ইয়াবার চালান ধরতে গিয়ে মাদক কারবারির গুলীতে আহত হয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) দুই সদস্য। সম্প্রতি রাজধানীর পল্টন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গুলীবিদ্ধ দুই পুলিশ সদস্যের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বিশ্লেষকদের মতে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছুটা শিথিলতার সুযোগে বিভিন্ন সীমান্ত থেকে দেশে ঢুকছে ইয়াবাসহ মাদকের বড় বড় চালান। সম্প্রতি সীমান্তে বিএসএফের পুশ ইন নিয়ে বর্ডারগার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ব্যস্ত থাকায় মাদক কারবারীরা সুযোগ নিচ্ছে। পুলিশ বলছে, মাদক নিয়ন্ত্রনে সংশ্লিষ্ট অধিদফতরের পাশাপাশি আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার ইউনিটগুলোর নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকলেও বেপরোয়া মাদক কারবারীরা।

এদিকে মাদকের কারবার নিয়ন্ত্রনে অপরাধীরা ব্যবহার করছে অবৈধ অস্ত্র। অনেকের কাছে রয়েছে ভারি অস্ত্র। মাদকের কারবারে অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করায় ঘটছে হতাহতের ঘটনা। মাদকের ডেরায় অভিযানে গেলে সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মকর্তারাও নিজেদেরকে অনেক সময় অসহায় মনে করেন। এরফলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সাথে নিয়ে তারা অভিযানে যান। তাই মাদক কারবারিদের হাতে ভারি অস্ত্র থাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও সে ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে অভিযানে যেতে হয়। তবে পুলিশের কাছ থেকে মারনাস্ত্র তুলে নিলে এ ধরণের অভিযান তারা কিভাবে পরিচালনা করবে তা নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হচ্ছে। সারা দেশে মাদক বেচাকেনা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বিভিন্ন সামাজিক অপরাধ। মাদক ব্যবসায়ীরা এতই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে যে তাদের বিরুদ্ধে অভিযানে নামা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর ওপর চড়াও হতেও পিছপা হচ্ছে না। মাদকের টাকা জোগাড়ে মাদকাসক্তরা বিভিন্ন অপরাধমূলক ঘটনায় জড়িয়ে পড়ছে। এমনকি আপনজনকে খুন করতেও দ্বিধা করছে না। মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থার (মানস) তথ্য মতে, দেশে বর্তমানে মাদকসেবীর সংখ্যা বেড়ে এখন দেড় কোটির কাছাকাছি। সংস্থাটির হিসেবে গত কয়েক মাসে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর শিথিলতার কারণে ২০ লাখের মতো মাদকসেবী বেড়েছে।

এদিকে মাদকাসক্তদের সঠিক পরিসংখ্যান না থাকলেও মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, দেশে এক কোটির বেশি মাদকাসক্ত রয়েছে। এর মধ্যে ইয়াবায় আসক্তি ৪০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। দেশে মাদক পরিস্থিতি নিয়ে এর আগে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে মাদকাসক্তদের মধ্যে ৮৪ শতাংশ পুরুষ ও ১৬ শতাংশ নারী। বেসরকারি আহসান উল্লাহ নারী মাদক নিরাময় কেন্দ্রের তথ্য বলছে, তাদের মাদক নিরাময় কেন্দ্রে এখনো অর্ধশতাধিক নারী মাদকাসক্ত আছে। বিজিবির তথ্য বলছে, গত বছর তাদের অভিযানে সীমান্ত থেকে ১২ লাখ ৬১ হাজার ৪৬৭ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ১২ কেজি ৯১৩ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস, সাত কেজি ৩৫ গ্রাম হেরোইন, ১৫ হাজার ৭৩৭ বোতল ফেনসিডিলসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়।

সূত্র জানায়, মাদকসেবীর বেশির ভাগই তরুণ এবং তারা স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। একসময় ছাত্ররা মাদক সেবনের সঙ্গে জড়িত থাকলেও বর্তমানে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরাও মাদক ব্যবহার করছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর তল্লাশি ও নজরদারিতে শিথিলতা তৈরি হওয়ায় বিভিন্ন কৌশলে দেশে মাদকের চালান আনছে মাদক কারবারিরা। অ্যাম্বুল্যান্স এবং সবজিসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্য পরিবহনের গাড়িতে করে ইয়াবা, ফেনসিডিল ও হেরোইন নিয়ে আসছে কারবারিরা। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও টেকনাফের ইয়াবা কারবারিরা ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় ইয়াবার চালান পাঠাচ্ছে। এসব মাদক নানা কৌশলে ঢুকে পড়ছে পাড়া-মহাল্লায়।

