দখল, চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তারের ঘটনা বেড়েছে। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘটছে খুনা-খুনি-নৃশংসতা। এতে সাধারণ ব্যবসায়ী এবং জনমনে উদ্বেগ-উৎকন্ঠা বেড়েছে। অনেকেরই প্রশ্ন এসব ঘটনায় জড়িত কারা? তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করেও হচ্ছে মব সৃষ্টি। দখল ও চাঁদা দাবিকে কেন্দ্র করে পুরান ঢাকার মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে প্রকাশ্যে নৃশংসভাবে মাথায় পাথর দিয়ে থেঁতলে হত্যার ঘটনায় সারাদেশে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এরআগে কয়েকটি মবের ঘটনায় তোলপাড় হয়।

অন্তর্বর্তী সরকার শুরু থেকেই আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে নিরাপত্তা বাহিনীগুলোকে কঠোরভাবে নির্দেশ দিয়েছে। অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে শক্ত হতে বলছে। পুলিশ ও র‌্যাবের পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনী অপরাধ দমনে মাঠে তৎপর রয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী প্রতিদিনই বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে। এরআগে শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদসহ সেভেন স্টার গ্রুপের আট সন্ত্রাসীকে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেফতার করে সেনাবাহিনী। এ ছাড়াও পাঁচ মাস ধরে দেশে যৌথ বাহিনীর ডেভিল হান্ট অপারেশন চলছে। এর আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গত বছর ১৭ সেপ্টেম্বর সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়। দুই মাস পর পর এর মেয়াদ বাড়িয়ে তাদের মাঠে রাখা হচ্ছে। সর্বশেষ গতকাল রোববার সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও তদূর্ধ্ব সমপদমর্যাদার কমিশন্ড কর্মকর্তাদের বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা আরও ৬০ দিন বাড়িয়েছে সরকার। পাশাপাশি দখলদার, আধিপত্য বিস্তারকারী ও চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে নতুন করে চিরুনি অভিযান শুরু করার কথা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। এরপরও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কেন স্বাভাবিক হচ্ছে না তা নিয়ে রয়েছে নানা প্রশ্ন। অনেকেই মনে করছেন, পুলিশ শক্ত হাতে দমন করতে ব্যর্থ হচ্ছে। তাদের ঢিলেঢালা মনোভাবের কারণে অপরাধীরা বেপরায়া হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। রাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় না থাকলেও অন্তর্বর্তী সরকার আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে সফল হলেও কয়েকটি ঘটনায় তা অনেকটা ম্লান হয়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে।

মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি (এইচআরএসএস) এক পরিসংখ্যানে জানিয়েছে, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে (জানুয়ারি থেকে জুন) পর্যন্ত গণপিটুনির ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৬৭ জন। একই সময়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৪৭৬ জন নারী ও কন্যাশিশু। সংস্থাটির তথ্যমতে, এসময় গণপিটুনীর ঘটনা ঘটেছে অন্তত ১৪১ টি। এতে আহত হয়েছেন ১১৯ জন। একটি মানবাধিকার সংস্থার পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে বিএনপি ও তার সহযোগী এবং অঙ্গ সংগঠনগুলোর অভ্যন্তরীণ সংঘাতে অন্তত ৪৩ জন নিহত হয়েছেন। পুরনো ঢাকার মিটফোর্ড এলাকায় গত ৯ জুলাই ব্যবসায়ী লাল চাঁদ সোহাগকে প্রকাশ্যে হত্যা করা হয়। নিহত সোহাগ যুবদলের সাবেক কর্মী বলে স্থানীয়রা জানায়। চাঁদা না পেয়ে তাকে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। সোহাগকে পাথর দিয়ে থেতলে দেয়ার নৃশংস ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর এই বিষয়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। গত ৯ জুলাই সোহাগকে হত্যা করা হলেও শনিবার ওই হত্যাকান্ডের ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর সংবাদমাধ্যমগুলোতে খবর প্রকাশিত হয়। এরপর ঘটনার বিষয়ে তৎপর হয় পুলিশ। সোহাগ হত্যার ঘটনায় এরইমধ্যে কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক জলবায়ু বিষয়ক সহসম্পাদক রজ্জব আলী ওরফে পিন্টু এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাবাহ করিম ওরফে লাকি, ছাত্রদলের সদস্যসচিব অপু দাস এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের কালু ওরফে স্বেচ্ছাসেবক কালুসহ পাঁচজনকে সংগঠন থেকে বহিস্কার করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনগুলো। তারা সবাই ওই হত্যা মামলার আসামী, তবে পলাতক। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট ৯ জনকে একটি অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন, মাহমুদুল হাসান মহিন, তারেক রহমান রবিন, আলমগীর হোসেন, মনির ওরফে ছোট মনির ও মো. টিটন গাজী। এই ঘটনায় মোট ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বাকিরা পলাতক। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে দুইজনকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। আর একজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আইনশৃঙ্খলার বর্তমান পরিস্তিতি নিয়ে সেনা সদর গত ৩ জুলাই এক ব্রিফিংয়ে জানিয়েছে, চিহ্নিত সন্ত্রাসী গ্রেফতার ও অস্ত্র গোলাবারুদ উদ্ধার অভিযানে দুই সপ্তাহে সেনাবাহিনী ২৬টি অবৈধ অস্ত্র ও ১০০ রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার করে। গত আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত মোট ৯ হাজার ৬৯২টি অবৈধ অস্ত্র ও ২ লাখ ৮৬ হাজার ৮৫৪টি গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে ১৫ হাজার ৬৪৬ জনকে। এর মধ্যে কিশোর গ্যাং, তালিকাভুক্ত অপরাধী, ডাকাতসহ অন্যান্য অপরাধী রয়েছে। এ পর্যন্ত মাদকসংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ৫ হাজার ৫২১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া ৫ আগস্ট ও পরবর্তী সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছ থেকে লুট হওয়া ৮০ শতাংশ অস্ত্র ও গুলী উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। বাকি যে ২০ শতাংশ অস্ত্র ও গুলি রয়েছে, সেগুলো নির্বাচনের আগে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

সোহাগ হত্যার আরও দুজন গ্রেফতার: গতকাল রোববার পুলিশ জানিয়েছে, রাজধানীর পুরান ঢাকার মিটফোর্ড এলাকায় ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ হত্যার ঘটনায় আরও দুজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (অ্যাডমিন ও ক্রাইম) নাসিরুল ইসলাম বলেন, দুজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ডিবির একটি সূত্র জানা, নেত্রকোনায় অভিযান চালিয়ে এই দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হলেন- সজীব বেপারী ও রাজীব ব্যাপারী। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত হত্যার ঘটনায় মোট ৯ জনকে গ্রেফতার করা হলো। দৈনিক সংগ্রামের নেত্রকোনা সংবাদদাতা জানান, গতকাল ভোরে জেলার দুর্গাপুরের চায়না মোড় এলাকা থেকে ঢাকা ডিবি পুলিশ নেত্রকোনা পুলিশের সহায়তায় লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ হত্যা মামলার আসামি দুই ভাইকে গ্রেফতার করেছে। নেত্রকোনা পুলিশ সুপার মির্জা সায়েম মাহমুদ জানান, ঢাকার গোয়েন্দা পুলিশ নেত্রকোনা পুলিশের সহায়তায় দুর্গাপুরের চায়নার মোড় এলাকায় শনিবার রাত সাড়ে চারটার দিকে অভিযান চালিয়ে ভোরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সজীব ব্যাপারী ও রাজীব ব্যাপারী বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার টুনারচর এলাকার মৃত ইউনুস ব্যাপারীর ছেলে। সোহাগ হত্যা মামলায় রাজিব ১০ নম্বর ও সজীব ৭ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি।

এদিকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নানামুখী ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবেই একটা গোষ্ঠী ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে নৃশংসভাবে খুনের ঘটনা বেছে নিয়েছে একটি গোষ্ঠী বলে মনে করছেন বিএনপি নেতারা। তাদের মতে, এই ষড়যন্ত্রকারীদের মূল টার্গেট বিএনপি। পরিকল্পিতভাবে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য চক্রটি এই হত্যাকাণ্ডকে রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি বাস্তবায়নে ব্যবহার করছে কিনা-তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। রাজনীতিবিদ ও বিশ্লেষকরা মনে করছেন, জাতীয় রাজনীতি ও বিএনপির বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। অথচ রাজনৈতিক দল হিসাবে বিএনপি এ হত্যাকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ ও জড়িতদের দৃষ্টামূলক শাস্তি দাবি করছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলার আলোকে আজীবন বহিষ্কারের মতো সর্বোচ্চ সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। একই সঙ্গে বর্তমান সরকারের কাছে হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিও জানিয়েছে। বিএনপি মনে করে, অপরাধী যেই হোক সে আইনের দৃষ্টিতে অপরাধী। কোনো অপরাধীর দলীয় পরিচয় নেই। তার দলীয় পরিচয় অপ্রয়োজনীয় এবং তার অপরাধের সঙ্গে দলের কোনো সম্পর্ক নেই। হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দ্রুত কার্যকরের বিষয়ে দলীয় অবস্থান সুদৃঢ় এবং অপরিবর্তিত। যেখানে পুলিশ বলছে এ হত্যাকাণ্ড ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বের কারণে, এর সঙ্গে চাঁদাবাজির কোনো সম্পর্ক নেই। সেখানে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে একটি মহল বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।

পুলিশ বলছে, ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বে মিটফোর্ডে সোহাগ হত্যাকান্ডটি ঘটেছে। ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিক সম্মেলনে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) জসীম উদ্দিন বলেন, সোহাগ হত্যাকাণ্ডের প্রাথমিক তদন্তে ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ব্যবসায়ী লাল চাঁদ সোহাগ হত্যাকাণ্ডের পেছনে চাঁদাবাজির কোনো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি, বরং ভাঙারি ব্যবসা এবং একটি দোকানে কারা ব্যবসা করবে তা নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিল। হত্যাকাণ্ডের শিকার সোহাগ এবং হত্যাকাণ্ড যারা ঘটিয়েছে তাদের একসঙ্গে ব্যবসাও ছিল। জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না বলেন, যারা প্রাণঘাতী আঘাতগুলো করেছে তারা অদ্যাবধি গ্রেফতারও হয়নি। এর কারণ বোধগম্য নয়। গণমাধ্যম সূত্রে জানতে পেরেছি, মামলার এজাহারে খুনের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত তিনজন খুনিকে পুলিশ কৌশলে বাদ দিয়ে নিরপরাধ তিনজনকে আসামি করেছে। ঘটনার পর ৬০ ঘণ্টার বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও, খুনিদের খুনের প্রমাণাদি হাতে থাকা সত্ত্বেও অদ্যাবধি কেন মূল আসামিদের গ্রেফতার করা গেল না, এটা এক বিরাট প্রশ্ন ও রহস্য।

চিরুনি অভিযান : চিহ্নিত অপরাধী ও সন্ত্রাসীদের ধরতে যেকোনো সময় বিশেষ বা চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেছেন, রাজধানীর মিটফোর্ডে হত্যাকাণ্ডের বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে নেওয়ার পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে খুলনার হত্যাকাণ্ডে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কোনো অপরাধীকেই পুলিশ প্রশ্রয় দেবে না। গতকাল রোববার দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির ১১তম সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, খুন, চুরি, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, সন্ত্রাস, অপহরণ, নারী নির্যাতন, মব সহিংসতা, মাদক চোরাচালানসহ সব ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকার যেকোনো সময় চিহ্নিত অপরাধী ও সন্ত্রাসীদের ধরতে বিশেষ বা চিরুনি অভিযান পরিচালনা করতে পারে। এ ক্ষেত্রে সাধারণ জনগণসহ সবার সহযোগিতা একান্তভাবে কাম্য। সরকার জনশৃঙ্খলা ও জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী যেকোনো কার্যক্রম কঠোর হস্তে দমন করবে বলে জানান তিনি।