পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে টানা ১০ দিনের দীর্ঘ ছুটি শুরু হয়েছে আজ বৃহস্পতিবার থেকে। পরিবার-পরিজনের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করতে রাজধানী ছাড়তে শুরু করেছেন ঘরমুখো মানুষ। অনেকের ছুটি আগে হওয়ায় সড়কপথে যানজট এড়াতে আগেই বাড়ি ফিরছেন। তবে স্বাভাবিক দিনের চেয়ে ঈদকেন্দ্রিক চাপ শুরু হবে আজ থেকে। শহরের মানুষের একটা বড় অংশই এখন রাস্তায়। আর একদিনের মধ্যে ৯০ লাখের বেশি মানুষ এবার ঢাকা ছাড়তে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে। আর কয়েক লাখ মানুষ গ্রামে যাওয়ায় রাজধানী ঢাকার নিরপাত্তা দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

চুরি,ডাকাতি, দস্যুতা রোধ ও বাসা-বাড়ির নিরাপত্তার জন্য কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। জানমালের নিরাপত্তা বিধানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। র‌্যাব-পুলিশ, বিজিবির সঙ্গে মাঠে থাকবে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা। ঈদের টানা ছুটিতে অনেকটা নিরাপত্তা চাদরে ঢাকা থাকবে এই নগরী। ঈদের আগে ও পরে রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সতর্ক থাকবে যৌথবাহিনী। তারপরও ব্যক্তিগতভাবে নিজেরে বাসা-বাড়ি ও গুরুত্বপর্নূ মালামালের নিরাপত্তা বিধানে ডিএমপির পক্ষ থেকে কিছু পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে যে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সারা দেশে মাঠে থাকবে পুলিশ, র‌্যাব ও আনসার সদস্যসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা। রাজধানীর বিভিন্ন ঈদগাহ প্রাঙ্গণে নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিশেষ এলাকায় পুলিশ ও র‌্যাবের কন্ট্রোলরুম থাকবে। ঢাকাসহ সারা দেশে সড়ক পথে নিরাপত্তা বিধানে র‌্যাবের টহল কার্যক্রমও পরিচালিত হচ্ছে। এছাড়াও নিয়মিত টহলের পাশাপাশি যে কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা রোধে র‌্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি থাকবে। ঈদের সময় ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি, অজ্ঞান পার্টি ও মলম পার্টির তৎপরতা, চাঁদাবাজি ও জাল টাকার ব্যবহারের আশঙ্কা রয়েছে। সে কারণে পুলিশ সদস্যদের সার্বিক নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নগরীর বিভিন্ন স্থানে স্যুইপিং করা, আর্চওয়ে ও মেটাল ডিটেকটর দিয়ে চেক করাসহ সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আবাসিক এলাকায় পুলিশের মোবাইল প্যাট্রোল বাড়ানোসহ বিভিন্ন ব্যাংক এবং এটিএম বুথের নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে। এছাড়া ট্রাফিক বিভাগ চেকপোস্ট, তল্লাশি ও গাড়ি চেকিং কার্যক্রম পরিচালনা করবে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানিয়েছেন, বিভিন্ন বাসস্টান্ড, রেলস্টেশন, লঞ্চঘাট ও বিপণি বিতানে পুলিশের টহল ও নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। রাজধানীকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে নিরাপত্তা দেবে ঢাকা মহানগর পুলিশ।

