অ্যাসোসিয়েশন ওফ ট্রাভেল এজেন্ট ওফ বাংলাদেশ এ (আটাব) প্রশাসক নিয়োগের প্রতিবাদে আটাব কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ এবং অবস্থান কর্মসূচী পালন করেন আটাবের সাধারণ সদস্যরা। তারা আটাবে প্রশাসক নিয়োগের বিষয়ে বিক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং প্রশাসক নিয়োগ প্রত্যাহারের দাবী জানিয়ে আটাব কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করেন। গতকাল রোববার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টন এলাকায় আটাব অফিসের সামনে তারা এই কর্মসূচি পালন করেন।

আটাবের সাধারণ সদস্যরা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, অন্যায়ভাবে, অবিচার করে ও প্রভাবিত হয়ে এই প্রশাসক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। কোন সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য প্রমাণ ছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য সংগঠন অনুবিভাগের মহাপরিচালকের এহেন কর্মকান্ড প্রশ্নবিদ্ধ। প্রমাণ ছাড়া এভাবে প্রশাসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ অন্যায়। আটাবে প্রশাসক নিয়োগের আদেশ বাতিলের দাবি উত্থাপন করেন সদস্যরা। তারা বলেন, বাংলাদেশে কোনো এসোসিয়েশনে প্রশাসক নিয়োগে ইতিবাচক ফল পাওয়া যায়নি, বরং এতে সংগঠনের কার্যক্রম ব্যাহত হয়। প্রশাসক প্রত্যাহার করে নিতে পুনরায় জোরালো দাবী জানান এবং নির্বাচিত কমিটির অধীনেই আটাবের কার্যক্রম পরিচালনা ও দায়িত্ব সম্পন্ন করবে মর্মে বক্তারা প্রসাশক নিয়োগের প্রত্যাহার করতে বলেন অন্যথায় কঠিন আন্দোলন করবে বলে জানান।

যাত্রীর নাম ও পাসপোর্ট ছাড়াই এয়ার টিকেট ব্লক করে অতিরিক্ত দামে এয়ার টিকেট বিক্রির যে অনিয়ম চলছে, তার পেছনে সক্রিয় সিন্ডিকেটের মূল হোতাদের দ্রুত গ্রেফতার এবং সংশ্লিষ্ট এজেন্সিগুলোর লাইসেন্স বাতিল এর দাবী জানান। টিকেটের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে, সাধারণ যাত্রীরা টিকেট পাচ্ছেন না, অথচ হাতে গোনা কিছু এজেন্সি টিকেট মজুত করে সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে। ৩০ হাজার টাকার টিকেট এর মূল্য ৮০ হাজার টাকা হয়েছে এবং সরকার যদি এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তবে টিকেট মূল্য ১ লক্ষ টাকা অতিক্রম করবে এবং আকাশ পথে যাত্রা স্বল্প আয়ের যাত্রী ও দরিদ্র বৈদেশিক শ্রমিকদের নাগালের বাইরে চলে যাবে এবং তারা ক্ষতিগস্ত হবে। টিকেট মজুতকরণ বন্ধ করে আসন সংকট নিরসন করাটাও অতীব জরুরী। এই সিন্ডিকেট বন্ধকরণে জোরালো পদক্ষেপ নিতে আটাব সদস্যরা মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার কাছে দাবী জানান।

১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত পরিপত্রের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে সরকারের কাছে দাবি জানান। সদস্যরা অভিযোগ করেন যে, অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি (ওটিএ) পরিচালনার জন্য কোনো সুনির্দিষ্ট নীতিমালা না থাকায় ওটিএগুলো সাধারণ যাত্রী ও ট্রাভেল এজেন্সির শত কোটি টাকা আত্মসাৎ করে উধাও হয়ে যাচ্ছে। তারা প্রধান উপদেষ্টার কাছে অনুরোধ জানান, দ্রুত কার্যকর ওটিএ নীতিমালা প্রণয়ন করতে।

বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের দোসর ও টিকেট সিন্ডিকেটের সঙ্গে অন্যতম মাস্টারমাইন্ড জুম্মন চৌধুরী ও সবুজ মুন্সীর বিরুদ্ধে গ্রেফতার ও লাইসেন্স বাতিলের জোরালো দাবি জানান আটাব সদস্যরা।

কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন প্রধান সমন্বয়ক শাহ আলম কবির, সমন্বয়ক শরীফুল আলম দিপু, এ কে এম বারী, মইনুল ইসলাম, মোশাররফ হোসেন, ইমাম হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম, সুমন, জহিরুল ইসলাম, নাজমুল ইসলাম রুমি, টিটু, জনি ও আটাবের সাধারণ সদস্যবৃন্দ।