রাজধানীতে প্রকাশ্য দিবালোকে ওসমান হাদীকে গুলী করার পর তার হত্যাকারীরা কীভাবে পালিয়ে গেলো এই প্রশ্ন তুলেছেন শরিফ ওসমান হাদীর ভাই ড. মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক। গতকাল শনিবার জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদীর নামাজে জানাযার আগে দেওয়া বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। আবু বকর সিদ্দিক বলেন, সাত থেকে আটদিন পেরিয়ে গেলেও হত্যাকারীদের ধরা সম্ভব হলো না কেন ? ওসমান হাদীর হত্যাকারীদের বিচার যেন দ্রুত নিশ্চিত করা হয় সেই দাবিও জানান তিনি।

ড. আবু বকর প্রশ্ন রেখে বলেন, যদি বর্ডার ক্রস হয়ে যায়, ৫ থেকে ৭ ঘণ্টার মধ্যে তারা কেমন করে গেলো ? এই প্রশ্ন জাতির কাছে রেখে গেলাম। আমার কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই। আমার ভাই শহীদ হয়েছে, তার শহীদি তামান্না ছিল। হয়তো আল্লাহ তার শহীদি মৃত্যু নসিব করেছেন।

ড. মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক বলেন, আপনাদের কাছে আমি এই ঋণ কখনো ছাড়বো না, আমার ভাই শরীফ ওসমান হাদীর হত্যার বিচার যেন প্রকাশ্যে এই বাংলার জমিনে দেখতে পারি। ৭/৮দিন হয়ে গেলো, এখনও পর্যন্ত আমরা কিচ্ছু করতে পারলাম না। এই দুঃখে কলিজা ছিড়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, আমার কলিজার টুকরা ছোট ভাই শহীদ শরিফ উসমান হাদী স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য একটি মেসেজ দিয়েছিলেন। কীভাবে এটি রক্ষা করতে হয়।

তিনি বলেন, ওসমান হাদীর সন্তানের এখন ৮ মাস বয়স। সন্তান হওয়ার পর সে আমাকে বলে, ভাই আমার সন্তানের জন্য একটা নাম নির্বাচন করেনÑযেই নামের মধ্যে বিপ্লবী চেতনা থাকবে, যে নাম সাহসিকতার পরিচয় বহন করবে। ওর সন্তানের নাম দিয়েছেলাম ফিরনাস অর্থাৎ বিপ্লবী ও সাহসী।

আবু বকর সিদ্দিক বলেন, আজ ওর সন্তানের দিকে তাকানো যায় না। আমার মা প্রায় পাগল হয়ে যাচ্ছে। জ্ঞান হারিয়ে ফেলছে। আমাদের ছয় ভাই বোনের মধ্যে সবচেয়ে ছোট ছিল শরীফ ওসমান হাদী। আজকে তার লাশ আমার কাঁধে বহন করতে হচ্ছে।