# ঐকমত্য কমিশনের সব প্রস্তাবে ১০০ শতাংশ একমত হতে বলা

হলে আলোচনার জন্য ডাকা হয়েছিল কেন ? - সালাহ উদ্দিন

# অধিকতর সংস্কার ও আলোচনার মাধ্যমে সব পক্ষকে ঐকমত্যে আনা সম্ভব- ডা. তাহের

# সবমিলিয়ে বিএনপি এবং সমমনা কয়েকটি দলের জন্য কমিশন আটকে আছে -আখতার হোসেন

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি ও বিশিষ্ট রাজনীতি বিশ্লেষক অধ্যাপক আলী রীয়াজ চলমান রাজনৈতিক আলোচনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, সব দল একসঙ্গে ‘জুলাই সনদ’-এ স্বাক্ষর করবে- এমন যে স্বপ্ন ছিল, তা হয়তো বাস্তবায়ন সম্ভব নাও হতে পারে।

গতকাল রোববার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফার সপ্তম দিনের আলোচনায় অংশ নিয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি। আলোচনার সূচনায় আলী রীয়াজ বলেন, আমরা স্বপ্ন দেখেছিলাম, শহীদ আবু সাঈদের শাহাদাতবার্ষিকীতে সবাই মিলে ‘জুলাই সনদ’-এ স্বাক্ষর করব। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছেÑ রাজনৈতিক দলগুলোর অনীহা এবং দ্বিধাদ্বন্দ্বের কারণে আমরা সে পথে খুব বেশি অগ্রসর হতে পারিনি। এই মুহূর্তে আমরা কিছুটা শঙ্কিত। আলোচনার মূল এজেন্ডা হিসেবে যে বিষয়গুলো পুনরায় উপস্থাপন করা হয়, তার মধ্যে রয়েছেÑ সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের জন্য স্বতন্ত্র নিয়োগ কমিটি, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট জাতীয় সংসদ গঠন, উচ্চকক্ষের সদস্য নির্বাচনের পদ্ধতি ও উচ্চকক্ষের কার্যকারিতা ও ভূমিকা।

আলী রীয়াজ এ প্রসঙ্গে বলেন, গত বছরের জুলাই মাস আমাদের জন্য ছিল একটি ঐতিহাসিক সময়। আমরা সবাই তখন নিজেদের দলের পতাকা নয়, দেশের পতাকা তুলে ধরেছিলাম। আমাদের মধ্যে ছিল ফ্যাসিবাদবিরোধী এক ঐক্য। সেই চেতনার ধারাবাহিকতা রক্ষা করাই আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। কিন্তু আজকের পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে, রাজনৈতিক দলগুলো সেই ঐতিহাসিক দায়বদ্ধতা থেকে সরে আসছে।

তিনি আরও বলেন, জুলাই মাসের মধ্যেই এই আলোচনাকে একটি কার্যকর পরিণতির দিকে নিতে হবে। নইলে জনগণের আকাক্সক্ষা থেকে আমরা বিচ্যুত হব। আগামী দিনে যেন আর কেউ জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে সাংবিধানিক সংস্কার করতে না পারেÑ তা নিশ্চিত করতে হবে এখনই। ব্যক্তিকেন্দ্রিক ক্ষমতা যেন গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত না করে, সেই নিশ্চয়তা সাংবিধানিকভাবেই তৈরি করতে হবে। আলী রীয়াজ মনে করেন, একটি স্বাধীন ও কার্যকর বিচারব্যবস্থা, শক্তিশালী সংসদ এবং ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষা করা ছাড়া টেকসই গণতন্ত্র সম্ভব নয়। এজন্য তিনি রাজনৈতিক দলগুলোকে আরও দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানান।

