দেশ ছেড়ে বিগত বছর ৫ আগস্ট পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেয় শেখ হাসিনার আমলের ব্যাংক ঋণ, হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার, ব্যাংক খাতে সীমাহীন দুর্নীতি, রিজার্ভে ধস, উচ্চ মূল্যস্ফীতি, মেগা প্রকল্পগুলোতে মেগা দুর্নীতি আর ঋণের বোঝা ঘাড়ে চাপে অন্তর্বর্তী সরকারের। আর্থিক খাতের নানা সংস্কার ও পদক্ষেপে এক বছরে খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশের অর্থনীতি।

সবশেষ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত শুল্ক ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশে নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বর্তমান সরকার। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর ড.মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের দেশের অর্থনীতিতে স্বস্তি ফেরাতে বেশ সময় লাগে।

জানা গেছে, এক বছরের ব্যবধানে ব্যাংক খাতে আস্থা ফেরায় রিজার্ভ পুনরুদ্ধার সম্ভব হয়েছে। মূল্যস্ফীতি কমিয়ে ৮ দশমিক ৫৫ শতাংশে আনা হয়েছে। প্রবাসী আয়েও রেকর্ড ছাড়িয়েছে। রাজস্ব আহরণে গতি ফেরাতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনআির) দুইভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ৭ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে বাজেট ঘোষণা করে বর্তমান সরকার। বার্ষিক উন্নয়ন বাজেটে (এডিপি) অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প কাটছাঁট এবং ব্যয় সংকোচনে প্রাধান্য দিয়েছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। যার পদক্ষেপ হিসেবে সংশোধিত উন্নয়ন বাজেটে ৪৯ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে ২ লাখ ১৬ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়।

সূত্র জানায়, গেল জুলাইয়ে বাংলাদেশের পারচেজিং ম্যানেজারস ইনডেক্স (পিএমআই) স্কোর দাঁড়িয়েছে ৬১.৫, যা দেশের অর্থনীতিতে গতি ফেরারই বার্তা দিচ্ছে। আগের মাসের তুলনায় এই স্কোর বেশি ৮.৪ পয়েন্ট।

ব্যবসায়ী সংগঠন মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) ও বেসরকারি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান পলিসি এক্সচেঞ্জ যৌথভাবে পিএমআই সূচক প্রকাশ করেছে। কৃষি, নির্মাণ, উৎপাদন ও পরিষেবা এই চার খাতের প্রতিষ্ঠানের নির্বাহীদের মতামতের ভিত্তিতে পিএমআই সূচক প্রকাশ করে তারা।

এসব খাতের বাস্তব ব্যবসায়িক গতিবিধি, নতুন অর্ডার, কর্মসংস্থান, খরচ ও ব্যাকলগ (পূর্বের অপূর্ণ অর্ডার)এর ওপর ভিত্তি করে হিসাব করা হয়। সূচকে ৫০ এর বেশি স্কোর মানেই অর্থনৈতিক বিকাশ, আর ৫০ এর নিচে হলে তা সংকোচনের বার্তা দেয়।

নির্ধারিত অর্থনৈতিক বাস্তবতায় যখন বাংলাদেশ মুদ্রাস্ফীতি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংকট এবং বৈদেশিক ঋণের চাপ মোকাবেলা করছে, তখন জুলাই মাসে পিএমআই ৬১.৫-এ পৌঁছানো নিঃসন্দেহে একটি উজ্জ্বল বার্তা। এই পরিসংখ্যান শুধুই একটি সংখ্যা নয় এটি শিল্প, সেবা ও নির্মাণ খাতে জাগ্রত আশাবাদেরও বার্তা, যা দেশের অর্থনীতিতে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসার ইঙ্গিত দেয়।

মূল্যস্ফীতির প্রতিবেদনে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) বলছে, ২০২৪ সালের জুলাই মাসে মূল্যস্ফীতি ছিল ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশ। চলতি বছরের জুলাইয়ে এসে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ। খাদ্যে মূল্যস্ফীতি ছিল ১৪ দশমিক ১০ শতাংশ, তা ২০২৫ সালের জুলাই মাসে কমে হয়েছে ৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ। এ ছাড়া গত বছরের জুলাইয়ে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ, তা ২০২৫ সালে কমে হয়েছে ৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, সবশেষ ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট দিয়ে গিয়েছিল ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকার। স্বাধীনতার পর এবার প্রথমবার বাজেটের আকার বিদায়ী অর্থবছরের মূল বাজেটের চেয়ে কমিয়ে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার আশপাশে (জিডিপির ১২ দশমিক ৬৫ শতাংশ) ধরা হয়।

প্রধান খাতগুলোর সম্প্রসারণ বিশ্লেষণ:

কৃষি খাত তার টানা ১০ মাস সম্প্রসারণ ধরে রাখলেও, জুলাইয়ে তার গতি কিছুটা কমেছে। এখাতের নতুন ব্যবসা, উৎপাদন কার্যক্রম এবং ইনপুট ব্যয়ের সূচকগুলোতে ধীরগতির সম্প্রসারণ দেখা গেছে, যা স্বাভাবিক বর্ষাকালীন মন্দাভাবের পরিচায়ক। তবে কৃষি খাতে কর্মসংস্থান সূচক টানা দ্বিতীয় মাসে সংকোচনের ইঙ্গিত দিয়েছে। এটি গ্রামীণ শ্রমবাজারের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

