প্রবাসীদের ভোটার নিবন্ধনে মেয়াদোত্তীর্ণ পাসপোর্টও গ্রহণযোগ্য হবে। এই পদক্ষেপের ফলে দীর্ঘদিন ধরে যারা মেয়াদোত্তীর্ণ পাসপোর্টের কারণে ভোটার হতে পারছিলেন না, তাদের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি হলো। প্রবাসী বাংলাদেশীদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ও ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির প্রক্রিয়া সহজ করতে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

এখন থেকে প্রবাসীরা মেয়াদোত্তীর্ণ বাংলাদেশী পাসপোর্ট, বিদেশী পাসপোর্ট অথবা সংশ্লিষ্ট দেশে বসবাসকারী তিনজন এনআইডিধারী বাংলাদেশীর প্রত্যয়নপত্রের (নির্ধারিত ফরমে) মাধ্যমে ভোটার নিবন্ধনের আবেদন করতে পারবেন। গতকাল বুধবার নির্বাচন কমিশনের এনআইডি উইং-এর পরিচালক (নিবন্ধন ও প্রবাসী) খান আবি শাহানুর খান স্বাক্ষরিত একটি পরিপত্র পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের কাছে পাঠানো হয়।

এতে ‘প্রবাসী বাংলাদেশীদের ভোটার নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র প্রণয়ন’ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় দলিলাদির তালিকা ও প্রক্রিয়া বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হয়।

পরিপত্র অনুযায়ী, আবেদনকারীদের অনলাইনে পূরণকৃত আবেদন ফরম-২(ক), বিশেষ এলাকার ভোটারদের জন্য ‘বিশেষ তথ্য ফরম’ (সি ক্যাটাগরি প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), মেয়াদোত্তীর্ণ বা সচল বাংলাদেশী পাসপোর্টের কপি, বিদেশী পাসপোর্টের কপি অথবা তিনজন প্রবাসী এনআইডি-ধারীর প্রত্যয়নপত্র, অনলাইন ভেরিফায়েড জন্ম নিবন্ধন সনদের কপি, ১ কপি রঙিন পাসপোর্ট সাইজের ছবি, পিতা-মাতার এনআইডি/জন্ম/মৃত্যু সনদ/ওয়ারিশ/নাগরিক সনদ/পাসপোর্ট কপি, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে শিক্ষা সনদ (এসএসসি/সমমান), ড্রাইভিং লাইসেন্স বা টিআইএন নম্বর, নিকাহনামা ও স্বামী/স্ত্রীর এনআইডি, নাগরিকত্ব সনদ এবং ঠিকানা সম্বলিত ইউটিলিটি বিল/হোল্ডিং ট্যাক্স রশিদ ইত্যাদি প্রয়োজন হবে।

গুরুত্বপূর্ণ দলিলাদি অবশ্যই নিবন্ধন কেন্দ্রে জমা দিতে হবে। তবে প্রয়োজনে আবেদনকারীর প্রতিনিধির মাধ্যমে বাংলাদেশে সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসারের কাছে দলিলাদি জমা দেয়া যাবে। পাশাপাশি আবেদন ফরমে প্রদত্ত তথ্যের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট এলাকার নির্বাচন অফিসারের সরেজমিন তদন্ত প্রতিবেদন প্রদানও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের এই পদক্ষেপের ফলে দীর্ঘদিন ধরে যারা মেয়াদোত্তীর্ণ পাসপোর্টের কারণে ভোটার হতে পারছিলেন না, তাদের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি হলো। এতে প্রবাসী বাংলাদেশীদের ভোটাধিকার নিশ্চিতের পথে বড় অগ্রগতি হলো বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।