বাংলাদেশের সাথে করা বন্দি প্রত্যর্পন চুক্তি মানছে না ভারত। চুক্তির পর এক যুগ পেরিয়ে গেলেও ভারত তাতে অনাগ্রহ দেখিয়ে আসছে। অথচ, ভারতের পক্ষে নানা অনুরোধ শেষে দু‘দেশের মধ্যে এই চুক্তি হয় আনুষ্ঠানিকভাবেই। উল্টো ভারত, চুক্তির শর্তগুলো না মেনে বরাবরই সীমান্ত দিয়ে করে চলেছে অমানবিক পুশব্যাক। ভারতের সদিচ্ছার অভাবেই বন্দি প্রত্যর্পন চুক্তি কার্যকর হয়নি বলে অভিযোগ। খবর সংশ্লিষ্ট একাধিক সুত্রের।

জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের শীর্ষ পর্যায়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বুধবার দৈনিক সংগ্রামকে বলেন, ভারত কোন চুক্তিই মানেনি বিগত দিনগুলোতে। কিন্তু তারা চুক্তি করে আমাদের সাথে, তাদের স্বার্থে। বন্দি প্রত্যর্পনের চুক্তির পর কোন বন্দি বিনিময় হয়েছে কিনা, এমন প্রশ্নে ওই কর্মকর্তা বলেন, হলেতো আমাদের মাধ্যমেই হতো, পরিসংখ্যানও থাকতো। কোন পরিসংখ্যান নেই। কারণ, ভারত আমাদের কাউকেই ওই চুক্তির আওতায় ফেরত দেয়নি। তারা আমাদের সাথে চুক্তি মোতাবেক বন্দি বিনিময় করেনা, তারা শুধু পুশব্যাক করে।

জানা গেছে, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বন্দি বিনিময় সহজ করতে ২০১৩ সালের ২৮ জানুয়ারী বন্দি প্রত্যর্পন চুক্তিটি করা হয়। চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষে স্বাক্ষর করেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর। ভারতের পক্ষে স্বাক্ষর করেন ভারতের ওই সময়ের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল কুমার সিন্ধ। ঢাকা-নয়াদিল্লির মধ্যে প্রত্যর্পণ চুক্তি স্বাক্ষরের আড়াই বছর পর প্রায় ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে হস্তান্তর করা হয় অনুপ চেটিয়া ও নূর হোসেনকে। দুটি ঘটনাই ঘটে ২০১৫ সালে। এরপর থেকে আর কোন প্রত্যর্পন চুক্তি অনুযায়ী বন্দি বিনিময় হয়নি।

প্রায় এক যুগ পর প্রত্যর্পণ চুক্তি ও এর ফাঁকফোকর নতুন করে আলোচনায় আসে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নিলে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সোমবার তাঁর মৃত্যুদ-ের রায় দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এই রায়ের পর থেকেই শেখ হাসিনা এবং তার সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালকে দেশে ফেরানোর বিষয়টি জোরেশোরে এখন আলোচনা হচ্ছে। তাদেরকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দিতে ইতোমধ্যে ভারত সরকারের কাছে আহবান জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ ব্যাপারে ভারতকে আনুষ্ঠানিক চিঠি দিতে যাচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। দু‘দেশের মধ্যেকার বহি:সমর্পণ বা প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় শেখ হাসিনাসহ দুই মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আসামিকে বাংলাদেশে হস্তান্তর করতে চিঠিতে চুক্তির বিষয়টিও উল্লেখ করা হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ‘প্রত্যর্পণযোগ্য অপরাধের মামলায় অভিযুক্ত বা ফেরার আসামী ও বন্দিদের একে অপরের কাছে হস্তান্তরের জন্য ২০১৩ সালের ২৮ জানুয়ারি ঢাকা ও দিল্লির মধ্যে বহুল আলোচিত বহি:সমর্পণ চুক্তিটি সই হয়। এই চুক্তির পর ২০১৫ সালের নভেম্বর মাসে নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলার প্রধান আসামী নূর হোসেনকে ঢাকার হাতে এবং বাংলােেশর কারাগারে বন্দি উলফা নেতা অনুপ চেটিয়াকে দিল্লির হাতে হস্তান্তরের বিষয়টি সামনে আসে। ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল সাত খুনের পর তৎকালীন কাউন্সিলর নূর হোসেন ভারতে পালিয়ে যান। এরপর কলকাতা থেকে গ্রেপ্তার হলে পুলিশ তার বিরুদ্ধে ভারতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ ও অবস্থানের কারণে মামলা হয়। পরে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নূর হোসেনের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মামলা প্রত্যাহার করে তাঁকে নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে কলকাতার বারাসাত আদালতে ভারতীয় ফৌজদারি কার্যবিধির ৩২১ ধারায় আবেদন করে। পরে সেই আদালত নূর হোসেনকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেন। এরপর ২০১৫ সালের ১২ নভেম্বর যশোরের বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। এর ঠিক একদিন আগে ১৯৯৭ সাল থেকে বাংলাদেশের কারাগারে বন্দি উলফা নেতা অনুপ চেটিয়াকে গোপনে ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