আমরা আগের পরিস্থিতিতে ফিরে যেতে চাই না,Ñ বলেন তিনি, প্রশ্ন হলো, গত জুলাইয়ে যে প্রতিশ্রুতি আমরা দিয়েছিলাম, সেই প্রতিশ্রুতির কতটুকু আজ বাস্তবায়িত হয়েছে? আমরা কি কেবল নিজেদের রাজনৈতিক সুবিধা খুঁজে বেড়াব, নাকি দেশের স্বার্থে সত্যিকার সংস্কারে অংশ নেব ? আলোচনার এই পর্বে আলী রীয়াজ উল্লেখ করেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে অনেক বিষয়ে নমনীয় হয়েছে। ৭০ অনুচ্ছেদ, এনসিসি গঠন এবং উচ্চকক্ষ প্রতিষ্ঠার বিষয়ে কমিশন তার আগের অবস্থান থেকে সরে এসেছে। আমরা চাই দলগুলোও একইভাবে ইতিবাচক ও দায়িত্বশীল হোক।

এদিন আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার। উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান এবং মো. আইয়ুব মিয়া।

বিএনপি যা বলছে

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ঐকমত্য কমিশনে আমাদের একটা শর্ত ছিল যে, এনসিসি বা সাংবিধানিক নিয়োগ কমিটির মতো কোনো বিষয় এখানে থাকলে সেক্ষেত্রে আগের প্রস্তাব অনুসারে আমাদের যেতে হবে। সেই বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি। রাষ্ট্রপতির নির্বাচন ক্ষেত্রে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে স্বাধীনভাবে এমপিরা ভোট দিতে পারবে সেই বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি। একমত পোষণ তো হচ্ছে। এখন যদি জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সব প্রস্তাবে ১০০ শতাংশ একমত হতে বলা হয়, তাহলে আলোচনার জন্য ডাকা হয়েছিল কেন ?

গতকাল রোববার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, জাতীয় ঐকমত্য পোষণ হলে যেসব বিষয়ে দলগুলো একমত হবে, সেই বিষয়গুলো একত্রিত করে জুলাই সনদ বা জাতীয় সনদ স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা। তো এখন এখানে যদি আমাদের বাধ্য করা হয় যে এই সমস্ত বিষয়ে একমত হতেই হবে, সেটা তো সঠিক হলো না।

তিনি বলেন, আজকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে আলোচনার জন্য দুইটা বিষয় নির্ধারিত ছিল। প্রথম বিষয় সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ কমিটি। দ্বিতীয় বিষয় দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট। তার মধ্যে নিম্ন কক্ষ আছে। এই দুইটা বিষয়ের প্রথম ভাগের আলোচনায় সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান নিয়োগ কমিটি যেটা গ আগের দিনের আলোচনাতেও ছিল, এর আগেও ছিল তবে সেটা এনসিসি নামে ছিল। তারপরে সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান নিয়োগ কমিটি এই নামে ছিল। আজকেও একইভাবে এসেছে এখানে সংস্কার কমিশনের জাতীয় ঐক্য কমিশনের পক্ষ থেকে কয়েকটি বিষয়ে সংযোজন সংশোধন করে আজকে উপস্থাপন করা হয়েছে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, এই বিষয়ে আমাদের বক্তব্য আগের মতোই। আমরা সাংবিধানিক বিভিন্ন সংস্থা কমিশন ও সংবিধিবদ্ধ সংস্থা কয়েকটি নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে আমাদের মতামত আগে যেভাবে ছিল এখনো তেমনই আছে। তিনি বলেন, সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও একই বিদ্যমান আইন যেমন দুর্নীতি দমন কমিশনের বিষয়টি এখানে আসছে। বিদ্যমান আইনে অনেক সংস্কার প্রয়োজন। আমরা প্রয়োজনীয় গণতান্ত্রিক সংস্কারের মধ্য দিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের নিজস্ব , স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা নিশ্চয়তা বিধান করতে চাই। একইসঙ্গে একটি শক্তিশালী দুর্নীতি দমন কমিশন কার্যকর দুর্নীতি দমন কমিশন গঠনের এই কথাগুলো আমরা বলেছি। আমাদের দলীয় প্রস্তাব যেটা আমাদের ৩১ দফা ছিল সেই প্রস্তাবই আমরা আবার দিয়েছি।