বাংলাদেশের উৎপাদন খাত জুলাই মাসে টানা ১১তম মাসের মতো সম্প্রসারণ অব্যাহত রেখেছে, এবং তা হয়েছে আগের মাসের তুলনায় দ্রুত গতিতে। নতুন অর্ডার, কারখানা উৎপাদন, কাঁচামাল ক্রয়, প্রস্তুত পণ্য, আমদানি, ইনপুট মূল্য, সরবরাহকারীদের ডেলিভারি, এবং পূর্বের অর্ডার ব্যাকলগের সূচকগুলোতে বিস্তৃত ইতিবাচক প্রবণতা লক্ষ করা গেছে।তবে বিপরীতভাবে নতুন রপ্তানি এবং কর্মসংস্থান সূচক দুটোতেই সংকোচন দেখা গেছে, যা দেশের শ্রমবাজার এবং বৈদেশিক চাহিদার কিছুটা দুর্বলতার ইঙ্গিত দেয়।

অন্যদিকে, নির্মাণ খাত জুন মাসে প্রথমবারের মতো সংকোচনের মুখে পড়ার পর, জুলাইয়ে ফের সম্প্রসারণে ফিরে এসেছে। নতুন কাজ, নির্মাণ কার্যক্রম, ইনপুট খরচ এবং ব্যাকলগ সূচকে ইতিবাচক অগ্রগতি দেখা গেলেও, কর্মসংস্থানে এটি টানা তৃতীয় মাসে সংকোচন রেকর্ড করেছে।

বাংলাদেশের পরিষেবা খাতে টানা ১০ মাস ধরে সম্প্রসারণ হয়েছে। নতুন ব্যবসা, ব্যবসায়িক কার্যক্রম, কর্মসংস্থান, ইনপুট ব্যয় এবং ব্যাকলগ সব সূচকেই জুলাইয়ে শক্তিশালী সম্প্রসারণ দেখা গেছে।

২০২৪ সালের আগস্টে অন্তর্বর্তী সরকার যখন গঠিত হয়, তখন বাংলাদেশের অর্থনীতি ছিল খাদের কিনারে – বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল বিপজ্জনকভাবে কম, টাকার মান হারাচ্ছিল, মূল্যস্ফীতি গভীর রূপ নিয়েছিল, আর ব্যাংকখাত জর্জরিত হয়ে ধুকছিল খেলাপি ঋণ ও ব্যাপক দুর্নীতি, অনিয়মের ভারে। তবে সরকারের এক বছর পার হতেই সামষ্টিক স্থিতিশীলতার কিছু আগাম লক্ষণযদিও এখনও পূর্ণ বিকশিত নয় দেখা যাচ্ছে।

অর্থনীতির জন্য অস্বস্তিকর এক সংকেত গত তিন বছর ধরে ৯ শতাংশের আশেপাশে থাকা মূল্যস্ফীতির প্রবণতা কিছুটা শিথিল হতে শুরু করে, এবং ধারাবাহিকভাবে গত তিন মাস ধরে তা কমছিল। তবে গেল মাস জুলাইয়ে হঠাৎ করে এই গতি উল্টো দিকে মোড় নেয়া আবার বাড়ার সংকেত দিয়ে মূল্য স্থিতিশীলতা নিয়ে উদ্বেগ কিছুটা জিইয়ে রেখেছে। এছাড়া, দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ বা ফরেক্স রিজার্ভ পুনর্গঠন হচ্ছে, মুদ্রার বিনিময় হারেও স্থিতিশীলতা ফিরেছে অনেক মাস ধরে তা অস্থিতিশীল থাকার পর।

আমদানিকারক, একসময় যাদের সপ্তাহের পর সপ্তাহ ডলার পাওয়ার অপেক্ষায় কাটাতে হতো, এখন সময়মতো আমদানি দায় নিষ্পত্তি করতে পারছেন। ব্যাংকখাত নিয়ে আতঙ্ক হ্রাস পেয়েছে, এবং শিল্পোৎপাদনও ধীরে ধীরে বাড়ছে।অর্থাৎ, অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের সব লক্ষণই স্পষ্ট হচ্ছে, যদিও দীর্ঘদিনের কাঠামোগত ত্রুটিগুলো এখনো রয়েছে।

এদিকে বাংলাদেশের দুর্দশাগ্রস্ত ব্যাংকিং খাত পুনরুদ্ধারের কিছু ইঙ্গিত দিলেও, এখনও বেশকিছু ব্যাংক আমানতকারীদের অর্থ ফেরত দিতে পারছে না। গত এক বছরে গৃহীত নিয়ন্ত্রক সংস্কারগুলো শাসনপ্রক্রিয়ায় কিছুটা স্বচ্ছতা ফিরিয়েছে ঠিকই, তবে এর পাশাপাশি আগে গোপন রাখা খেলাপি ঋণ প্রকাশ্যে আসায় তার পরিমাণও বাড়ছে।

