে, ততই দীর্ঘ হচ্ছে এসব দাবির মিছিল। এর জেরে অবনতি ঘটে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির। হঠাৎ করে বেড়ে যায় খুন, ছিনতাইসহ ভয়ানক সব অপকর্ম। সম্প্রতি শুরু হয়েছে অন্য রাজনীতি। যে কোনো ইস্যুকে সামনে রেখে স্বাভাবিক পরিস্থিতিকে অস্বাভাবিক করা হচ্ছে। বিশেষ করে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পলাতক ফ্যাসিস্টদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় অরাজক পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। গত কয়েকদিনে দেশের সব্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাবি, রাবি, চবি, বাকৃবিসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। সবার মনে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, এমন পরিস্থিতির কারণ কী? সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন বিশ্লেষণ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে মিলেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গেছে, এসব ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে পরাজিত রাজনৈতিক শক্তি। ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে তার রেখে যাওয়া ক্যাডার বাহিনী দেশকে অস্থিতীশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। পাশের দেশ থেকে পালিয়ে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও দলের নেতারা বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের ফোনে দিচ্ছেন প্রয়োজনীয় নির্দেশনা। একের পর এক ফাঁস হওয়া ফোনালাপে শোনা যাচ্ছে উস্কানিমূলক বক্তব্য। আবারও ফাঁস হওয়া ফোনকলে শোনা যায়, শেখ হাসিনা বলেন- সংগঠিত হয়ে দুই গ্রুপে মাঠে নামতে হবে। যদি হামলা হয়, তাহলে পাল্টাহামলা চালাতে হবে। দিল্লিতে অবস্থানরত শেখ হাসিনার শেষ ফাঁস হওয়া ফোনালাপে যুবলীগের এক শীর্ষ নেতাকে নির্দেশ দিতে শোনা যায়, যেখানে তিনি বলছেন- যত দ্রুত সম্ভব আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় উদ্ধার করতে হবে। ৫০-১০০ জন গেলেও কি তারা মেরে ফেলবে? কেউ হামলা করলে কঠোর জবাব দিতে হবে।
জানা গেছে, দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির এই ষড়যন্ত্র ও প্রক্রিয়ার সঙ্গে আওয়ামী নেতাকর্মী ছাড়াও জড়িত আছেন প্রশাসন ও পুলিশের সাবেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এছাড়া বিপুল পরিমাণ টাকার বিনিময়ে অবরোধ, মিছিল, জ্বালাও-পোড়াওসহ বিভিন্ন সংঘবদ্ধ অপরাধেরও প্রস্তুতি নিয়েছে তারা।
জানা গেছে, ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে পালিয়ে থাকা গত ফ্যাসিস্ট সরকারের রাঘববোয়াল ও চুনোপুঁটিরা বর্তমানে দেশে অস্থিরতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির অপতৎপরতা চালাচ্ছে। তথ্য প্রযুক্তির কল্যাণে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগীদের অপকর্ম প্রকাশ পাচ্ছে। প্রতিহিংসার জিঘাংসা চরিতার্থের জন্য তারা এতটাই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে যে, দেশ ও দেশের মানুষকে ভয়াবহ বিপদের মুখে ফেলতেও দ্বিধা করছে না। তারা মনে করছে, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণ করতে পারলে তাদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শুরু করা যাবে।
এসব ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সরকার ও রাজনীতিক দলগুলোকে সজাগ ও সদাতৎপর থাকার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, দেশের রাজনৈতিক দলসহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষকেও সজাগ থাকতে হবে। পাশাপাশি ষড়যন্ত্রের মূল উপড়ে ফেলতে ভারতে পালিয়ে থাকা আওয়ামী নেতাকর্মীদের দ্রুত দেশে ফেরত আনতে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। কারণ কোনো দেশে অন্য একটি দেশের অপরাধীরা অবস্থান করে যদি তাদের দেশকে অস্থিতিশীল করতে থাকে, তাহলে সেটাকে হালকাভাবে দেখার উপায় নেই।
দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশে একটা চক্রান্ত চলছে। একটি গোষ্ঠী নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান এবং অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মো. আসাদুজ্জামানও চক্রান্তের কথা বলেছেন। সবশেষ গত রোববার দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও ষড়যন্ত্রের কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে। প্রায় এক বছর আগের কথা স্মরণ করে দিয়ে তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন ঘিরে অদৃশ্য শক্তি সক্রিয় হয়ে উঠবে সেটি আমি আগেই বলেছিলাম। আজ জনগণ নিজেরাই লক্ষ করতে শুরু করেছেন যে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার সুযোগ বিনষ্ট করার ক্ষেত্রে সেই অশুভ শক্তির অপতৎপরতা ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হয়ে উঠছে।
