# আল্লাহর আইনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় কমিশনকে প্রত্যাখ্যান করছি ----জামায়াত আমীর

# কমিশন বাতিল না করলে সরকার ৫ মিনিটও সময় পাবে না ------ চরমোনই পীর

# নারীর কাঁধে বন্দুক রেখে ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে ------ আল্লামা মাম‍ুনুল হক

জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ আয়োজিত সেমিনারে বক্তারা বলেছেন, নারী সংস্কার কমিশনের রিপোর্টে আল্লাহর আইনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া হয়েছে। এই কমিশনের বেশ কিছু সুপারিশ এমন, যা পশ্চিমা মতবাদ দ্বারা অনুপ্রাণিত এবং বাংলাদেশের সামাজিক বাস্তবতা, নারী সমাজের প্রকৃত চাহিদা ও জীবন সংগ্রামের সম্পূর্ণ বিপরীত। নারীপাচার, যৌন নিপীড়ন ও দারিদ্র্যজনিত কারণে যারা পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য হচ্ছেন, তাদের পুনর্বাসন ও সমাজে স্বাভাবিক জীবন নিশ্চিত করার কথা থাকলেও কমিশন বরং এই ব্যাধিকে পেশা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে নারীর জন্য অভিশপ্ত জীবনকে আইনি বৈধতা দেওয়ার অপচেষ্টা করেছে।

গতকাল বুধবার রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ‘নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের ইসলামফোবিয়া: করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে এই দাবি জানানো হয়।

সেমিনারে অংশ নিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর বলেন, গঠিত নারী কমিশন এই জাতির চিন্তা চেতনা তাহজীব তামাদ্দুন বিশেষ করে আল্লাহ তায়ালার আইনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার কারণে তারা প্রত্যাখ্যাত বলে ঘোষণা করছি। এদের রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করার কোন ব্যাপার নাই, এদের প্রত্যাখান করতে হবে। এরা প্রত্যাখ্যাত হলে রিপোর্ট শেষ। দুই নম্বর আমাদের ভাবতে হবে যে আমাদের জোর করে কোন দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে।

তিনি স্মৃতিচারণ করে বলেন আমাদের শিশুকালে দেখেছি, আমাদের শিক্ষা দান শুরু হতো মক্তবের পাঠ দিয়ে। সকালে মক্তবে যেতাম সেখান থেকে ফিরলে মা কাপড়চোপড় পরিয়ে স্কুলে পাঠিয়ে দিতেন। এখন খুবই পরিকল্পিতভাবে মক্তবের এই ধারাকে শেষ করে দেওয়া হয়েছে। বাচ্চা ঘুমিয়ে রয়েছে, তাকে কাঁধে ফেলে মা স্কুলে রওয়ানা হয়েছেন। মক্তবে যাওয়ার সময়; এটাই কেড়ে নেওয়া হয়েছে। পড় তোমার প্রভুর নামে দিয়ে যে শিক্ষাটা শুরু হওয়ার কথা সেই জায়গাটা অন্য কিছু দিয়ে শুরু করছে। সেই প্রজন্মেরই কিছু লোক হয়তো আজকে গোটা নারী সমাজের প্রতিনিধিত্বের কথা বলে সমাজকে বিভ্রান্ত করছে। তারা কারা? কুরআনের সংস্কারের দাবি নিয়ে আমাদের সামনে এসেছেন !