পল্টনে মাদক কারবারীদের গুলীতে দুই পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার আগেও রাজধানীতে এ ধরণের ঘটনা আরও ঘটেছে। কিছুদিন আগে অভিযানে যাওয়া পুলিশের ওপর মাদক ব্যবসায়ীদের হামলার ঘটনা ঘটে। আদালতের নির্দেশ পেয়ে পরোয়ানোভুক্ত আসামি ধরতে মিরপুর ১১ নম্বরের খিচুড়িপট্টি বস্তিতে বাপ্পী নামের এক মাদক অপরাধীকে ধরত যায় পুলিশ। এ সময় একদল মাদক ব্যবসায়ী পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এক পর্যায়ে বাশার নামের এক কনস্টেবলকে মারধর করে হাতকড়াসহ ওই আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় মাদক ব্যবসায়ীরা। গত ৭ এপ্রিল রাজধানীর পল্লবী থানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রাজধানীর কারওয়ান বাজার এলাকায় গত ২৭ ফেব্রুয়ারি পুলিশের এক সদস্যকে মারধর করে মাদক বিক্রেতারা। এক পর্যায়ে তারা পুলিশকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাদের সহযোগীদের ছিনিয়ে নেয়। পুলিশের ওপর হামলার বিষয়ে তেজগাঁও থানা পুলিশ জানায়, মাদক বিক্রেতাদের ধরতে আমাদের তিনজন পুলিশ সদস্য সেখানে গিয়েছিলেন। এ সময় অস্ত্রধারী এক মাদক ব্যবসায়ীকে ধরার পর তার সহযোগী অন্যরা পুলিশকে ঘিরে ধরে। এরআগে রাজধানীর পল্লবীতে নাজমুল হাসান পাপ্পু ও দোলনা আক্তার দোলা নামের দম্পতি নিজ বাসায় খুন হয়। পল্লবী থানা পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় করা হত্যা মামলায় গাউস মিয়া নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি মাদকাসক্ত বলে তদন্তে জানা গেছে। গত মে মাসে রাজধানীর দক্ষিণখানের শাহ কবীর মাজার রোডের রাস্তায় প্রকাশ্যে স্ত্রী শিল্পী বেগমকে কেটে গলা কেটে হত্যা করেন স্বামী মো. তুহিন। তাকে গ্রেপ্তারের পর জানা যায় তিনি মাদক সেবন করেন। দক্ষিণখান থানার ওসি মো. তাইফুর রহমান মির্জা এ তথ্য দেন। অন্যদিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের ফাজরাবাদ এলাকায় মাদকসেবী কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় একই পরিবারের সাতজন জখম হয়। পরে পুলিশ তাদের কয়েকজনকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারে, তারা সেই রাতে সবাই মাদক সেবন করে।

সর্বশেষ গত ১৮ জুন মধ্যরাতে পল্টনে মাদক কারবারীদের গুলীতে আহত হন এএসআই মো.আতিক হাসান ও কনস্টেবল সুজন। তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিন মাদক কারবারিকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। একইসাথে মাদক ব্যবসার কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকারও জব্দ করা হয়েছে। ডিবি লালবাগ বিভাগে সিনিয়র (সহকারী) পুলিশ সুপার এনায়েত কবির শোয়েব জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি চট্টগ্রাম থেকে মাদক নিয়ে ঢাকায় একটি প্রাইভেটকার প্রবেশ করেছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে ডিবির টিম পল্টন থানাধীন কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের বিপরীত পাশে রাস্তার উপর একটি প্রাইভেটকারকে গতিরোধ করার চেষ্টা করি। সিগন্যাল দেয়ার পর প্রাইভেটকার কিছুটা দুরে গিয়ে থামায়। পুলিশ এগিয়ে যেতেই প্রাইভেটকারের ভেতর থেকে মাদক কারবারিরা গুলী চালায়। এতে এএসআই আতিক হাসান পেটের বাম পাশে এবং কনস্টেবল সুজন বাম পায়ে হাঁটুতে গুলীবিদ্ধ হন। গুলীবিদ্ধ দুই পুলিশ সদস্যকে দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্টজেনারেল (অব:) মো.জাহাঙ্গীর আলম। সেখানে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, পুলিশ খুব সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করেছে। গুলীবিদ্ধ হওয়ার পরেও তারা তিনজনকে আটক করেছে ও মাদক উদ্ধার এবং প্রাইভেট কার জব্দ করেছে। গাড়ি থেকে ৯ হাজার ৫শ’টি ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। পুলিশের অস্ত্র ব্যবহার নিয়ে কথা উঠেছে কিন্তু সন্ত্রাসীদের হাতে ভারি অস্ত্র রয়েছে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, এই ঘটনায় ভারি অস্ত্র ব্যবহার হয়নি। পিস্তল ব্যবহার হয়েছে। পুলিশের জীবন রক্ষায় যে অস্ত্র নিয়ে কাজ করছে। এটা যথেষ্ট কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, পুলিশের যে ধরনের অস্ত্র দরকার সেটা দিয়েই কাজ করবে। গত বুধবার বাংলাদেশে পাচারের জন্যই ভারত ফেনসিডিল তৈরি করে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। দুপুরে সচিবালয়ে এক অনুষ্ঠান শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, দেশে মাদক পাচারের উৎসস্থল হলো ভারত ও মিয়ানমার। বাংলাদেশে পাচারের জন্যই ভারত ফেনসিডিল উৎপাদন করে। আর মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে সবচেয়ে বেশি ইয়াবা প্রবেশ করে। তিনি বলেন, দেশে দুটি বিষয় এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।