সূত্র মতে, প্রতিদিন ঘটছে নতুন নতুন ঘটনা। একটি ঘটনা শেষ হতে না হতেই অন্যটি সামনে আসছে। গত সপ্তাহে বিভিন্ন দাবিতে রাজধানী ছিল উত্তপ্ত। বিশেষ করে প্রকৌশলের শিক্ষার্থীরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা ঘেরাও করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বেধে যায়। এ নিয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে হওয়া শুরু হয়। গত শুক্রবার রাতে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। সেখানে তার উপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যাপক পিটুনি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এরপর গত দুইদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনকে সামনে রেখে উত্তাল রাবি। এক ছাত্রীকে মারধরের ঘটনায় উত্তপ্ত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের ক্যাডার বাহিনী একটি রাজনৈতিক দলের সাথে এক হয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর নির্মম নির্যাতন চালায়। এছাড়া ঢাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাম সংগঠনগুলো তৎপর। তারা যে কোনেভাবে নির্বাচন বন্ধ করতে চায়। এছাড়া দাবি নিয়ে বিক্ষোভ করলে বাকৃবিও বহিরাগতরা হামলা চালায়। এখানে পলাতক দলের লোকজনই জড়িদ বলে জানা গেছে।
রাজনৈতিক বোদ্ধারা বলছেন, এভাবে পরিস্থিতি ঘোলাটে হলে আওয়ামী লীগ সুযোগ নিতে পারে। এর মধ্যে আওয়ামী বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর অনৈক্যকেও অনেকে সুযোগ হিসেবে নিচ্ছে। যার প্রমাণ বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যে দেখা যায়। তিনি বলেছেন, একটি গোষ্ঠী বিভিন্ন ধরনের উগ্রবাদের কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চায়। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, দেশে উগ্রবাদের উত্থানের সঙ্গে ভূ-রাজনৈতিক ও বাংলাদেশ প্রশ্নে আন্তর্জাতিক নানা হিসাব-নিকাশ জড়িত।পরিস্থিতি পর্যালোচনায় রোববার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির নেতাদের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেছেন। সার্বিকভাবে দেশের সাম্প্রতিক ঘটনা ও ইস্যু নিয়ে সেখানে আলোচনা হযেছে বলে জানা গেছে। তবে সে আলোচনায় গুমোট পরিস্থিতির আদৌ সমাধান হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. মাহবুবউল্লাহ মনে করেন, দেশে যখন এ ধরনের ঘটনা ঘটে, তখন রাজনীতিবিদরা এবং অন্যান্য মহল সেটিকে ষড়যন্ত্র হিসেবে চিহ্নিত করেন। ষড়যন্ত্রের কথা বলে সেটিকে উসকে দেওয়া ঠিক না। সবার সুমতি হতে হবে। একে অপরের প্রতি যদি সন্দেহ-অবিশ্বাস থাকে, তাহলে উচিত হবে পরস্পর কথা বলা। এ ক্ষেত্রে বিএনপির দায়িত্ব বেশি, বড় দল হিসেবে। বিএনপি যেহেতু নির্বাচন চাইছে এবং তারা মনে করছে নির্বাচন হলে দেশের অবস্থা ভালোর দিকে যাবে। সেটিই যদি সত্যি হয়, বিএনপির উচিত নির্বাচন যাতে বানচাল না হয়, সে জন্য ধীরস্থিরভাবে কাজ করা। অন্যদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। যোগাযোগ রাখতে হবে। তাদের আস্থায় নিতে হবে। তাদের ভরসা দেওয়া যে এমন কিছু আমরা করব না, যা রাজনীতির জন্য বা সাংগঠনিক কার্যক্রমের জন্য সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. দিলারা চৌধুরী বলেন, প্রধান উপদেষ্টা যখন নির্বাচনের সময় ঘোষণা করলেন, তখন রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কোনো সমঝোতা হয়নি। সংস্কারেও অগ্রগতি হয়নি। বিচার দৃশ্যমান হয়নি। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দেওয়া হবে কি না, বলা হচ্ছে দুই বছর পর ভিত্তি দেওয়া হবে সেটি তো জনগণ মেনে নেবে না। সেই অবস্থায় নির্বাচনের তারিখ দেওয়া হয়েছে। তাহলে তো ঘোলাটে হবে পরিস্থিতি। তিনি বলেন, কোন সরকার এই নির্বাচন করবে, কেয়ারটেকার সরকার ফেরত আসবে কি না, সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে এই সংবিধানের অধীনে নির্বাচন দেওয়ার এখতিয়ার আছে কি না, এসব বিষয়ও পরিষ্কার করা হয়নি। এগুলো পরিষ্কার না করার মধ্যে নুরদের ওপর যৌথ বাহিনী হঠাৎ করে ঝাঁপিয়ে পড়ল। এটি আমার কাছে ষড়যন্ত্র মনে হচ্ছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, কয়েকটি রাজনৈতিক দল নির্বাচনি প্রক্রিয়া বানচাল করার চেষ্টা করছে। বিভিন্ন দাবি-দাওয়া তুলে দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা চলছে।
পর্যবেক্ষকদের অভিমত, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে মব তৈরি করে ফায়দা হাসিলের চেষ্টাও হয়েছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে। এসব ঘটনা পরিকল্পিতভাবে পতিত আওয়ামী লীগ ও ভারতীয় ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ঘটানো হচ্ছে। পতিত আওয়ামী লীগ ও ভারত দেশে একটি গণতান্ত্রিক ও স্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হোক, তা চায় না। গণঅভ্যুত্থানে পতন ও পরাজয় কিছুতেই তারা মেনে নিতে পারছে না। দেশের মানুষের ওপর তাদের রোষ, জেদ ও প্রতিশোধ নেয়ার জন্য তারা পাগলপারা হয়ে পড়েছে। বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অস্থিরতা-অনৈক্য বাড়তে থাকলে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষা করা অসম্ভব হয়ে পড়বে। ফলে দেশ নতুন করে সংকটে পড়তে পারে। তারা মনে করছেন রাজনৈতিক সমঝোতা এবং নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন না হলে যে পরিস্থিতি সৃষ্ট হবে তাতে ফ্যাসিবাদী শক্তিই লাভবান হবে।
মানবাধিকার কর্মী নূর খান লিটন বলেন, মানুষের চোখে এখন রাজনৈতিক অস্থিরতা। এক বছর পার হয়ে যাওয়ার পরেও দেশ পরিচালনায় মানুষ যে সফলতার আশা করেছিল, তা সুদূর পরাহত হয়েছে। মানবাধিকার, গণতন্ত্র কোনো দিকেই আশা দেখছি না। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে মতবিরোধ বাড়ার কারণে রাজনৈতিক সংকটের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।