অনুপ চেটিয়াকে হস্তান্তর এবং নূর হোসেনকে দেশে ফেরত আনার বিষয়টি তখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষে তদারকি করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক শাখায় কর্মরত একজন কর্মকর্তা। বুধবার তিনি নাম প্রকাশ না করার শর্তে দৈনিক সংগ্রামকে বলেন, নূূর হোসেনকে বহি:সমর্পণ চুক্তির আওতায় তখন দেশে ফেরত আনা হয়েছিল। তবে অনুপ চেটিয়াকে তখন এই চুক্তির আওতায় হস্তান্তর করা হয়নি। যে কারণে তাকে হস্তান্তরের পুরো প্রক্রিয়া কঠোর গোপনীয়তার সঙ্গে সম্পন্ন করা হয়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বিগত ১৫ বছর ভারত ও বাংলাদেশ মোস্ট ওয়ান্টেড আসামীদের হস্তান্তর করেছে পুশব্যাকের মাধ্যমে। এভাবে বাংলাদেশ থেকে রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের সদস্য, আলোচিত খুনের আসামী এবং শীর্ষ সন্ত্রাসীদের এক দেশ আরেক দেশের কাছে তুলে দেয়। আর এ কাজগুলো হয় কঠোর গোপনীয়তায়। ২০১৩ সালে বহি:সমর্পণ চুক্তি সই হওয়ার পরও এই পুশব্যাক পদ্ধতি দুই দেশই অনুসরণ করে। এর কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে বহি;সমর্পণ চুক্তির আওতায় কাউকে ফেরত আনা বা কাউকে হস্তান্তর দীর্ঘ এবং জটিল আইনি ও প্রশাসনিক প্রক্রিয়া। যে কারণে দুই দেশে বন্দি হস্তান্তরে পুশব্যাক পদ্ধতিতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

গত বছরের ৫ আগস্টের পর আদালত অবমাননার মামলায় শেখ হাসিনার সাজা হলে তাঁকে ফেরত চায় ঢাকা। কিন্তু নয়াদিল্লি সেটির আনুষ্ঠানিক জবাব দেয়নি। গত সোমবার পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, আদালত এখন যেহেতু শাস্তি দিয়েছেন, বিষয়টি ভারতকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে।

চিঠি পাঠানোর প্রক্রিয়া নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, একটি অফিসিয়াল নোটের মাধ্যমে যাবে। সেটা স্থানীয়ভাবেও তাদের (ভারত) মিশনকে হস্তান্তর করা যায়। অথবা আমাদের মিশন তাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে হস্তান্তর করবে। বাংলাদেশ দুই প্রক্রিয়াই অনুসরণ করতে পারে। তবে গতকাল পর্যন্ত বাংলাদেশ চিঠি দিয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে শেখ হাসিনা ও কামালের বিরুদ্ধে গতকাল বুধবার পর্যন্ত রায়ের কপি প্রকাশ হয়নি এবং সাজা পরোয়ানা বা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু হয়নি। ওই দু’জনকে দেশে ফেরাতে দিল্লিকে যে চিঠি দিতে যাচ্ছে ঢাকা তাতে আদালতের পরোয়ানা ইস্যুর কথাও উল্লেখ করতে চায়। কারণ বহি:সমর্পণ চুক্তিতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে। শেখ হাসিনা ও কামালের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ ইস্যুর অনুরোধপত্রে রায়ের কপি এবং গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যুর তথ্যও উল্লেখ করতে হবে।

বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে ২০১৩ সালে সই হওয়া প্রত্যর্পণ চুক্তির একটি ধারায় আছে যার হস্তান্তরের জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে তার বিরুদ্ধে অভিযোগটা যদি ‘রাজনৈতিক প্রকৃতি’র হয় তাহলে সেই অনুরোধ খারিজ করা যাবে। তবে, কোন কোন অপরাধের অভিযোগকে ‘রাজনৈতিক’ বলা যাবে না, সেই তালিকাও রয়েছে চুক্তিতে। সেগুলো হলো হত্যা, গুম, অনিচ্ছাকৃত হত্যা ঘটানো, গুরুতর আঘাত ক্ষতিকর হামলা, গ্রেপ্তার প্রতিরোধে অস্ত্র ব্যবহার, সরকারি স্থাপনা ক্ষতিসাধন, হত্যার প্ররোচনা, সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কিত অপরাধ, বোমা বিস্ফোরণ ইত্যাদি অপরাধের ঘটনা। ২০১৬ সালে যখন মূল চুক্তিটি সংশোধন করা হয়, তখন এমন একটি ধারা যুক্ত করা হয়েছিল, যা হস্তান্তরের প্রক্রিয়াকে বেশ সহজ করে তুলেছিল।

