জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরে পরিবর্তিত রাজনৈতিক বাস্তবতায় আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ ইসলামীপন্থী রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর মধ্যে একটি বোঝাপড়া গড়ে উঠেছে। এই বোঝাপড়া ও যৌথ রাজনৈতিক পথচলার ধরণ নিয়ে শীর্ষ নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে বারংবার স্পষ্ট বার্তা দেয়া হয়েছে যে, এটা কোন জোট না; বরং আসনভিত্তিক নির্বাচনী সমঝোতা। প্রতিটি আসনে ইসলামপন্থীদের একক প্রার্থী দেয়ার পরিকল্পনা থেকে যৌথ নির্বাচনী পথচলা এগিয়ে চলছে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক শেখ ফজলুল করীম মারুফ প্রেরিত বার্তায় বলা হয়, বাংলাদেশের প্রচলিত জোটের রাজনীতির বাইরে এই ধরণের আসনভিত্তিক একক প্রার্থী দেয়ার যে রাজনীতি তা অনন্য। কোন দলের কাছে কোন দল আসন চাওয়া বা এক দল আরেক দলকে আসন দেয়ার যে পুরোনো কনসেপ্ট তা এই সমঝোতায় প্রযোজ্য না।

ফলে “জামায়াতের কাছে ২০০ আসন চেয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ” শিরোনামে যে ফটোকার্ড প্রচারিত হয়েছে তা অসত্য এবং ভুল তথ্যের ওপরে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নির্মিত। আমরা মনে করছি, রাজনৈতিক অসৎ উদ্দেশ্যে এই ধরণের অপপ্রচার করা হয়েছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।

সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ দেশের তিনশ আসনেই প্রার্থী ঘোঘণা করেছে। জামায়াতে ইসলামীও তিনশ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। আন্দোলনরত আটদলের অন্যরাও বহুসংখ্যক আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। আসনভিত্তিক একক প্রার্থী দেয়ার লক্ষ্যে আটদলের লিয়াজো কমিটি কাজ করছে। এখানে একদল আরেক দলের কাছে আসন চাওয়া বা একদল আরেকদলকে আসন দেয়ার সংবাদ একটি অবান্তর সংবাদ।

আমরা সংবাদ মাধ্যমের কাছ থেকে আরো দায়িত্বশীল আচরন আশা করি। এবং দেশের এই ক্রান্তিকালে দুইটি দলের পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে সংবাদ প্রকাশে আরো সতর্কতা ও সংবেদনশীলতা আশা করি।