জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্ত করে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা নামে দুটি পৃথক বিভাগ করে অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে। গত সোমবার রাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ‘রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ, ২০২৫’ অনুমোদনের পর এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়। নতুন এ অধ্যাদেশ জারির ফলে দীর্ঘদিনের রাজস্ব সংস্থা এনবিআরের অস্তিত্ব এখন আর নেই। বহুল আকাক্সিক্ষত এ রাজস্বনীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ গেজেট জারির পরপরই আয়কর ও কাস্টমস কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এই অধ্যাদেশ জারির মধ্য দিয়ে কর ও কাস্টমস ক্যাডারের অধিকাংশ দাবি বাস্তবায়িত হয়েছে বলে জানান। আবার আরেকটি পক্ষ এর প্রতিবাদে কর্মসূচি পালন করছে।

এনবিআরকে দুই ভাগ করায় সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছে বিসিএস আয়কর অ্যাসোসিয়েশন। গতকাল সকালে বিসিএস আয়কর অ্যাসোসিয়েশনের ফেসবুক পেইজে এ অভিনন্দন বার্তা জানানো হয়। অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোতাসিম বিল্লাহ ফারুকী অভিনন্দন বার্তায় বলেন, সবাইকে ধন্যবাদ, আমাদের দাবি মেনে অধ্যাদেশ জারি হয়েছে। আমরা আনন্দিত। ধন্যবাদ অর্থ উপদেষ্টা ও চেয়ারম্যানকে। আমাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বাকি বিষয়গুলো উপদেষ্টা মহোদয়ের সঙ্গে আলোচনা করে, চেয়ারম্যান মহোদয়ের নেতৃত্বে পরবর্তী পদক্ষেপ জরুরি। সবাই মিলেমিশে কাজ করতে হবে।

জারি করা অধ্যাদেশে শুধু রাজস্বনীতি বিভাগের কার্যপরিধিতে সামান্য পরিবর্তন আনা হয়েছে। রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রশাসনিক পদগুলোতে অ্যাডমিন ক্যাডার কর্মকর্তাদের পাশাপাশি আয়কর ও কাস্টমস ক্যাডারের কর্মকর্তাদের রাখা হয়েছে। এ অধ্যাদেশের আরেকটি দিক হচ্ছে, কর ক্যাডার কর্মকর্তারা শাসিত হবে কর ক্যাডার দ্বারা এবং শুল্ক ক্যাডার কর্মকর্তারা শুল্ক ক্যাডার দিয়ে শাসিত হবেন।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্ত করে রাজস্ব খাতকে দুটি পৃথক বিভাগে ভাগ করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে তিনদিন কলম বিরতির ঘোষণা দিয়েছেন এনবিআরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে আগারগাঁওয়ে এনবিআর ভবন প্রাঙ্গণে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা। সেখানে অধ্যাদেশ বাতিলের দাবি তুলে যুগ্ম কর কমিশনার সাধন কুমার কুন্ডু বলেন, আগামী ১৪, ১৫ ও ১৭ মে এনবিআরের অধীনস্ত সব দপ্তরের সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কলম বিরতি কর্মসূচি পালন করবে। তবে আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা, বাজেট ও রপ্তানি এই তিনটি কার্যক্রম চালু থাকবে। পরবর্তী কর্মসূচি আগামী ১৭ মে বিকেল ৩টায় আমরা ঘোষণা করবো। তিনি বলেন, পরামর্শক কমিটির যে প্রতিবেদন ছিল সেটি সামনে এনে, সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে অধ্যাদেশ জারি করা হোক, তাতে আমাদের কোনো আপত্তি থাকবে না।

এ কর্মকর্তা আরও বলেন, এ অধ্যাদেশটি হয়েছে বর্তমান সরকারের সংস্কার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে। এনবিআর সংস্কারের জন্য সরকার একটি পরামর্শক কমিটি করেছিল। সেই কমিটিতে দেশের যোগ্য ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু কমিটি যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটি কোনো গণমাধ্যমে আসেনি। আপনারা কিংবা আমরা কেউই জানতে পারিনি। অংশীজনদের সঙ্গে ভালো-মন্দ কোনো আলোচনা হয়নি। আমাদের মতামত উপেক্ষা করে অনেকটা গোপনীয়ভাবে এ অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে।