‘আজ জুলাই সনদ নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে কিছু হতাশা প্রকাশ করা হয়েছে। কিছু রাজনৈতিক দল কয়েকটি বিষয়ে এখনো ঐকমত্যে আসতে পারছে না। এর কারণে তারা যে জুলাই সনদ দিতে চাচ্ছিল বা জাতীয় সনদ যেটা বলছে সেটাও তারা দিতে পারছে না। এ বিষয়ে বিএনপির অবস্থান কী, এমন প্রশ্নের জবাবে সালাহউদ্দীন আহমেদ বলেন, এখন পর্যন্ত জুলাই সনদ বলি বা জাতীয় সনদ বলি। এ বিষয়ে স্বাক্ষরিত হওয়ার জন্য সবচাইতে বেশি আন্তরিকতা আমরা প্রদর্শন করেছি। আমরা জাতীয় মূলনীতির ক্ষেত্রে আমাদের অবস্থান জানিয়েছি।

আমরা ৭০ অনুচ্ছেদের ব্যাপারে আমাদের পজিশন জানিয়ে আমরা সেখানে একমত হয়েছি এবং সেটা জাতীয় সনদে অন্তর্ভুক্ত হবে। সবাই সেটা একমত হয়েছি এবং এরপরে পার্লামেন্টের স্থায়ী কমিটিগুলোতে সভাপতিত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে বিরোধী দলের কাছে সভাপতিত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা তখন একমত হয়েছি, চারটি গুরুত্বপূর্ণ কমিটিসহ আর আসনের সংখ্যার অনুপাতে যা পাবে বিরোধী দল, সেখানে হয়তো এক তৃতীয়াংশ আসতে পারে সেগুলোর বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি। আমরা প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদের ক্ষেত্রে যেটা জীবদ্দশায় বা সারাজীবনে কোনো ব্যক্তি ১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী আসনে বহাল থাকবেন না, সে বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি। তবে ওখানে আমাদের একটা শর্ত ছিল যে এনসিসির মতো বা সাংবিধানিক নিয়োগ কমিটির মতো কোনো বিষয় এখানে আমরা থাকলে সে হয়তো আমরা সেই বিবেচনাটা আগের প্রস্তাব অনুসারে যেতে হবে আমাদের। সেই বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি।

জামায়াতের অবস্থান

জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ সংস্থাগুলোতে নিয়োগের জন্য একটি স্থায়ী কমিটি গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। তবে এই প্রস্তাবিত ‘সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ সংস্থার নিয়োগ কমিটি’ (পূর্বে ন্যাশনাল কনস্টিটিউশনাল কাউন্সিল নামে পরিচিত) গঠনে এখনো বিএনপির আপত্তি রয়েছে।

ডা. তাহের বলেন, শতভাগ একমত হয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়াটা প্রায় অসম্ভব। আমরা চেষ্টা করছি কীভাবে এই জটিলতা কমানো যায়। তিনি জানান, প্রস্তাবিত নিয়োগ কমিটি নিয়ে আলোচনা চলছে এবং এর লক্ষ্য হলো নিরপেক্ষ, যোগ্য ও মেধাবী ব্যক্তিদের এসব গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ নিশ্চিত করা। জামায়াতের নায়েবে আমীর বলেন, এই কমিটি গঠনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার কোনো সংকোচন বা পরিবর্তন হবে না। এসব কমিটি কখনোই প্রধানমন্ত্রীর অধীন ছিল না এবং এক্সিকিউটিভের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। এটি ইন্ডিপেন্ডেন্ট কাজ।

ডা. তাহের বলেন, আগে প্রতিটি কমিটির নিয়োগের জন্য আলাদা সার্চ কমিটি গঠন করা হতো, যেখানে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের সুযোগ বেশি ছিল। নতুন প্রস্তাবিত স্থায়ী কমিটি এ সুযোগ কমাবে। তিনি বলেন, কেউ কেউ এটাকে ভুল বুঝে বলতে চাইছিলেন যে এরকম একটা কমিটি থাকলে প্রধানমন্ত্রীর হাত পা বেঁধে দেওয়া হবে। আসলে এর সাথে প্রধানমন্ত্রীর হাতও জড়িত নাই, পাও জড়িত নাই।