তিনি প্রশ্ন রাখেন আমাদের কোন অধিকার আছে তাদের অধিকার দেওয়ার ? আমরা কে ? এই কুরআন আল্লাহ তায়ালা নাজিল করেছেন এবং এটা হেফাজত করার দায়িত্ব তিনি নিজেই নিয়েছেন। কেয়ামত পর্যন্ত কেউ এর পরিবর্তন আনতে পারবে না। এরা এই দুঃসাহস কিভাবে দেখালো যে বাংলাদেশে কুরআনের আয়াত তারা পরিবর্তন করে ফেলবে ? হ্যাঁ নিশ্চয় কোন বড় শক্তি তলে তলে তাদের উস্কানি দিচ্ছে। কেন এই মুহূর্তে এই উস্কানি কেন ? এই সরকারেরতো এটা এজেন্ডা হওয়ার কথা না। আরো বহু গুরুত্বপূর্ণ কাজ তাদের রয়ে গেছে। সেইগুলোর কূল কিনারা নাই। হঠাৎ এটা সামনে এলো কেন? কারণ বাংলাদেশে ৫৪ বছর ধরে মানুষ যা আশা করেছিল তারা পেয়েছে তার উল্টাটা। এই সমাজকে কুরে কুরে ধ্বংস করা হয়েছে। এখন এদেশের দ্বীনদার ঈমানদার যেসব মানুষ জেগে উঠেছে তাদের নিয়ে মানুষ স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে। এই জায়গায় ইসলামী শক্তি মুখোমুখি আরেকটি শক্তিকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেওয়া হচ্ছে জনগণের দৃষ্টিকে ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করার জন্য। তিনি বলেন অতীতে সকল চক্রান্ত মুসলমানরা ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলা করেছে। ইনশা আল্লাহ এটাও টিকবে না। ভেসে যাবে। এরা শুধু কুরআন বিরোধী প্রস্তাবনা নিয়ে আসেনি। এরা নিজেরা স্ব-বিরোধীও বটে। তারা একদিকে তাদের ভাষায় নারী-পুরুষের সমান অধিকার চায়। আবার বলতেছে সব জায়গায় এতো পারসেন্ট কোটা নির্ধারণ করতে হবে। এটা স্ববিরোধী হয়ে গেল না! যার যার যোগ্যতায় তোমার জায়গায় চলে যাও। কোটাতো দেওয়া হয় পিছিয়ে পরা অংশকে। এরাতো পিছিয়ে পড়া নারী না। এরা আমাদের মা, বোন এবং কন্যা। এরা আমাদের ইজ্জত ও সম্মানের প্রতীক। এরা এগুলো তছনছ করে দিতে চায়। পরিবারে পরিবারে ঝগড়া বাধাতে চায়। এখানে প্রস্তাবনায় মেরিটাল রেপের কথা বলা হয়েছে। তিনি প্রশ্ন রাখেন রেপ তো রেপ-ই। রেপ তো অবিবাহিত নারী পুরুষ মিলিত হয় অবৈধ পন্থায়। বিবাহিত জীবনে রেপের প্রশ্ন এলো কেন? এর মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া লাগিয়ে আমাদের আদালতগুলোকে মামলা দিয়ে পরিপূর্ণ করে রাখা এদের উদ্দেশ্য। সমাজে বিপর্যয়ের জন্য এরা এ প্রস্তাবনাগুলো এনেছে। এজন্য আবারো বলি এ টু জেড এই কমিশনই মানি না। কিসের আবার রিপোর্ট। কমিশন থাকলে না রিপোর্ট।

তিনি বলেন যদি এসংক্রান্ত কোন কমিশনের দরকার হয় তাহলে এদেশের বেশিরভাগ মানুষের চিন্তা চেতনা তাহজীব তামাদ্দুনে বিশ^াসীদের প্রাধান্য দিয়েই কমিশন গঠন করতে হবে। এই কমিশনে সেই রকমের একজন নারীও নাই। এখানেই এটা পক্ষপাতদুষ্ট। তা আমরা মানি না। এজন্য আন্দোলনেও যেতে চাই না। যদি বাধ্য করা হয় তাহলে অবশ্যই আন্দোলন করা হবে।

সেমিনারে দ্বীন এবং সামাজিক কাজ একসাথে করার প্রতিশ্রুতি দেন জামায়াতে ইসলামীর আমীর। বলেন, আমরা বার্তা দিবো যে আমাদের ভাগ ভাগ আর টুকরা টকরা করে আর মাথায় কাঠাল ভেঙে খেতে দিবো না। আমরা সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে বুকটান করে সীনাটাকে শক্ত করে মোকাবেলা করতে পারি। আগামীর বাংলাদেশ হবে কুরআনের বাংলাদেশ। এর উত্থান ঠেকানোর জন্য সুড়সুড়ি দেওয়া হচ্ছে।

ইসলামী আন্দোলনের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ রেজাউল করিম বলেন, নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব বাস্তবায়নে সরকার যদি এগিয়ে যায় তাহলে ৫ মিনিটও সময় পাবে ন। সরকারকে উদ্দেশ্য করে চরমোনাই পীর বলেন, আপনারা নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন করে নারী নীতিকে বাহবা দিচ্ছেন। আপনাদের মনে রাখতে হবে, আপনারা কিন্তু এমনিতেই জনগণের ভোটের সরকার নন। আপনারা জনগণের ভোটের মাধ্যমে দেশ পরিচালনা করছেন না।