এদিকে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) ঈদে মানুষের নিরাপত্তায় এলাকাভিত্তিক গোয়েন্দা কার্যক্রম ও টহল জোরদার করেছে। ঈদের আগে ও পরে ইউনিফর্মের পাশাপাশি সাদা পোশাকে র‌্যাবের সদস্যরা তৎপর থাকবে। গোয়েন্দা, ফুট প্যাট্রোল, মোবাইল প্যাট্রোল, সাইবার ওয়ার্ল্ডের নজরদারি, স্পেশাল ফোর্স ও যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকবে র‌্যাব। ঢাকাসহ সারাদেশে সড়কপথে নিরাপত্তা বিধানে র‌্যাবের টহল কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এছাড়াও পশুরহাট ও আশপাশের এলাকায় র‌্যাবের নিয়মিত টহলের পাশাপাশি ঢাকামুখী পশু পরিবহণে চাঁদাবাজী রুখতে র‌্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি ও নিয়মিত টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। যে কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা রোধে, র‌্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক উইং কমান্ডার এম জেড এম ইন্তেখাব চৌধুরী জানিয়েছেন, ঈদের ছুটিতে দেশের জনগণ যাতে নির্বিঘেœ ঈদ উদযাপন করতে পারে, সেজন্য বিজিবি সদস্যরা সীমান্তের নিরাপত্তা বিধান, দেশের অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও ঈদ জামায়াত ইত্যাদির নিরাপত্তা বিধানে সদা সচেষ্ট ও তৎপর থাকবে বলে জানিয়েছে বিজিবি। ঈদে নিরাপত্তায় আনসার সদস্যরাও মাঠে থাকবে। পাশাপাশি গোয়েন্দা বিভাগের সদস্যরা যে কোনো ধরনের অপরাধ প্রতিরোধে মাঠে থাকবে। তিনি বলেন, শীর্ষ সন্ত্রাসীদের কোনো অপতৎপরতার তথ্য থাকলে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে র‌্যাব। সন্ত্রাসীদের কার্যক্রম র‌্যাবের নজরদারিতে রয়েছে।

এরআগে ঈদুল আজহা ঘিরে রাজধানীতে নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নানা উদ্যোগ নিয়ে ডিএমপি সদর দপ্তরে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, পবিত্র ঈদুল ফিতরের মতো এবারও নগরবাসীকে নির্বিঘœ ও নিরাপদ ঈদযাত্রা উপহার দিতে হবে। দুর্ঘটনা প্রতিরোধে চালকদের গতি নিয়ন্ত্রণ ও ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। ঈদ আনন্দ যেন কারও জন্য শোকের কারণ না হয়, সে জন্য সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি। ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার মো. সরওয়ার জানান, যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঢাকার মোটরযান মেরামতকেন্দ্রগুলোতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার কথাও জানান তিনি। অপরাধ প্রতিরোধ নিয়ে অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি ও ছিনতাইকারীদের দমনে ডিএমপির টহল জোরদার করা হবে। বড় অঙ্কের টাকা বহনের ক্ষেত্রে পুলিশের সহায়তা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

ডিএমপির নিরাপত্তা পরামর্শ: ঈদুল আজহা ঘিরে রাজধানীতে নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নানা উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এরই অংশ হিসেবে বেশ কিছু নিরাপত্তা পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই পরামর্শ দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, পবিত্র ঈদুল আজহা উৎসবমুখর ও নিরাপদ পরিবেশে উদযাপনের লক্ষ্যে এবং ঈদে বাসা-বাড়ি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বিপণিবিতানের সার্বিক নিরাপত্তায় ডিএমপি সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। ডিএমপি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে পুলিশের গৃহীত পদক্ষেপের পাশাপাশি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে নিরাপত্তা সচেতনতাবোধ তৈরি করা গেলে, সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে ও অপরাধ দমনে অধিকতর সফল হওয়া সম্ভব। বিজ্ঞপ্তিতে নিরাপত্তা নিশ্চিতে ঢাকাবাসীকে ১৮টি নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ফিটনেসবিহীন যানবাহন ও নৌযানে কোরবানির পশু পরিবহন