পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে নগরবাসীসহ মুসলিম উম্মাহর প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।

গতকাল শনিবার পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের শুভেচ্ছা বার্তায় মহানগরী নেতৃবৃন্দ বলেন, এক মাস সিয়াম সাধনা শেষে খুশির সওগাত নিয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতর আমাদের দ্বারে সমাগত। ঈদুল ফিতর ধনী-গরিবের ভেদাভেদ ভুলে মানুষকে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করে শান্তি ও সহমর্মিতার অনুপম শিক্ষা দেয় এবং সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর করে একটি শোষণমুক্ত সমাজ গঠনের জন্যে অনুপ্রেরণা দেয়। আমরা যদি বাস্তব জীবনে ইসলামী আদর্শ অনুসরণ করে সমাজে ন্যায় ও ইনসাফ কায়েম করতে পারি তাহলেই আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা সম্ভব।

আলহামদুলিল্লাহ দীর্ঘ ১৭ বছর পর আমরা স্বস্তি ও নিরাপদে ঈদ উদযাপনের সুযোগ পেয়েছি। কিন্তু আমাদের ফিলিস্তিনের মজলুম ভাই বোনেরা দখলদার ইসরাইলের বর্বর হামলায় ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারছে না। যে মানবিক বিপর্যয় সেখানে ঘটছে তা নিরসনে বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করার আহ্বান জানান জামায়াত নেতৃবৃন্দ।

নেতৃবৃন্দ ঈদুল ফিতরের এই দিনে রাসূলুল্লাহ সা. ও তাঁর সাহাবাগণের ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের ভাষায় শুভেচ্ছা জানান, ‘তাক্বাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম’ অর্থ : মহান আল্লাহ তাআলা আমাদের ও আপনার নেক আমল তথা ভাল কাজগুলো কবুল করুন। অসহায় মানুষকে সহযোগিতার মাধ্যমে এবার ঈদের আনন্দকে ভাগাভাগি করতে এবং রমযান মাসের প্রকৃত শিক্ষা ব্যক্তি ও রাষ্ট্রীয় জীবনে প্রতিফলন ঘটিয়ে দেশে কল্যাণকামী সরকার বা নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

শুভেচ্ছা বার্তায় নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের পর অবশেষে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগে ফ্যাসিবাদমুক্ত এক নতুন বাংলাদেশ পেয়েছে জাতি। নতুন বাংলাদেশ নিয়ে জাতির প্রত্যাশা অনেক। জাতির প্রত্যাশা পূরণে সকল ভেদাভেদ ভুলে সকল রাজনৈতিক দলমতকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তারা। নেতৃবৃন্দ স্পষ্ট করেন, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে যেভাবে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন সংগ্রাম চলেছে, সেইভাবেই নতুন বাংলাদেশে নেতৃত্ব দিতে হবে, দেওয়া যাবে। এজন্য শুধু সদিচ্ছা প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করেন তারা।

ঈদ হলো ঐক্যের প্রতীক। সকলের সাথে একাকার হওয়ার প্রেরণা হলো- এই ঈদ। তাই আমাদের মাঝে ভ্রাতৃত্ব-ভালোবাসা ও সম্প্রীতির চেতনা যদি অটুট থাকে তবে আগামীর সমাজ হবে ন্যায়, ইনসাফ ও শোষণহীন এক আদর্শ সমাজ। সেই সমাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই ঈদের প্রকৃত খুশি সকলে মিলে উপভোগ করবো ইনশাআল্লাহ। নেতৃবৃন্দ আহ্বান জানিয়ে বলেন, আসুন আমরা সকলে মিলে দলমত, জাতি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আমাদের প্রিয় নগর থেকে গ্রাম সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, দুর্নীতিমুুক্ত, আধুনিক, মানবিক ও নিরাপদ নগর হিসেবে গড়ে তুলি।