স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করার দাবিতে যমুনা অভিমুখে যাওয়ার সময় পুলিশি বাধায় সড়ক অবরোধ করে বসে পড়েন আন্দোলনরত শিক্ষকরা। পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তাদেরকে আটকে দেয়। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে ‘নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঐক্য পরিষদ’ নামক সংগঠনের ব্যানারে শিক্ষকরা যমুনা অভিমুখে যাত্রা শুরু করলে এ ঘটনা ঘটে।

সরেজমিনে দেখা যায়, যমুনা অভিমুখে যাওয়ার সময় কদম ফোয়ারার সামনে শিক্ষকদের আটকে দেয় পুলিশ। এতে করে পল্টন থেকে প্রেসক্লাবমুখী সড়কের যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় এমপিওভুক্ত করার দাবিতে শিক্ষকরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। স্লোগানগুলো হলো— এক দফ এক দাবি, এমপিওভুক্ত করতে হবে, এমপিওভুক্ত না করলে, ঘরে ফিরে যাব না।

আন্দোলনরত শিক্ষকরা জানান, দীর্ঘদিন আগে স্বীকৃতি পেলেও তাদের প্রতিষ্ঠানগুলো এমপিওভুক্ত হয়নি। ফলে শিক্ষক-কর্মচারীরা সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত থেকে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা সড়ক থেকে সরবেন না। এছাড়া, আলোচনার জন্য শিক্ষকদের ৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সচিবালয়ে গেছেন। সম্মিলিত নন-এমপিও ঐক্য পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক অধ্যক্ষ সেলিম মিয়া বলেন, ফ্যাসিবাদের কিছু দোসর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে কাজ করে যাচ্ছে। এই দোসরদের চিহ্নিত ও প্রত্যাহার করে অবিলম্বে আমাদের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে।

এরআগে এমপিওভুক্তসহ পাঁছ দফা দাবিতে দুপুর ২টার দিকে প্রেস ক্লাবের সামনে রাস্তায় বসে পড়েন প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। যমুনা অভিমুখে লং মার্চ শুরু করতে চাইলে পুলিশ কদম ফোয়ারার কাছে ব্যারিকেড দেয়। এর প্রতিবাদে শিক্ষকরা রাস্তায় বসে প্রায় ৪০ মিনিট সড়ক অবরোধ করে রাখেন। পরে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে, এতে কয়েকজন শিক্ষক আহত হন। এরপর তারা পুনরায় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নেন।