এসময় কাস্টমসের অতিরিক্ত কমিশনার মোনালিসা শারমীন সুস্মিতা বলেন, যে অধ্যাদেশ জারি হয়েছে তাতে সর্বময় সার্ভিসের মতামতের প্রতিফলন ঘটেনি। আমরা দেখতে পেরেছি, যে ফরম্যাটে অধ্যাদেশটি জারি হয়েছে সেখানে কাস্টমস ও ট্যাক্স সার্ভিসের কর্মকর্তাদের চাওয়া বা ইচ্ছার প্রতিফলন হয়নি।

গতকাল বিকেল সোয়া ৪টার দিকে এনবিআর ভবন প্রাঙ্গণে উপস্থিত হন সংস্থাটির চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তখন অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিলেন। এনবিআর চেয়ারম্যানকে দেখেই ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দেন কয়েকজন। পরে কালো জিপে করে কার্যালয় ছাড়েন চেয়ারম্যান।

এদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এনবিআর বিলুপ্ত করার লক্ষ্য সম্পর্কে একটি ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্ত করে যে দুটি বিভাগ গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে, তার মূল লক্ষ্য হলো করনীতি প্রণয়ন ও কর ব্যবস্থাপনার কাজ আলাদা করা। দক্ষতা বাড়ানো, স্বার্থের সংঘাত হ্রাস ও দেশের কর ভিত্তি প্রসারিত করাও এর লক্ষ্য।

ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে এনবিআর রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। বাংলাদেশের কর-জিডিপি অনুপাত মাত্র ৭ দশমিক ৪ শতাংশ, এটি এশিয়ার মধ্যে অন্যতম সর্বনিম্ন। বিশ্বে কর-জিডিপির গড় অনুপাত ১৬ দশমিক ৬ শতাংশ। এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ অর্থনৈতিক শক্তি মালয়েশিয়ায় এই অনুপাত ১১ দশমিক ৬ শতাংশ। দেশের উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে অন্তত ১০ শতাংশ কর-জিডিপির অনুপাত অর্জন করতেই হবে।

প্রেস উইং বলেছে, কর-জিডিপির অনুপাতের এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এনবিআর পুনর্গঠন জরুরি। একই সংস্থা করনীতি প্রণয়ন এবং সেই নীতির বাস্তবায়ন করবে, এ অবস্থান সাংঘর্ষিক। সেই সঙ্গে এটা ব্যবস্থা হিসেবে অদক্ষ। দীর্ঘদিন ধরে দেশের ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে আসছেন, নীতি প্রণয়নে রাজস্ব আহরণকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে, ন্যায়বিচার, প্রবৃদ্ধি ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার কথা উপেক্ষা করা হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং বলেছে, একই প্রতিষ্ঠানের হাতে নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের দায়িত্ব থাকায় করনীতিতে পক্ষপাতিত্ব ও অনিয়ম হয়েছে। কর আদায়ে নিয়োজিত কর্মকর্তারা কার্যকর জবাবদিহি ছাড়াই কর ফাঁকিদাতাদের সঙ্গে গোপনে সমঝোতা করার সুযোগ পান। এটা জনস্বার্থের পরিপন্থী। অনেক সময় কর আদায়কারীরা ব্যক্তিস্বার্থে ফাঁকিদাতাদের সাহায্য করেন। এ ছাড়া কর্মদক্ষতা মূল্যায়নের বস্তুসম্মত কাঠামো নেই। প্রণোদনা বা পদোন্নতির সুনির্দিষ্ট সূচকও নেই। কর কর্মকর্তারা নিজ কাজে কতটুকু নৈপুণ্য দেখাচ্ছেন, তার মানদণ্ড নেই। নীতি ও প্রশাসনের দ্বৈত দায়িত্বের কারণে এনবিআরের মনোযোগ নির্দিষ্ট কোনো দিকে থাকে না। ফলে করজাল সম্প্রসারিত হচ্ছে না এবং রাজস্ব আহরিত হচ্ছে সম্ভাবনার তুলনায় অনেক কম। আইন প্রয়োগে অসামঞ্জস্য, বিনিয়োগ সহায়তার অভাব, সুশাসনের পদ্ধতিগত দুর্বলতা, এসব কারণে এনবিআরের ওপর মানুষের আস্থা কমে গেছে। এসব কারণে আইনের শাসন দুর্বল হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, বর্তমানে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের প্রধানই এনবিআরের প্রধান। সে কারণে আছে অস্পষ্টতা অদক্ষতাও সৃষ্টি হচ্ছে সে কারণে। ফলে নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের কার্যকারিতা ব্যাহত হচ্ছে। এই সংস্কার নিয়ে অভিজ্ঞ রাজস্ব ও কাস্টমস কর্মকর্তাদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। তারা ভাবছেন, তারা উপেক্ষিত বা কোণঠাসা হয়ে পড়বেন।