যাত্রাবাড়ীতে ৪ হাজার ইয়াবাসহ কারবারি গ্রেফতার: যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে চার হাজার পিস ইয়াবাসহ জয়নাল আবেদিন (৩৬) নামে এক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগ। গতকাল শুক্রবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইল কোয়ালিটি টিম্বার অ্যান্ড স-মিল এর সামনের রাস্তায় এক ব্যক্তি বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ অবস্থান করছে- এমন তথ্যের ভিত্তিতে সকাল ৭টার দিকে সেখানে অভিযান পরিচালনা করে ডিবি-গুলশান বিভাগের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও মাদক নিয়ন্ত্রণ টিম। অভিযানে চার হাজার পিস ইয়াবাসহ জয়নাল আবেদিনকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি আরও বলেন, গ্রেফতার জয়নাল আবেদিন একজন পেশাদার মাদক কারবারি। সে দীর্ঘদিন ধরে মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীসহ ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রয় করে আসছেন। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

টেকনাফে ১ লাখ ১০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার: কক্সবাজারের টেকনাফে লেদা ও নোয়াপাড়া সীমান্তবর্তী আদমের জোড়া বেড়িবাঁধ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১ লাখ ১০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। ১৮ জুন টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান এ তথ্য জানান। এর আগে ১৭ জুন গভীর রাতে পৃথক অভিযানে এসব ইয়াবা উদ্ধার করা হয় বলে জানান তিনি। তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আদমের জোড়া ও নোয়াপাড়া বিএসপি সংলগ্ন বেড়িবাঁধ এলাকা দিয়ে মিয়ানমার থেকে ইয়াবার একটি বড় চালান বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে, এমন তথ্যের ভিত্তিতে গভীর রাতে বিজিবি সদস্যরা সতর্ক অবস্থান নেন। একপর্যায়ে দুই ব্যক্তিকে নাফ নদী পেরিয়ে বেড়িবাঁধ অতিক্রম করতে দেখলে বিজিবি সদস্যরা ধাওয়া করে কেওড়া বন ও আশপাশের এলাকা থেকে পাচারকারীদের ফেলে যাওয়া দুইটি বস্তায় এসব ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

নাইক্ষ্যংছড়িতে ৫০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার: নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তবর্তী এলাকায় বিশেষ অভিযানে ৫০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বিজিবি। ৩৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এম খায়রুল আলম পিএসসি জানান, ১১ মে রাত সাড়ে ৯ টার দিকে পরিচালিত এ অভিযানে মাদক চোরাচালানির বড় একটি চালান ধরা পড়ে। তবে অভিযানে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

মালিবাগে ১০ হাজার ইয়াবাসহ কারবারি আটক: গত ৫ মে রাজধানীর মালিবাগ এলাকা থেকে ১০ হাজার পিস ইয়াবাসহ এক মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করে ডিএমপির ডিবি-তেজগাঁও বিভাগ। গ্রেফতারকৃতের নাম- মো. মনির হোসেন (৪০)। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ৪ মে রাত পৌনে ১০ টায় তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় অভিযান চালিয়ে মনিরকে গ্রেফতার করে ডিবির একটি দল। ডিবি-তেজগাঁও বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীতে মাদক উদ্ধারে বিশেষ অভিযান পরিচালনাকালে ডিবির একটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাত পৌনে ১০ টায় তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানাধীন মালিবাগ মোড়ে অভিযান পরিচালনা করে ইয়াবাসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়। এদিকে গত ২০ মার্চ রাজধানী ও আশেপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৪ মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। অভিযানে ১০,৬৩০ পিস ইয়াবা এবং গাঁজা উদ্ধার করা হয়।