করবেন না। কোরবানির পশুবাহী পরিবহন ও নৌযানের সামনে নির্দিষ্ট গন্তব্য ও হাটের নাম লিখে রাখতে হবে। ট্রাক, লঞ্চ বা ট্রলারে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত পশু পরিবহন করা যাবে না। নির্দিষ্ট স্থানে পশু লোড ও আনলোড করতে হবে। পশু হাটে অজ্ঞানপার্টি ও মলমপার্টি থেকে সাবধান থাকতে হবে। কোনোভাবে অপরিচিত কারও দেওয়া কোনো কিছু খাওয়া যাবে না। জালনোট সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে এবং লেনদেনের সময় সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। পশু বিক্রয় করা অর্থ ব্যাংকে জমা রাখা ও নগদ অর্থ স্থানান্তরে মানি এস্কর্ট সেবা গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। কোরবানির পশু পরিবহন, পশুর হাটে চাঁদাবাজি সংক্রান্ত কোনো তথ্য থাকলে নিকটস্থ পুলিশকে জানান। অনলাইনে কোরবানির পশু কেনায় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

বাসা-বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট, ব্যাংক-বিমাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বিপণি-বিতানের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত নিরাপত্তারক্ষীদের ডিউটি জোরদার করতে হবে। যেকোনও অনুপ্রবেশ রোধে দিন-রাত ২৪ ঘন্টা নজরদারির ব্যবস্থা রাখতে হবে। সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদারকির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। প্রতিষ্ঠানের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে একসঙ্গে ছুটি প্রদান না করে একটি অংশকে দায়িত্বপালনে নিয়োজিত রাখা যেতে পারে। বাসা-বাড়ি ও প্রতিষ্ঠান ত্যাগের পূর্বে দরজা-জানালা সঠিকভাবে তালাবদ্ধ করে যেতে হবে। প্রয়োজনে একাধিক তালা ব্যবহার করা যেতে পারে। দরজা-জানালা দুর্বল অবস্থায় থাকলে তা মেরামত করে সুরক্ষিত করতে হবে। বাসা-বাড়ি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বিপণি-বিতানে পর্যাপ্ত সংখ্যক সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে। পাশাপাশি সিসি ক্যামেরাগুলোর সচল থাকার বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে। বাসা-বাড়ির মূল দরজায় অটোলক ও নিরাপত্তা অ্যালার্মযুক্ত তালা ব্যবহার করা যেতে পারে। রাতে বাসা ও প্রতিষ্ঠানের চারপাশ পর্যাপ্ত আলোকিত রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। অর্থ, মূল্যবান সামগ্রী ও দলিল নিরাপদ স্থানে বা নিকট আত্মীয়ের হেফাজতে রেখে যেতে হবে। প্রয়োজনে ব্যাংক লকারের সহায়তা নেওয়া যেতে পারে। বাসা-বাড়ি ত্যাগের পূর্বে যে সব প্রতিবেশী বা পাশের ফ্ল্যাটের অধিবাসী ঢাকায় থাকবে তাদের বাসার প্রতি খেয়াল রাখার অনুরোধ করতে হবে। পাশাপাশি ফোনে তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে হবে। ভাড়াটিয়াদের আগেই বাসার মালিককে ঈদ উপলক্ষে বাসা ত্যাগের বিষয়টি অবহিত করতে হবে। অনুমতি ছাড়া কেউ যেন বাসা বা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করতে না পারে সে বিষয়ে বাসা বা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তাকর্মীকে সতর্ক করতে হবে ও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করতে হবে। বাসা বা প্রতিষ্ঠানের গাড়ির গ্যারেজ সুরক্ষিত রাখতে হবে। বাসার জানালা ও দরজার পাশে কোনও গাছ থাকলে তার অবাঞ্ছিত শাখা-প্রশাখা কেটে ফেলতে হবে। যাতে অপরাধীরা গাছের শাখা-প্রশাখা ব্যবহার করে বাসায় প্রবেশ করতে না পারে। বাসা-বাড়ি বা প্রতিষ্ঠান ত্যাগের পূর্বে লাইট, ফ্যানসহ অন্যান্য ইলেকট্রিক লাইনের সুইচ, পানির