ব্যাংকখাতের বাইরে, বিমা ও নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর গভীর সংকট মোকাবিলায় এখনও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি সরকার। কতিপয় প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম হলেও, অধিকাংশই আগের সরকারের সময়, পরিচালকদের বড় আকারের অর্থ আত্মসাতের কারণে আমানতকারীদের টাকা ফেরত দিতে ব্যর্থ হয়েছে।বেশকিছু জীবন বীমা কোম্পানি-ও দেউলিয়া হওয়ার দ্বারপ্রান্তে। কিন্তু এতদিনেও গ্রাহকদের স্বার্থ রক্ষায় সরকার পক্ষ থেকে কোনো বাস্তবধর্মী সংস্কার বা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।

গত এক বছর ধরেই দেশের পুঁজিবাজার রয়েছে বিতর্কের কেন্দ্রে, তবে সরকারের পক্ষ থেকে বিনিয়োগকারীদের আস্থা পুনরুদ্ধারে কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়নি।

গত এক বছরে জনপ্রশাসনেও বেড়েছে অস্থিরতা চাকরিতে নিয়োগ, পদোন্নতি ও বদলির ক্ষেত্রে অস্পষ্টতা ও অনিশ্চয়তা দৃষ্টিগোচর হয়েছে। আগের সরকারের আমলে গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা বহু শীর্ষ কর্মকর্তা এখনও আতঙ্কে থাকায়, প্রশাসনিক কার্যক্রমে ধীরগতি দেখা যাচ্ছে। এতে সরকারের নীতিনির্ধারণ প্রক্রিয়া ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে ব্যাঘাত ঘটছে। ফলে সময়মতো সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, জুলাইয়ে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশ ৪.৭৭ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৪.৯ শতাংশ বেশি। একক মাসে এত বেশি পরিমাণ রপ্তানি এর আগে কখনও হয়নি।

২০২৪ সালের জানুয়ারিতে রপ্তানি ৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়ালেও পরে সেই তথ্য সংশোধন করায় তা ৪.১২ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে। এর আগে এক মাসে সর্বোচ্চ রপ্তানির রেকর্ড ছিল ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে, ৪.৬৩ বিলিয়ন ডলার।

ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, দেশের মোট রপ্তানির প্রায় ৮৫ শতাংশ আসে পোশাক খাত থেকে। জুলাইয়ে এ খাতের রপ্তানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ২৫ শতাংশ বেড়েছে। অন্যান্য কয়েকটি খাতেও ভালো প্রবৃদ্ধি হয়েছে। হিমায়িত ও জীবন্ত মাছের রপ্তানি ৪৩ শতাংশ, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য ৩০ শতাংশ, অন্যান্য পাদুকা ৪৪ শতাংশ, কৃষিপণ্য ১৩ শতাংশ, প্লাস্টিকপণ্য ৭ শতাংশ, হোম টেক্সটাইল ১৩ শতাংশ ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি ৫ শতাংশ বেড়েছে। ২০২৫ সালের জুনের তুলনায় জুলাই মাসে মোট রপ্তানি বেড়েছে প্রায় ৪৩ শতাংশ।

বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান বছরওয়ারি এই বড় প্রবৃদ্ধির পেছনে গত বছরের রাজনৈতিক অস্থিরতাকে অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘গত জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের কারণে কারখানা বন্ধ ছিল প্রায় আট দিন। সবমিলিয়ে মাসের এক-তৃতীয়াংশ সময় কারখানার উৎপাদন বন্ধ ছিল। ফলে ওই মাসে রপ্তানি কম হয়েছিল। ওই রপ্তানির অঙ্ক কম হওয়ায় এর ওপর গত জুলাইয়ের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি বেশি দেখা যাচ্ছে। বাস্তবে রপ্তানি খুব বেশি হয়নি।’

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা ইনস্টিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইএনএম) নির্বাহী পরিচালক ড. মুস্তফা কে মুজেরী বলেন, বর্তমান সরকার দুয়েক জায়গায় সফলতা পেয়েছে। তবে গুণগত পরিবর্তনে সক্ষম হয়নি। অর্থনীতিতে সামনের দিনগুলোতে আরও অনেক চ্যালেঞ্জ আসবে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বেহাল ছিল ব্যাংক খাত। তবে এ খাতে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে।

পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ভাইস চেয়ারম্যান সাদিক আহমেদ বলেন, সামষ্টিক অর্থনৈতিক ভারসাম্য অনেকটাই উন্নত হয়েছে। বিশেষ করে মুদ্রাবিনিময় হারের নমনীয় নীতির ফলে রপ্তানি ও রেমিট্যান্স কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোয় লেনদেনের ভারসাম্য (ব্যালান্স অব পেমেন্ট) স্থিতিশীল হয়েছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনার ক্ষেত্রে সরকার কঠোর রাজস্ব ব্যবস্থাপনা ভূমিকা রেখেছে। সরকার ব্যাংকখাত থেকে ঋণও কম নিচ্ছে।