তিনি বলেন, আমরা তো সবসময় আপনাদের সহযোগিতায় ছিলাম, এখনো আছি, কিন্তু আমাদের রাস্তায় নামিয়ে আপনাদের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে ওই ফ্যাসিস্ট এবং ঘাপটি মারা শত্রুরা যেন সুযোগ না নিতে পারে। এটা আপনাদের মাথায় রাখার অনুরোধ করেছি। এরপরও যদি আপনারা সামনে পা বাড়াতে চান, পরিষ্কার মেসেজ, কে জানি বলছে না যে ৫ মিনিটে আপনারা আপনাদের অবস্থান থেকে সরে জান। সেই ৫ মিনিটও সময় পাবেন না।

নারী সংস্কার কমিশনের সুপারিশে আওয়ামী লীগের হাত রয়েছে মন্তব্য করে চরমোনাই পীর বলেন, তারা (আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী) তো ৫ আগস্ট ভাত পাক (রান্না) করেও খেয়ে যেতে পারেনি। ওরা তো বসে নেই। আমাদের বিভিন্ন পাশে চোখ খুলে যারা নজর রাখছে তারাও তো বসে নেই। তিনি বলেন, তারা (আওয়ামী লীগ) হয়তোবা এই সংস্কার, নারী কমিশনের এটার মাধ্যমে একটা অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করবে। এরপর যখন ওলামায়ে কেরাম রাস্তায় নামবে তখন হয়তো এই ঘাপটি মারা, যারা দেশের শত্রু তারা বিভিন্ন জায়গায় অপেক্ষা করছে এই সুযোগে রাস্তায় নামার জন্য। এমন নীলনকশা তৈরি করতে পারে।

এসময় নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের সমালোচনা করেন চরমোনাই পীর। প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, এই যে নারী কমিশন, আমার কাছে আশ্চর্য মনে হচ্ছে। বিগত সময়ে নাস্তিকরা যে চক্রান্ত করেছে আল্লাহর রহমতে কখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। আজ বর্তমানে দেশে অন্তর্র্বতী সরকার, তাদের মাধ্যমে এমন হীন চিন্তা বাস্তবায়ন করবে- কিন্তু তারা তো জানে এটার বাস্তবায়ন সম্ভব নয়, কখনোই এটা (নারী সংস্কার কমিশনের সুপারিশ) বাস্তবায়ন হবে না। তারপরও তারা এই পথ বেছে নিলো কারণটা কী ?

প্রসঙ্গত সম্প্রতি নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন প্রধান উপদেষ্টার কাছে যে সুপারিশ পেশ করেছে সেটাকে ইসলাম বিদ্বেষী ও জনবিচ্ছিন্ন হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন দেশের শীর্ষ আলেম ও রাজনীতিবিদরা। অবিলম্বে এই কমিশন বাতিলের দাবি জানিয়েছেন তারা।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক বলেন, নারী কমিশন ভয়ংকর প্রস্তাব করেছে। তাতে বলা হয়েছে ধর্মই নারীকে ঠকিয়েছে। তারা মূলত পশ্চিমা এজেন্ডা বাস্তাবায়নের মোক্ষম সময় মনে করেছে। নারীদের কাধে বন্দুক রেখে ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। তিনি বলেন নারীদের দিয়ে পতিতাবৃত্তির ষড়যন্ত্র সফল হবে না।

সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মনজুরুল ইসলাম আফেন্দী, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান মঞ্জু, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আব্দুল কাদের, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন রাজী, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমদ; যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান; এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা আশরাফ মাহদি, ইসলামিক ব্যক্তিত্ব, মাওলানা রুহুল আমীন সাদি (সাইমুম সাদী); শায়খুল হাদিস, জামেয়া ইসলামিয়া কুতুবখালি মুফতি সাকিবুল ইসলাম কাসেমি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক আরিফুল ইসলাম অপু, মুফতি আবু মুহাম্মাদ রাহমানি হাফি, বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ ও তর্কবিদ; মুফতী লুতফুর রহমান ফারায়েজি, শরিয়াহ বিষয়ক সম্পাদক; হাফেজ আব্দুল বাসিত আল হাসসানি, খলীফা, পীর জুল্ফিকার নকশবন্দি; হাজী শরিয়তুল্লাহর সপ্তম পুরুষ, মাওলানা হানজালা; আদ-দাওয়া ইলাল্লাহ দাওয়াহ সেন্টারের পরিচালক, শায়খ আবদুল্লাহ বিন আব্দুর রাযযাক হাফি; বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমীর নুরুল ইসলাম বুলবুল, সুলতানুল ওয়ায়েজীন মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী; আইএফএ কনসালটেন্সি লিমিটেডের পরিচালক, মুফতি আব্দুল্লাহ মাসুম প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন মাওলানা নুরুল হুদা ফয়েজি, সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ।

সেমিনারে দেশের শীর্ষস্থানীয় ইসলামি নেতৃবৃন্দ, বুদ্ধিজীবী ও আলেম সমাজ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, সরকার পতিত স্বৈরাচারের জঞ্জাল পরিষ্কারের লক্ষ্যে যে সামগ্রিক সংস্কার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, তা জনসমর্থনপুষ্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ছিল বটে। সংবিধান সংস্কার কমিশনের মতো কিছু কমিশন জনআকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটিয়েছে। কিন্তু নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন যে সুপারিশমালা পেশ করেছে, তা দেশের বিশ্বাস, মূল্যবোধ ও ঐতিহ্যের সম্পূর্ণ পরিপন্থি এবং সরাসরি ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে।

বাংলাদেশের পারিবারিক আইন বহুদিন ধরে ধর্মভিত্তিক। যেমন মুসলিম পারিবারিক আইন, হিন্দু পারিবারিক আইন, খ্রিষ্টান পারিবারিক আইন। এটি শুধু বাংলাদেশের নয়, বরং ভারতের মতো বহু দেশেই প্রচলিত। এই আইনের মাধ্যমে পরিবার গঠিত হয় এবং তা নিয়ে কোনো বড় অসন্তোষও সমাজে নেই। অথচ নারী কমিশন এই ধর্মীয় ভিত্তিকে বাতিল করে নতুন আইনের নামে ধর্মহীন পরিবার কাঠামো চাপিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা করছে। এর মাধ্যমে তারা ধর্মবিশ্বাসী জনগণকে উত্তেজিত করে ভারতের বিজেপির সাম্প্রতিক সামাজিক বিভাজনের কৌশলের অনুকরণ করছে বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়।

সেমিনারে উপস্থাপিত প্রবন্ধে বলা হয়, নারীর জন্য কল্যাণকর প্রস্তাবনার প্রধান বৈশিষ্ট্য হওয়া উচিত, তাদের সম্মান, নিরাপত্তা ও পারিবারিক মর্যাদা নিশ্চিত করা। অথচ কমিশন যে ভাষায় ও যুক্তিতে তাদের প্রস্তাব উপস্থাপন করেছে, তা পশ্চিমা দর্শনেরই বিকৃত প্রতিচ্ছবি। বাংলাদেশের নারীরা এই ধরনের ভাষা ও মতাদর্শের প্রতিনিধিত্ব করে না। বক্তাগণ প্রশ্ন করেন, সরকার যে নারীদের কল্যাণে কমিশন গঠন করেছে, সেখানে কীভাবে সবাই একমুখী, ইসলামবিরোধী এবং পাশ্চাত্য চিন্তায় প্রভাবিত হলো? সেমিনারে সর্বসম্মতিক্রমে নিম্নোক্ত দাবিসমূহ পেশ করা হয়--

বলা হয়--- নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের বিতর্কিত প্রস্তাব অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে; কমিশন সরকারিভাবে বাতিল করতে হবে; নতুন কমিশন গঠনের ক্ষেত্রে দ্বীনদার, শিক্ষিত, দেশীয় চিন্তায় বিশ্বাসী নারীদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে; পরিবার ও নারী বিষয়ে প্রস্তাবের ভিত্তি হতে হবে কুরআন-সুন্নাহ, সংবিধান এবং সামাজিক বাস্তবতা।