কমিটির প্রস্তাবিত কাঠামো তুলে ধরে জামায়াতের নায়েবে আমীর বলেন, প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেতা, স্পিকার (উচ্চ ও নিম্ন উভয়কক্ষের থাকলে), সুপ্রিম কোর্টের একজন বিচারপতি (প্রধান বিচারপতির প্রতিনিধি হিসেবে) এবং রাষ্ট্রপতির একজন প্রতিনিধি এই কমিটির সদস্য থাকবেন।

ডা. তাহের বলেন, এখানে গভর্নমেন্টও আছে। গভর্নমেন্টের বিরোধী যারা তারাও আছে এবং দেশের আরও রেসপেক্টেড পার্সোনালিটিজ এখানে কম্বিনেশন আছে। তিনি বলেন, বিএনপির আপত্তি আছে। বিএনপি কনস কমিটি এরকম গঠন করুক, এটা তারা এগ্রি করছে না। জামায়াতের নায়েবে আমীর বলেন, অধিকাংশ দল অর্থাৎ দুই-তৃতীয়াংশের বেশি এই প্রস্তাবে একমত হয়েছে। অধিকতর সংস্কার ও আলোচনার মাধ্যমে সব পক্ষকে ঐকমত্যে আনা সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্ট ও জনগণের প্রতিফলন

দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্টের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে জানিয়ে ডা. তাহের বলেন, আমরা ইন প্রিন্সিপাল বাই ক্যামেরাল পার্লামেন্টের ব্যাপারে একমত আছি। তিনি বলেন, উচ্চকক্ষের সদস্যরা শুধু এমপিদের ভোটে নির্বাচিত না হয়ে জনগণের ভোটের প্রতিফলন থাকতে হবে। জামায়াতের নায়েবে আমীর বলেন, এখানে জনগণের ভোটের রিফ্লেকশন থাকতে হবে, সে হিসাবে প্রপোরশন যেটা হবে পিআর, যেটা আমরা বলেছিলাম এখানেও মোর দেন ২৩০ ইতোমধ্যে মতপ্রকাশ করেছেন পজিটিভলি। ডা. তাহের মনে করেন, জাতির স্বার্থে সব রাজনৈতিক দলের ঐক্যবদ্ধ হওয়া জরুরি এবং এর মাধ্যমে একটি ‘সুষ্ঠু নির্বাচন’ সম্ভব হবে, যা দেশকে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন থেকে মুক্ত করে পরিবর্তন আনবে।

এনসিপি’র অবস্থান

ঐকমত্য কমিশনে সংস্কার নিয়ে দরকষাকষি চলছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন। আলোচনায় মৌলিক সংস্কারের বাস্তবতা থেকে অনেক দূরে থাকতে হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি বলেন, যখন দলগুলোর মাঝে এনসিসির বিষয়ে আলোচনা হলো তখন নাম নিয়ে অভিযোগ আসে এবং এর নাম সংবিধান ও সংবিধিবদ্ধ কমিটি করা হয়। এর মধ্যে ছিল কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কমিশনের নিয়োগ এই কমটির আওতায় আনা। তারপরও বিএনপি এবং কয়েকটি দলের বাধার কারণে সেটিকে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি।

আখতার হোসেন আরও বলেন, উচ্চকক্ষের আলোচনা যখন এসেছে প্রায় সব রাজনৈতিক দল পিআর পদ্ধতিতে প্রতিনিধিত্বের কথা বলেছে সেখানেও আজকের হাউজ বাধার মুখে পড়েছে। একটা দল চাইলেই যেন সংবিধান সংশোধন না করতে পারে এইসব প্রস্তাবেও কিছু কিছু রাজনৈতিক দল সম্মতি দেয়নি। সবমিলিয়ে বিএনপি এবং সমমনা কয়েকটি দলের জন্য কমিশন আটকে আছে। কমিশন আবারও দলগুলোকে এসব বিষয়ে পুনর্বিবেচনার কথা বলেছে।

কেউ চাইলেই ক্ষমতায় এসে নির্বাচন কমিশন, দুদক, পিএসসির মতো প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করতে পারবে না। কোন সরকার ক্ষমতায় বাংলাদেশের সরকারের জবাবদিহিতার জায়গাকে নিশ্চিত হতে দেবে না এমন কারোর সাথে আপামর জনতার কোনো সংযোগ নেই বলেও উল্লেখ করেন তিনি।