প্রেস উইং বলেছে, এনবিআর ভেঙে দুটি বিভাগ গঠন করায় দীর্ঘদিনের এসব জটিল সমস্যা সমাধানে আরও স্পষ্ট ও জবাবদিহিমূলক কাঠামো প্রণয়ন করা যাবে। রাজস্ব নীতি বিভাগ কর আইন প্রণয়ন, করহার নির্ধারণ ও আন্তর্জাতিক কর চুক্তি পরিচালনার দায়িত্বে থাকবে। অন্যদিকে রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগের দায়িত্ব হবে, কর আদায়, নিরীক্ষা (অডিট) ও আইন মেনে চলার বিষয়গুলো তদারক করা। এই দায়িত্ব বিভাজনের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হচ্ছে, যাঁরা কর নির্ধারণ করবেন, তাঁরা কর আদায়ে যুক্ত থাকবেন না। ফলে গোপন সমঝোতা বা অনিয়মের আশঙ্কা কমবে। প্রতিটি বিভাগ নিজ নিজ দায়িত্বে মনোনিবেশ করলে বিশেষায়িত দক্ষতা, প্রাতিষ্ঠানিক স্বচ্ছতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়বে; কমবে স্বার্থের সংঘাত।

প্রেস উইং বলেছে, প্রত্যক্ষ কর আদায় বাড়ানোর মাধ্যমে পরোক্ষ করের ওপর নির্ভরতা কমানো যাবে এবং দক্ষ জনবলের উপযুক্ত ব্যবহার নিশ্চিত হবে। স্বতন্ত্র নীতিনির্ধারণী ইউনিট থাকলে স্বল্পমেয়াদি রাজস্ব লক্ষ্যের বদলে তথ্যনির্ভর, দূরদর্শী করনীতি প্রণয়ন করা সম্ভব হবে। নীতির স্বচ্ছতা, ধারাবাহিকতা ও পেশাদার প্রশাসন দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ করবে। অভিযোগ কমবে বেসরকারি খাতের। প্রেস উইং ব্যাখ্যায় আরও বলেছে, এনবিআর ভেঙে রাজস্ব নীতি বিভাগ ও ব্যবস্থাপনা বিভাগ গঠন শুধু প্রশাসনিক পরিবর্তন নয়; বরং ন্যায়ভিত্তিক ও দক্ষ করব্যবস্থা প্রণয়নের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। শক্তিশালী নীতি নির্ধারণ ও স্বচ্ছ প্রশাসন বাংলাদেশের নাগরিকদের স্বপ্নপূরণে সহায়ক হবে।

