রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে দগ্ধ আরেক শিক্ষার্থীকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। ৯৯ দিন হাসপাতালে কাটানো মো. নাভিদ নেওয়াজ (১২) নামের ওই শিক্ষার্থীকে গতকাল সোমবার দুপুরে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বার্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দিন। নাভিদ মাইলস্টোন স্কুলের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার শরীরের ৪৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। সে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার ইকবাল হোসেনের ছেলে। পরিবারটি বর্তমানে উত্তরা ১৮ নাম্বার সেক্টরে বসবাস করে। এ নিয়ে বার্ন ইনস্টিটিউট থেকে ৩১ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হলো। এখনো এখানে ভর্তি রয়েছে পাঁচজন। যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় এ হাসপাতালে মৃত্যু হয় ২০ জনের।
বার্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক নাসির উদ্দিন বলেন, মো. নাভিদ নেওয়াজ নামের এক শিক্ষার্থীর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় সোমবার দুপুরের দিকে তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। আমাদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট থেকে এখন পর্যন্ত ৩১ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে পাঁচজনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সবার শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে। আশা করছি তারাও শিগগিরই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরবে, ইনশাল্লাহ। যাদের ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে, তারা পরবর্তীতে বার্ন ইনস্টিটিউটে এসে চিকিৎসা নিতে পারবে। তাদের অস্ত্রোপচার প্রয়োজন হলে তাও করতে পারবে, যোগ করেন ইনস্টিটিউটের পরিচালক। গত ২১ জুলাই দুপুরে প্রশিক্ষণ চলাকালে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকসহ এখন পর্যন্ত ৩৬ জন নিহত হয়। আহত হয় শতাধিক।