সংশোধিত চুক্তির ১০(৩) ধারায় বলা হয়েছিল, কোনও অভিযুক্তের হস্তান্তর চাওয়ার সময় অনুরোধকারী দেশকে সেই সব অভিযোগের পক্ষে কোনও সাক্ষ্যপ্রমাণ পেশ না-করলেও চলবে। শুধু সংশ্লিষ্ট আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা পেশ করলেই সেটিকে বৈধ অনুরোধ হিসেবে ধরা হবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বহি:সমর্পণ চুক্তি অনুযায়ী ভারত চাইলে যেকোন সময় শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালকে হস্তান্তর করতে পারবে। এতে কোন বাঁধা নেই।

জানতে চাইলে সাবেক আইজিপি আশরাফুল হুদা দৈনিক সংগ্রামকে বলেন, চুক্তি অনুযায়ী ওই দু’জনকে বাংলাদেশে হস্তান্তরে কোন বাধা দেখছেন না। তবে তারা যদি চুক্তির কোন ধারার অপব্যাখ্যা করে ফেরত না দেয় আমাদের কিছু করার নেই। আমরা হেগের আদালতে গেলেও লাভ হবে না। আমাদের দ্বিপক্ষীয় বোঝাপোড়ার ভিত্তিতেই ফেরত আনতে হবে। তিনি বলেন, ইন্টারপোলের রেড নোটিশ যদি তাদের জন্য ইস্যু করা হয় তারপরও ফেরত আনতে ভারতের ইচ্ছার ওপর নির্ভর করবে। কারণ ইন্টারপোল কোন আসামী গ্রেপ্তারের ক্ষমতা রাখেনা। ইন্টারপোলের কাজ আসামী কোন দেশে আছে তা শনাক্ত করে জানানো। আমরা জানি ওই দুই আসামী ভারতেই আছে। সেক্ষেত্রে ইন্টারপোলের শনাক্ত করার কিছু নেই।

এদিকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধিদল ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে বৈঠক করেছে বুধবার। শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরানোর ইস্যুতে ভারতের মনোভাব জানতে এই বৈঠককে অনেকেই তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৭ বছরে পুশব্যাকের মাধ্যমে অসংখ্য বন্দি ও আসামীকে এক দেশ আরেক দেশের কাছে হস্তান্তর করে। এরমধ্যে বাংলাদেশই ভারতকে বেশি হস্তান্তর করেছে। বাংলাদেশ উলফার চেয়ারম্যান অরবিন্দু রাজখোয়া, অনুপ চেটিয়া, চিত্রবন হাজারিকা, শশধর চৌধুরী, অমল দাস, অনুপ চেটিয়ার দুই সহযোগী বাবুল শর্মা ও লক্ষ্মীপ্রসাদ গোস্বামী, সঙ্গীত পরিচালক গুলশান কুমার হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী আব্দুর রউফ দাউদ মার্চেন্টসহ বাংলাদেশে আটক ভারতের আরও বেশ কয়েকটি স্বাধীনতাকামী সংগঠনের নেতাকে গোপনে ভারতে হস্তান্তর করে। আর ভারত শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন, শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন, লম্বু সেলিম, ইব্রাহিমসহ আরও কয়েকজনকে ফেরত দেয় পুশব্যাকের মাধ্যমে।

কী আছে চুক্তিতে

চুক্তিতে অনুচ্ছেদ আছে ১২টি। এর মধ্যে ১ ও ২ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, বিচারিক কর্তৃপক্ষের দ্বারা বিচারাধীন, অভিযুক্ত, দোষী সাব্যস্ত বা দ- কার্যকরের জন্য যাদের খোঁজ চলছে, সেই ব্যক্তিদের রাষ্ট্রের ভূখ-ে পাওয়া গেলে প্রত্যর্পণ করতে হবে। তবে অপরাধটি হতে হবে রাষ্ট্রের আইনে নূন্যতম ১ বছরের কারাদ-যোগ্য।

চুক্তির প্রয়োগ কোন ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হবে তা উল্লেখ আছে অনুচ্ছেদ ৬-এ। বলা হয়েছে, যদি কোনো অপরাধের ধরন রাজনৈতিক বলে বিবেচিত হয় তাহলে প্রত্যর্পণের অনুরোধ গ্রহণ নাও হতে পারে। তবে হত্যা, হত্যার প্ররোচনা, অপহরণ, বেআইনিভাবে জিম্মি করাসহ ১৩ ধরনের অপরাধ রাজনৈতিক হিসেবে বিবেচিত হবে না।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬ সালের ২৮ জুলাই দ্বিপাক্ষিক প্রত্যর্পণ চুক্তির অনুচ্ছেদ ১০ এর ৩ নম্বর ধারা সংশোধন করা হয়। পলাতক অপরাধীদের দ্রুত প্রত্যর্পণ নিশ্চিতের জন্য ওই সংশোধন আনা হয়।

মূল চুক্তির এই ধারায় উল্লেখ ছিল, প্রত্যর্পণ চাওয়ার ক্ষেত্রে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার সঙ্গে প্রয়োজনীয় প্রমাণ দিতে হবে। সংশোধনী অনুযায়ী, শুধু পরোয়ানা থাকলেই প্রত্যর্পণযোগ্য বিবেচিত হবে।