এনবিআর কর নীতির সাবেক সদস্য সৈয়দ আমিনুল করিম এক প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বা এনবিআর বিলুপ্তির সিদ্ধান্তে এনবিআরের কর্মকর্তাদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। এখন দুই বিভাগের যারা সচিব হবেন, তারা প্রশাসন ক্যাডার থেকে আসতে পারেন, সেই পথ তৈরি হলো। এনবিআর থেকে সচিব হবেন কি না, তা বলা যায় না। এনবিআর অনেক প্রাচীন প্রতিষ্ঠান। সেই পাকিস্তান আমল থেকেই তা আছে। ফলে এই প্রতিষ্ঠান বিলুপ্তির সিদ্ধান্তে কর্মকর্তাদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হওয়া স্বাভাবিক। তবে সরকার যদি মনে করে, দেশের স্বার্থে এই প্রতিষ্ঠান ভেঙে দুটি বিভাগ সৃষ্টি করা প্রয়োজন, তারা সেটা করতে পারে। কিন্তু আমার কথা হলো, সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা করে সর্বসম্মতভাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার ছিল। কারণ, যারা কাজ করবেন, তাদের আস্থায় নেওয়া সম্ভব না হলে এর মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে। তারা হতোদ্যম হয়ে পড়লে কাজ হবে না। সে জন্য আমি মনে করি, কর ও শুল্ক ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে এবং তাদের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন ছিল।

তিনি আরও বলেন, বোর্ড যখন ভেঙে যাচ্ছে, তখন এনবিআরের যে সদস্যপদ ছিল, তার কী হবে, তা স্পষ্ট নয়। কর ও শুল্ক ক্যাডার থেকে যে ১৬ জন্য কর্মকর্তা এনবিআরের সদস্য ছিলেন, তাদের অবস্থান কী হবে, তা নিয়ে অস্পষ্টতা আছে। সচিব পদমর্যাদার যেসব পদ ছিল, সেগুলোরই বা কী হবে। এনবিআর কর্মকর্তাদের শঙ্কা, তাদের পদোন্নতির সুযোগ কমে যাবে। সবচেয়ে বড় কথা, রাজস্ব নীতি ও ব্যবস্থাপনা নামে যে দুটি বিভাগ করা হলো, তাদের সমন্বয় কীভাবে হবে। মূল উদ্দেশ্য তো রাজস্ব সংগ্রহ বৃদ্ধি, সেটা আদৌ করা সম্ভব হবে কি না, অর্থাৎ করজাল বড় করা সম্ভব হবে কি না, তা বুঝতে পারছি না।

এনবিআর বিলুপ্তিতে কর্মকর্তাদের দুশ্চিন্তার কিছু নেই বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, এনবিআর বিলুপ্ত হয়ে দুটি বিভাগ গঠিত হলেও প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তাদের দুশ্চিন্তার কারণ নেই। সব দেশেই এমন আলাদা বিভাগ থাকে। এনবিআরের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করেই করা হয়েছে। রাজস্ব আদায়ে এর প্রভাব পড়বে না। মঙ্গলবার সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন অর্থ উপদেষ্টা।

সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, রাজস্ব আদায়ে প্রভাব পড়বে না। এখন পর্যন্ত রাজস্ব আদায় গত বারের তুলনায় ২ শতাংশ বেশি হয়েছে। খুব হতাশাব্যাঞ্জক নয়, আমরা আরও প্রত্যাশা করছি। অন্তত গত বারের তুলনায় কম হবে না। আগামী বাজেট সম্পর্কে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বাজেটে বড় ঘাটতি থাকবে না। প্রকল্প, এডিপি বাস্তবায়ন-এসব করা হবে বাস্তবতার ভিত্তিতে। ব্যাংক থেকে ধার করে, টাকা ছাপিয়ে বাজেট বাস্তবায়ন করা হবে না। কিছুটা তো ঘাটতি থাকবে। সেটা পূরণ করতে আমরা আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে কথা বলেছি, সে ক্ষেত্রে আমরা মোটামুটি সফল।

সালেহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, বিশ্বের সব দেশেই রাজস্ব নীতি ও বাস্তবায়ন বিভাগ পৃথক। যারা নীতি প্রণয়ন করবেন, তাদের পেশাদার হতে হবে অর্থাৎ দেশের জিডিপি, অর্থনীতি, পরিসংখ্যান-এসব বিষয়ে ধারণা থাকতে হবে। যারা নীতি প্রণয়ন করবেন, তারা আবার রাজস্ব সংগ্রহও করবেন, তা হতে পারে না।