ট্যাপ, গ্যাসের চুলা ইত্যাদি বন্ধ করা হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে। মহল্লা বা বাড়ির সামনে সন্দেহজনক কাউকে বা দুস্কৃতকারীকে ঘোরাফেরা করতে দেখলে স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ি ও থানাকে অবহিত করতে হবে। ঈদে মহল্লা বা বাসায় কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে থাকলে বা ঘটার সম্ভাবনা থাকলে তা স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ি ও থানাকে অবহিত করতে হবে। যাত্রীদের পর্যাপ্ত সময় নিয়ে ঈদের ভ্রমণ পরিকল্পনা করার অনুরোধ করা হচ্ছে। ভ্রমণকালে নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে হবে। চালককে দ্রুত গতিতে গাড়ি চালানোর তাগিদ দেওয়া যাবে না। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে বাসের ছাদ, ট্রাক, পিকআপ ও অন্যান্য পণ্যবাহী যানবাহনে ভ্রমণ করা যাবে না। রাস্তা পারাপারে জেব্রা ক্রসিং বা ফুট ওভারব্রিজ ব্যবহার করতে হবে। যেখানে জেব্রা ক্রসিং বা ফুট ওভারব্রিজ নেই, সেখানে যানবাহনের গতিবিধি দেখে নিরাপদে রাস্তা পার হতে হবে। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে পুলিশের সহায়তা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে বেপরোয়া গতিতে বা জয় রাইডিং করবেন না। এতে জীবন বিপন্ন হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। অপরিচিত কোনো ব্যক্তির নিকট থেকে খাবার খাবেন না। লাইসেন্সবিহীন অদক্ষ, অপেশাদার, ক্লান্ত বা অসুস্থ চালককে যাত্রীবাহী বাস ও গাড়ি চালাতে না দিতে বাস মালিকদের অনুরোধ করা হচ্ছে। একইসঙ্গে চালক যাতে নিয়ম মেনে গাড়ি চালায় এবং ঝুঁকিপূর্ণ ওভার টেকিং না করে সেজন্য চালককে নির্দেশ দেওয়া। বাসে অতিরিক্ত যাত্রী ওঠানো যাবে না। যাত্রী পরিবহনে ফিটনেসবিহীন গাড়ি রাস্তায় বের করা যাবে না। বেপরোয়াভাবে ওভার স্পিডে গাড়ি চালানো ও ঝুঁকিপূর্ণ ওভার টেকিং না করতে বাস চালকদের অনুরোধ করা হচ্ছে। ক্লান্ত বা অবসাদ বা অসুস্থ অবস্থায় গাড়ি চালাবেন না। ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ গাড়ির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সবসময় সঙ্গে রাখুন। আঞ্চলিক সড়ক ও মহাসড়কে চলাচলের ক্ষেত্রে পুলিশের নির্দেশনা মেনে চলুন। বিজ্ঞপ্তিতে জরুরি প্রয়োজনে সহায়তার জন্য পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগের কথা বলা হয়।

ঢাবি এলাকার নিরাপত্তা: এরআগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার নিরাপতআতর জন্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) ও ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) প্রতিনিধিদের এক যৌথ সভা হয়েছে। সে সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রবেশপথে প্রক্টরিয়াল মোবাইল সিকিউরিটি টিমের সাথে প্রতিটি পয়েন্টে ২ জন করে অস্ত্রধারী পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। প্রবেশপথগুলো হচ্ছে-শাহবাগ, নীলক্ষেত, পলাশী, দোয়েল চত্বর, উদয়ন এবং অফিসার টাওয়ার। এছাড়াও, সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় ক্যাম্পাস এলাকায় টহল কার্যক্রম জোরদার করা হবে। সেনা সদর দপ্তরের সামরিক অপারেশন অধিদপ্তরকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়েছে। সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় বিভিন্ন আবাসিক হলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়। নিরাপত্তার স্বার্থে আগামী ১৪ জুন পর্যন্ত শেখ মুজিবুর রহমান হল সংলগ্ন পকেট গেট বন্ধ থাকবে।